"আবারো ফিরে আসা...........!"

in Incredible India9 days ago
IMG_20250729_000936_557.jpg

আমাদের প্রতিটা মেয়ের জীবনে বিয়ের পরে নতুন একটা অধ্যায় শুরু হয়। পরিচিত গণ্ডি পেরিয়ে পরিচিত মানুষদেরকে ছেড়ে নতুন একটা পরিবারের সাথে, তার জীবনের বাকিটা অংশ কাটাতে হয়। নতুন করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। শ্বশুরবাড়ি হয়ে ওঠে তার জীবনের দ্বিতীয় সংসার কিন্তু বাবার বাড়িতে সেই ভালোবাসার শিকড় নিরাপদ স্থান। এটা কখনোই কিন্তু একটা মেয়ে ভুলে থাকতে পারে না। তাই আমার কাছে মনে হয় যখন কোন মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তখন তার মনের অনুভূতি আবেগ অন্যরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেটাতে সে অনেক বেশি খুশি থাকে। মাঝে মাঝে দেখা যায় যখন আমি নিজে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। তখন খাবার দাবার কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তখন মনে হয় কখন বাবার বাড়িতে যাব কখন মায়ের সাথে নিজের মনের অনুভূতি শেয়ার করব। কখন মায়ের কোলে একটু মাথা রেখে মায়ের সাথে গল্প করবো।

এই অনুভূতিগুলো সত্যিই অসাধারণ। মেয়ে না হলে হয়তো বা কখনোই এই অনুভূতি অনুভব করতে পারতাম না। এজন্য অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে। যিনি আমাকে একজন মেয়ে হিসেবে এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার তৌফিক দান করেছেন। মাঝে মাঝে দেখা যায় শ্বশুরবাড়ির সামাজিকতা দায়িত্ববোধ সবকিছু পালন করতে করতে, যেই মেয়েটা নিজের মনের আবেগ লুকিয়ে রাখে। বাবার বাড়ি আসার পর সেই মেয়েটা তার মনের অনুভূতি তার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে শেয়ার করতে অনেক বেশিই পছন্দ করে। বাবা বাড়িতে আসলে একটা মেয়ে অনায়াসে যে কোন সময় হাসতে পারে, আবার অনায়াসেই নিজের মনের অনুভূতি নিজের মায়ের কাছে প্রকাশ করার পর কিছুক্ষণ কান্না করতে পারে। মাথায় আঁচল ঠিক না থাকলেও সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াতে পারে, তাকে কেউ কোনো বাধা দেয় না। কারণ সে এখানে মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে চায়।

IMG_20250729_000936_133.jpg

প্রতিটা মেয়ের মনেই তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসার পর অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়। যেটা সবাই সবার মতো করে প্রকাশ করে, কারণ আমরা মানুষ আলাদা একেকজনের মেন্টালিটি এক এক রকম। তবে ফিরে আসার পর নিজের প্রিয় মানুষগুলোকে একটু জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা অনুভব করার মধ্যে, অন্যরকম একটা ভালো লাগা আছে। প্রতিনিয়ত সেই ভালোলাগা হয়তোবা বাবা-মা কিংবা নিজের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে ভাগ করে নেয়া হয় না। কিন্তু যখন ভাগ করে নেয়া হয় তখন অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে যখন ওকে বিদায় দিয়েছিলাম তখন খুব খারাপ লেগেছিল। কিন্তু যখন গতকালকে ফিরে আসলো, তখন অন্যরকম একটা ভালো লাগে কাজ করলো। ওকে জড়িয়ে ধরার পর মনে হয়েছিল অন্যরকম একটা প্রশান্তি পেয়ে গেছি।

এই বুঝি আমাদের মেয়ে আমাদের কাছে আবারো ফিরে আসলো, চোখের জল চলে আসলো কিন্তু লুকিয়ে রেখেছিলাম। কারণ এখন যদি ওর সামনে চোখের জল বের করি তাহলে হয়তো বা ওর কাছেই খারাপ লাগবে। মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় কিন্তু কিছুই করার নেই আসলে কখনো ওদেরকে নিজের ভাগ্নি মনে করিনি। সব সময় মনে করেছি নিজের মেয়ে। নিজের মতো করে আগলে রাখার চেষ্টা করেছি। ওরাও ঠিক তেমন ওদের মাকে যতটুকু সম্মান করে আমাকে তার চাইতে বেশিই করে। ওদের মাকে হয়তো বা ভয় পায় না কিন্তু আমাকে ভয় পায়। এটাই আমার কাছে সবচাইতে বড় পাওয়া, আবারো ফিরে আশায় অনেক বেশি আনন্দিত, আবারো নিজের মেয়েকে ফিরে পেলাম। অনুভূতিটা সত্যিই সুন্দর ছিল। হয়তোবা প্রকাশ করার ধরনটা একটু ভিন্ন।