ট্রেনে বাড়ী ফেরা।(Returning home by train.)..
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
আমার কাছে বর্তমান সময়ে নিরাপদ ভ্রমণ মানে হলো ট্রেন ভ্রমণ। আমি ঢাকা থেকে বেশির ভাগ সময় বাসায় আসতে গেলে ট্রেনে যাওয়া আসা করি। এটা আমার কাছে বেশ সস্তিদায়ক। গত শুক্রবার পরিক্ষা শেষ করেও বাসায় ফেরার জন্য আমি বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে চলে আসি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখানে এসে আগে সেখানকার মসজিদে জুমার সালার আদায় করে নিলাম। আমার ট্রেন ছিল বিকাল ৩ টায়। আমি ১২ টার সময়ই স্টেশনে পৌছে গেছিলাম। এজন্য সেখানে মসজিদে জুমার সালাত আদায় করে নিয়ে পরে প্লার্টফমে অপেক্ষা করতে লাগলাম।
সালাত শেষ করে হাঁটতে হাটতে চলে গেলাম, স্টেশনের প্লার্টফমে। এদিকে আমার খুব খুদা লাগছিল, এজন্য আশে পাশে দোকান খুজলাম। পাশেই দেখি একটা দোকানে কিছু খাবার পাওয়া যাচ্ছে। আমি একটা ১৫ টাকা দিয়ে রুটি কিনে নিলাম। আপাতত খুদা কিছুটা মেটানোর জন্য।
প্লার্টফর্মে দাড়িয়েই রুটিটা খেয়ে ব্যাগ থেকে পানি বের করে খেয়ে একটু খুদা মিটালাম। এরপর ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। হঠাৎ দেখি আমার স্কুল জীবনের একটা বন্ধুর সাথে দেখা। অনেক বছর পর তার সাথে দেখা। ট্রেন আসা পর্যন্ত তার সাথে গল্প করতে লাগলাম। ক্লাস নাইন থেকে ও সাইন্সে আর আমি কারিগরিতে চলে যায়, এজন্য আর বেশি দেখা হয় নাই, কথাও হয় নাই। আমার বন্ধুও চাকরির পরিক্ষা দিতেই ঢাকাতে এসেছিল।
আমাদের মাঝে কথোপকথন চলতে চলতে ট্রেন চলে আসে। এরপর আমরূ ট্রেনে ওঠার জন্য চলে যায়। আমাদের সিট এবং কোর্চ আলাদা এজন্য আমি চলে গেলাম। ট্রেনে উঠে ব্যাগটা রেখে আমার সিটে বসলাম। আমার পাশের সিটে দেখি সমবয়সী এক ভাই বসা। সিটে বসে ভাইয়ের সাথে পরিচিত হলাম। সেও আমাদের কুমারখালিতেই যাবে। ৩:২৩ মিনিটে আমাদের ট্রেন ছেড়ে দেয়।
আমি ফোনে পোষ্ট লিখতেছিলাম প্রথম কিছু সময় এজন্য ভাইয়ের সাথে তেমন আলাপ করা হয় নাই। কাজ শেষ করে কথা বলতে লাগলাম। ভাইও পরিক্ষা দিতে আসছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর বাংলাদের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু পার হতে শুরু করলাম। আমি আবার ফোন দিয়ে ভিডিও করলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রায় ২ ঘন্টা যাত্রা করার পর, কিছু খেতে মন চাচ্ছিল। যদিও আমি যাত্রা পথে কিছু খেতে চায় না, তবুও ভাবলাম কিছু খায়। ট্রেনের মধ্যে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, সামনে দেখি একটা ঝালমুড়িওয়ালা জিগাতেই ২০ টার ঝালমুড়ি দিল। কিন্তু দামটা দিল পাশে বসা ভাইটা। কোন মতেই আমাকে টাকা দিতে দিলো না। এবার দুইজন মিলে ঝালমুড়ি খেলাম। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর আমি ২০ টার বাদাম কিনলাম৷ এরপর সেটা আমরা দুইজন মিলে খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারও ভাই ট্রেন থেকে সিঙ্গারা কিনল সেটাও দুইজন মিলে খেলাম। নামার আগে আমি আবার শশা কিনলাম।
আমাদের স্টেশনে পৌছে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লেগে যায়। অবশেষে সন্ধা ৭:৩৪ মিনিটের দিকে আমরা ট্রেন থেকে নেমে পরি। তারপর ভাইকে বিদায় জানিয়ে আমি আমার বাড়ীর দিকে রওনা হই। ভাইকে আমি আগে থেকে চিনতাম না, ট্রেনেই দেখা তবুও মনে হচ্ছি যেন কত চেনা,। আসলে যাত্রা পথে কিছু সময় এমন সম্পর্ক হয়ে যায় যা স্মৃতির পাতায় রয়ে যায়। আমার ট্রেন ভ্রমণ কাহিনী এখানেই শেষ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
অনেক সুন্দর একটা গল্প মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন দেখছিলাম।
এটা স্বপ্নের মতনই বলা যায় আমরা স্বপ্নের মাঝে কত জায়গা ঘুরতে যাই অনেক বন্ধু তৈরি করি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরে আবার সে সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যেমনটা আপনার গল্প পড়ে মনে হল।।
ট্রেনে বাড়ি ফেরার পথে একটা বন্ধুত্ব গড়ে তুলছিলেন ঘন্টা ৫ এর জন্য আবার নিজেদের গন্তব্যে ফিরতে সেই বন্ধুকে বিদায় জানাতে হয়েছে।
খুবই ভালো লেগেছে তার পাশাপাশি আমার ইচ্ছাটাও আবার খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। অনেক দিনের ইচ্ছা আছে ট্রেন ভ্রমণ করার জন্মের পরে মনে হয় একবার কোথাও গিয়েছিলাম আর ট্রেনে ওঠা হয়নি খুব ইচ্ছা আছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কিন্তু যাব ওটা কোথায়।।
কারণ ট্রেনে ঘুরতে যাওয়ার মত কোন আত্মীয়র বাড়ি বর্তমানে নেই।।। দেখা যাক ভবিষ্যতে সৃষ্টিকর্তা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিনা।।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
আমাদের বাসায় চলে আসেন ট্রেন ভ্রমণ করে। আসার নেমন্তন্ন রইল।🥰🙏🙏
TEAM 07
Congratulations!!!
Your post has been supported. We support quality posts good comments anywhere and any tags.
Curated By : @wirngo
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.