পেলিং এর বেশকিছু ছবি রইলো আজকে আপনাদের মাঝে।

in Incredible India2 years ago
IMG_20230205_190549.jpg
IMG_20230205_190534.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,
সকলকে রবিবাসরীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের লেখা শুরু করছি। আশাকরি আজকের ছুটির দিনটি সকলের মঙ্গলময় ভাবেই অতিবাহিত হয়েছে।

যেসকল দেশে ছুটির দিন ভিন্ন তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা কিন্তু ভারতবাসীর কাছে শৈশব থেকেই রবিবারের একটি আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

তারা শনিবার রাত থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দেয়, অন্ততপক্ষে আমি তো সেটাই করে থাকি সারা বছর, অবশ্য বাইরে ঘুরতে গেলে বিষয়টি অন্যরকম কিন্তু বাড়িতে থাকলে মোটামুটি রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি খাবো সেটা নির্ধারণ করতে করতেই রাত কাবার।

বাঙালী হয়ে রবিবার লিখতে বসে খাবারের কথা উল্লেখ করবো না, সেটা একপ্রকার অসম্ভব তাই লেখাটা সেই বিষয় দিয়েই শুরু করলাম। যদিও আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি পেলিং এর বেশ কিছু ছবি।

IMG_20230205_190748.jpg

IMG_20230205_190725.jpg

IMG_20230205_190701.jpg

IMG_20230205_190643.jpg

এবার আসি পেলিং এর বিষয়, উত্তর-পূর্ব সিকিমে, কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশে অবস্থিত একটি ছোট্ট শহর হলো এই পেলিং।
সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের দিক থেকে পেলিং দৃষ্টি আকর্ষক।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের আধিক্য অধিক এখানে, এবং মানুষের জীবনযাপন সাদা মাটা।
ছবিগুলো নিশ্চই আপনাদের বুঝতে সাহায্যে করবে পেলিং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য কতখানি চিত্তাকর্ষক।

আজকে যেখানে আমাদের শহরাঞ্চলে যানজট, ধুলো, ধোঁয়া আর মানুষের ভিড়ের আড়ালে দমবন্ধ হয়ে যাবার জোগাড়, সেখানে এই পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করা মানুষগুলো আজও প্রাণ ভরে নির্মল বিশুদ্ধ বাতাস সেবন করে দুবেলা।

IMG_20230205_190620.jpg

IMG_20230205_190603.jpg

IMG_20230205_190446.jpg

কাজেই যখনই আমার সুখ হয়েছে এইসকল স্থান পরিদর্শনের আমি একমুঠো প্রশান্তির সাথে বয়ে নিয়ে এসেছি বুকভরা নির্মল বাতাস।

শহরে সুগ সুবিধা বেশি থাকতে পারে কিন্তু আমার শহরকে বড্ডো নকল মনে হয়, সাথে শহরের জীবনযাত্রা।

অথচ পেলিং এর মত পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করা মানুষগুলোর হয়তো আমাদের মত হাতের কাছে অনেক সুযোগ সুবিধার অভাব আছে, কিন্তু এই অসুবিধাগুলো তাদেরকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে রেখেছে।

ঘরের চার দেয়ালে ফোন অর্ডার করে খাবার খেয়ে আজ মানুষ সময় বাঁচাতে পারলেও আয়ুক্ষয় করছেন, বাজারি অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সাথে শারিরীক কসরতের অভাব তাদের শরীরে রোগের বাসা বাঁধে অন্যতম কারণ।

পাহাড়ী মানুষগুলোকে প্রতিদিন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজনে চড়াই উতরাই করতে হয় অনেকখানি এবং ঠিক সেই কারণে আজও তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

এরসাথে রয়েছে প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অক্সিজেন, ফলে এখানের মানুষ শরীরের পাশাপশি মানসিক দিক থেকেও অনেক শান্ত এবং ধৈর্যের অধিকারী।

কাজেই ব্যস্ততা থেকে কখনো বিরতি নিয়ে ঘুরে আসবেন পেলিং দেখবেন যখন ফিরছেন জীবনের অনেকখানি চাপ পিছনে ফেলে এসেছেন।

আজ এখানেই শেষ করছি, ভালো থাকবেন সবাই।

Sort:  
Loading...