Better Life With Steem || The Diary game || 02 August 2025 ||
একটা মানুষ তার জীবনের সবচাইতে বড় ভুল কখন করে জানেন। যখন সে তার নিজের চাইতে অন্য কাউকে অনেক বেশি বিশ্বাস করে, আর সেই মানুষটা যখন বিশ্বাস ভেঙে দেয়। তখন সেই মানুষটা ভেতর থেকে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ে। এ বিষয়গুলো বা এই ঘটনাগুলো আমাদের সাথে অহরোহর ঘটে থাকে। বিশেষ করে আমার সাথে অনেকবার ঘটেছে, এখনো পর্যন্ত যারা আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে। তারা যদি আমার সামনে এসে হাসিমুখে কথা বলে। আমি আবারো তাদের বিশ্বাস করি এটা আমার কোন রোগ কিংবা আমার অভ্যাস কিনা সেটা আমি জানি না। তবে মানুষদেরকে বিশ্বাস করতে আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করি না। এখন থেকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা হচ্ছে যারা ইতিপূর্বে আমার বিশ্বাস নিয়ে আমাকে অবহেলা করেছে এবং আমাকে কষ্ট দিয়েছেন। এখন আর আমি তাদেরকে বিশ্বাস করব না।
যদি প্রয়োজন হয় তাদেরকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব। যদি প্রয়োজন হয় তাদের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেব। যদি প্রয়োজন হয় তাদের সাথে দেখা করা বন্ধ করে দেব। তারপরেও নিজের জায়গা থেকে নিজেকে একটু হলেও স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করব। কারণ আর কতটা বিশ্বাস করব তাদেরকে যতবার বিশ্বাস করেছি। ততবার তারা আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছে, এখন আর তাদেরকে বিশ্বাস করার মন মানসিকতা বা তাদের সাথে কথা বলার ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই। তাই আমার কাছে মনে হয় যারা একবার নয় একাধিক বার আপনার বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে। তাদের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসুন। নিজের মত করে কিছু করার চেষ্টা করুন, জীবনে অন্ততপক্ষে আপনি ভালো থাকতে পারবেন।
সকাল থেকেই আকাশের গর্জন শোনা যাচ্ছে, বুঝতে আর বাকি রইল না সারাদিন অনেক বেশি বৃষ্টি হবে কিন্তু বৃষ্টির মাঝেও নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এটা আমাকে ভুলে গেলে চলবে না। কারণ মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যদি আমার কাজ করা বন্ধ করে দেই। তাহলে সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে যাবে। যাইহোক সকালবেলা নিজের মতন করেই নিজের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। তারপর এক এক করে নাস্তা তৈরি করে নিয়েছিলাম। আসলে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নিজের কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে কিছুটা যেন অনীহা প্রকাশ হচ্ছে ভেতর থেকে। কারণ শরীরটা ভালো নেই বৃষ্টির মধ্যে ভিজে কাজ করা তার উপরে নিজের শরীরের দিকে ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারছি না। তাই হয়তোবা অনেক বেশি খারাপ লাগছে।
শরীর প্রচন্ড ব্যথা যার কারণে কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, কিন্তু তারপরেও করতে হবে যাইহোক সকালের কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়ে, রান্নাবান্নার জন্য এক এক করে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর রান্না-বান্না শুরু করে দিয়েছিলাম কিন্তু আকাশের মধ্যে হালকা মেঘ দেখা যাচ্ছে বাহিরে কাপড়চোপড় দেয়া রয়েছে অনেকগুলো। সেগুলো নিয়ে আসতে হবে দেখতে না দেখতেই বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেল। আসলে বর্ষাকাল বোঝাই যায় না কখন বৃষ্টি হবে আর কখন রোদ হবে। জামা কাপড় গুলো ঘরে নিয়ে আস্তে আস্তে আমি নিজেই ভিজে গেলাম কিছুই করার ছিল না। যাইহোক দুপুর বারোটার সময় আমার রান্না শেষ হয়ে গেল তারপর সবকিছু গুছিয়ে ঘরে নিয়ে আসলাম।
এরপর গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর একটু শুয়ে পড়েছিলাম কারণ প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল। ঘুম থেকে উঠলাম বিকেল চারটার সময় তারপর উঠে ঘরে আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম। দেখতে দেখতেই বিকেলটা গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল। মাগরিবের অজু করে নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম। তারপর ছেলেদেরকে নিয়ে কিছুটা সময় পড়াশোনার জন্য দিয়েছি। আমি তাদের সাথে বসেছিলাম তারা তাদের পড়া শেষ করলে, তাদেরকে রাতে খাবার খাইয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তারা শুয়ে পড়ল আমিও শুয়ে পড়লাম কারণ ভালো লাগছে না আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।