"মেহমান আপ্যায়ন এর প্রথম পর্ব...........!"
নোয়াখালীর মধ্যে মেহমানদের আপ্যায়ন আতিথেয়তার মধ্যে সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আমাদের অঞ্চলের মানুষ শুধুমাত্র মেহমানকে আপ্যায়ন নয়, অতি যত্ন সহকারে ভালোবাসা দিয়ে থাকে এবং তাদেরকে বরণ করে নিয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতে মেহমান আসলে আমরা প্রথমত মিষ্টি হাসির মাধ্যমে তাদেরকে বরণ করে নেই। তারপর আমাদের আপ্যায়ন শুরু হয়ে যায়। এরপর তাদেরকে ঠান্ডা নারিকেল পানীয় দিয়ে তাদের গরমের অবসান কাটিয়ে নেই। তারপর শুরু হয় সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার মুহূর্ত। যেখানে আমরা দেশি মুরগি খাসির মাংস গরুর মাংস তাজা মাছ সবকিছুই রাখার চেষ্টা করি। আজকেও আমি মেহমান আপ্যায়নের বেশ কিছু কার্যক্রম করেছিলাম, সেটাই আপনাদের সাথে তুলে ধরবো।
বাঙালিরা খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আর আমাদের এখানে তো বলা হয়ে থাকে আমরা বাঙালিরা নাকি ভোজন রসিক মানুষ। মেহমানদের আপ্যায়ন আমাদের নোয়াখালীতে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে। আর আমরা সেই স্পেশাল মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার জন্যই আজকে আমি আপনাদের সাথে মেহমানদের আপ্যায়ন করার কিছু বিষয় নিয়ে চলে এসেছে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সকাল থেকেই প্রচুর পরিমাণে কাজ ছিল, বিশেষ করে মাছ কাটা থেকে শুরু করে মুরগি কাটা সবকিছুই অনেক বেশি সাবধানতার সাথে করতে হয়েছিল। তাই প্রতিটা কাজ এক এক করে সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম।
অন্যদিকে মেয়ে এবং জামাই ঘরে ছিল তাই তাদের জন্য আবার নাস্তা তৈরি করতে হয়েছিল। সেই কাজটা আবার ননদ আমার সাথে কিছুটা সাহায্য করেছিলেন। যাইহোক পরবর্তীতে মাছ মুরগি কেটে এগুলোকে ফ্রাই করার জন্য লবণ হলুদ এবং ডিম ভেঙে দিয়েছিলাম, কেননা ডিম ভেঙ্গে দিলে মাছ ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। এরপর এক এক করে সমস্ত জিনিসগুলো ফ্রাই করে নিয়েছিলাম। এরপর রান্নাবান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। এক এক করে আমি রান্নার কাজ সম্পন্ন করে ট্রাই করেছিলাম। প্রতিদিন মোটামুটি বৃষ্টি হলেও আজকের বৃষ্টি পরিমাণ টা অনেকটাই কম ছিল। সবাই অনেক বেশি দোয়া করছিল যেন বৃষ্টি না হয়। কেননা বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে আসার সময় মেহমানদের অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যাবে।
প্রতিটা রান্না করতে অনেক বেশি সময় লেগেছে, কেননা মেহমান আসার কথা ছিল ৩০ জন এরপর আমাদের এখানে ছিল ৩০ জনের বেশি। সবকিছুই অনেক বেশি কঠিন ছিল মোটামুটি বলা যায় একটা চ্যালেঞ্জ। যেটা হয়তোবা আমার জীবনের প্রথম ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাকে অনেকে সাহায্য করেছে এবং আমিও চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। মেয়ের শাশুড়ির জন্য আস্ত একটা মুরগির ফ্রাই করার কথা ছিল। সেটাও আমি একটু একটু করে শেষ করে নিয়েছিলাম। যেহেতু বাড়িতে আরও বেশি মেহমান ছিল তাই সকালে সবার জন্যই বুট মুড়ি তৈরি করেছিলাম। মোটামুটি কিছুটা রান্নাঘর গুছিয়ে আমি অল্প পরিমাণে একটু লেবু পানি খেয়ে নিয়েছিলাম। কেননা গরমের কারণে আমার গলা বারবার শুকিয়ে যাচ্ছিল। আজ এ পর্যন্তই থাক আগামী পর্বে আমি মেহমান আপ্যায়নের পরবর্তী বিষয়ে আপনাদের সাথে তুলে ধরবো। আমরা কিভাবে তাদেরকে আপ্যায়ন করেছিলাম, কিভাবে তাদের সাথে সময় কাটিয়েছিলাম আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
Your post has been upvoted by the Team Foresight.
Let's improve your experience in creating content and interacting with other users.
Thank you very much for supporting me.