Better Life With Steem || The Diary game || 18 JULY 2025 ||
![]() |
---|
![]() |
---|
কথায় বলে সমস্যা যখন শুরু হয় তখন মনে হয় চারপাশ ঘিরে হয়। বিগত কয়েকদিন অনেক বেশি ব্যস্ত থাকার কারণে নিজের লেখাটা পর্যন্ত সঠিকভাবে সাবমিট করতে পারেনি। আসলে পরিবারের একজন যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন পুরো পরিবার মনে হয় অসুস্থ হয়ে পড়ে। একজনের পেছনে একজনকে সুস্থ করতে গিয়ে যারা হসপিটালে দৌড়াদৌড়ি করে, তারা নিজেরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার উপরে আপনাদের সাথে কিছুদিন আগেই শেয়ার করেছিলাম আমার ভাগ্নিকে দেখে আসার কথা, গতকালকে তার এংগেজমেন্ট ছিল। হসপিটাল থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পর আসলে, আবার এই ধরনের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা অনেক বেশি কষ্ট ছিল।
তবে শুকরিয়া আদায় করি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে, তিনি সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সম্পূর্ণ করার তৌফিক দান করেছেন এটাই হচ্ছে বড় কথা। সকাল বেলা সাতটার সময় হসপিটাল থেকে বাড়িতে এসেছিলাম শ্বশুরমশাইকে নিয়ে। এরপর ওনাকে ওনার রুমে রেখে আগে ঘরে সমস্ত জিনিস গুছিয়ে নিয়েছিলাম, তারপর একটা গাড়ি খবর দিয়ে সোজা শশুর শাশুড়ি এবং নিজের সন্তানদেরকে নিয়ে চলে গেলাম ননদের বাড়িতে। ওখানেও গিয়ে দেখলাম সবকিছু এলোমেলো মসলা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে আছে, সবকিছু আবার ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে ব্লেন্ডার করে নিলাম। একটু পরে রান্না করার জন্য বাবুর্চি চলে আসলো, এরপর ওনাদের কাছে সমস্ত জিনিস বুঝিয়ে দিয়ে একটু শুয়ে পড়েছিলাম।
![]() |
---|
ভেবেছিলাম সারারাত ঘুমাইনি এখন একটু ঘুমানো টা খুব বেশি প্রয়োজন, কিন্তু ঘর গোছানোটা অনেকটাই বাকি ছিল। তাই আবার উঠে পড়লাম এরপর সমস্ত ঘর গোছানো শেষ করলাম। তারপর ভাগ্নি আবদার করল ও লুচি দিয়ে গরুর মাংস খাবে কি আর করব তারপর আবার উঠে গিয়ে লুচি তৈরি করলাম। আমার ছোট ননদ চলে গেল বাজারে কেননা ছেলের জন্য রিং নিয়ে আসাটা বাকি ছিল, সেই কাজ কমপ্লিট করার জন্য উনি সকালেই বের হয়ে গেছিলেন বাড়ি থেকে। তারপর বড় ননস কাছে কল করলাম তাড়াতাড়ি আসার জন্য। এক এক করে মেহমান আসা শুরু হয়ে গেল মোটামুটি রান্নাবান্না তাও কমপ্লিট হয়ে গেল।
এরপর একটা রুমে ফ্যান লাগানো বাকি ছিল ননদ আসার সময় একটা নতুন ফ্যান কিনে নিয়ে এসেছে। আমিও সময় বের করে ফ্যান ফিটিং করে নিয়েছিলাম। নামাজের পরেই মেহমান চলে আসলো। মেহমানদের সবকিছু ঠিক আছে কিনা আগে থেকেই দেখে রেখেছিলাম। এরপর মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ সঠিক ভাবে মেহমানের খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন হল এরপর রিং আদান-প্রদান হলো। এরপর বিয়ের ডেট ফাইনাল হল। সবকিছু মোটামুটি ভালোভাবেই হয়েছে এটা দেখেই অনেক বেশি ভালো লাগলো। তারপর মোটামুটি আসরের নামাজের পরে মেহমান বিদায় দিয়ে আমি আবার সবাইকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। আসার সময় ভাগ্নিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। কেননা তার আরো কিছু কাজ আছে সেগুলো কমপ্লিট করতে হবে। বাসায় এসে তারা আবার মুড়ি চানাচুর মাখা তৈরি করেছিল সবাই মিলে মজা করে সেটা খেয়ে নিয়েছিলাম।
এরপর এশার নামাজ পড়ে শশুর মশাই কে একটা আম খাইয়ে দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। তারপর সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে নিল আমি মাথা ব্যাথার ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। কারণ গত কয়েকদিন ঘুম হয়নি এর আগের রাতে টোটালি ঘুমাতে পারিনি। যার কারণে মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছিল। যাইহোক এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।