নদীর বুকে হারিয়ে যাওয়া।(Lost on the riverbank.)....
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
প্রকৃতির প্রেমে আমরা সবাই পরি। সবাই সব সময়ই চেষ্টটা করি সুযোগ হলেই প্রকৃতির মাঝ থেকে ঘুরে আসতে। মনকে একটু ফ্রেশ করতে। মনের ক্লান্তি, হতাশা থেকে মুক্তি আর দুঃখ গুলোকে প্রকৃতিকে বলেই আমরা বারে বারে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। আপনারা দেন কিনা জানি না,তবে আমি যখন খুব হতাশা আর কষ্টে থাকি তখন চেষ্টটা করি প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটানোর। আপনারা যারা আমার পোষ্ট রেগুলার পড়েন, তারা জেনে থাকবেন গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে আমি হতাশা, টেনশনে ভুগতেছি। তারপর শারীরিক অবস্থা ও ভালো হয় না। তবুও জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার চেষ্টটা করে যাচ্ছি। হতাশা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময়ই নানা ধরনের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর চেষ্টটা করি। যাতে কিছুটা হলেও মনের হতাশা দূর হয়। সময়ের সাথে সাথে আমার জীবনের সব সমস্যা আল্লাহ তায়ালা একদিন শেষ করবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।
বেশ কয়েক দিন আগে,, কুষ্টিয়া মেসে গিয়েছিলাম আপনারা হয়ত একটা পোষ্টে দেখে থাকবেন। তার মধ্যে একদিন শুক্রবার ছিল, যে কয়দিন মেসে ছিলাম। সেই দিনগুলোর মধ্যে। শুক্রবার আমাদের বাংলাদেশের জন্য হলো ছুটির দিন মানে হলি ডে যাকে বলে। সবাই এই দিনে ভালো খাওয়া দাওয়া আর ঘুরাঘুরির মাধ্যমে কাটাতে চায়। যদিও মাঝে মধ্যে আমিও ঘুরাঘুরি করি। গত সপ্তাহে শুক্রবার আমি কুষ্টিয়া ছিলাম। মনটাও ভালো লাগতেছিল না। আমার বন্ধু সবুজ বললো চলো নদীর ধার দিয়ে ব্রীজে ঘুরে আসি ভালো লাগবে। আমি ভাবলাম মন বসে না রুমে, যায় একটু ঘুরে আসি। আসরের নামাজ শেষ করে দুইজন রুমে এসে রেডি হলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে অবস্থিত হরিপুর ব্রীজে। মূলত একই সাথে আমরা হাটতে ছিলাম আবার ঘুরাঘুরিও করতেছিলাম।
আমাদের মেস থেকে অনেকটা পথ যেতে হয় নদীর তীরে যেতে। আমরা গল্প করতে করতে শহরের পরিবেশ দেখতে দেখতে চলতে থাকলাম। তারপর আমরা নদীর ধারে চলে গেলাম ব্রীজের নিচে। আমাদের মতো অনেক মানুষ সেখানে ঘুরতে এসেছিল। আমরা একটু হাটাহাটি করে একটা জায়গায় গিয়ে বসলাম। ব্লক দিয়ে সুন্দর করে নদীর দুই ধার বাধায় করে দিয়েছে। মানুষের চলাচলের বেশ ভালো সুযোগ হয়েছে। আমরা বসে শুধু আশে পাশের মানুষের দিকে তাকিয়ে দেখতেছিলাম। প্রেমিক প্রেমিকারা ঘুরতে এসেছে সেখানে। যাই হোক কথা সেদিকে না বলায় ভালো 😜😜😜। বেশ কিছুটা সময় বসে থাকার পর আমরা নদীর ধারে নেমে গেলাম। আমার বন্ধু তো নদীর পানিতে কিছু সময় হাত ডুবিয়ে নিলো। তারপর আমরা একটু নদীর তীর দিয়ে হাটা হাটি করলাম। আস্তে আস্তে সূর্যের তাপ কমতে শুরু করে দিয়েছিল।
নদীতে নৌকা ভাড়া করে অনেকেই ঘুরাঘুরি করতেছিল। ২০/৩০ টাকা দিলেই অনেকটা দূর নিয়ে গিয়ে ঘুরায়ে আনতেছিল। আমরা আর উঠি নাই। আস্তে আস্তে সূর্য অস্তমিত যেতে লাগল। আকাশ সুন্দর একটা রূপ ধারণ করতে লাগল। কিছু কমলা আর হলুদ রঙের মিশ্রণে আকাশটা যেন অপরূপ সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটালো। আমি আবার ফোনে কিছুটা সময় ভিডিও করে নিলাম। মূলত বিকেলের সময়টা ঠান্ডা হাওয়া দেয়, যার ফলে নদীর তীরে হাটাহাটি করতে অনেক ভালো লাগে। সন্ধার পূর্বে প্রকৃতির মাঝে এমন সময় যারা কাটিয়েছে তারা ছাড়া কেউ এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে না। আমাদের বাড়ীটাও নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারণে নদীর সাথে সম্পর্কটা একটু বেশি ভালো হয়ে গিয়েছে।
আমরা মাগরিবের আজান পর্যন্ত নদীর তীরে ছিলাম। আজান দেওয়ার পর, আমরা নদীর তীর থেকে চলে আসি। তারপর পাশে একটা মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে রুমের দিকে যেতে লাগলাম। কিছুটা দূর যাওয়ার পর দেখতে পেলাম কয়েকটা বিল্ডিং পাশাপাশি লাইটিং করা দেখতে অনেক ভালো লাগতেছিল। আবার কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। মূলত কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে, যতদূর মনে হলো লাইটিং দেখে।
সেদিনের মতো ঘুরাঘুরি শেষ করে বাড়ীর দিকে চলে আসি। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been curated by
Team #5
@damithudaya
Thank you. 🙏🙏