Better Life With Steem || The Diary game || 23 July 2025 ||

in Incredible India15 days ago

IMG_20250723_073620_977.jpg

IMG_20250723_073615_509.jpg

IMG_20250723_073615_480.jpg

IMG_20250723_073616_022.jpg

মেয়েদের দুইটা বাড়ি বলা হয় একটা বাপের বাড়ি আরেকটা হচ্ছে শ্বশুরবাড়ি, কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তাদের নিজের বলতে কোন বাড়ি থাকে। না তার পরেও দুই বাড়ি সামলে নিয়ে তাদেরকে জীবন চলতে হয় সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করতে হয়। এটাই হচ্ছে মেয়েদের জীবন। ছোট্ট মেয়েটা ধীরে ধীরে বড় হওয়ার পর তাকে কিভাবে পরের ঘরে দেয়া যায়, এই চিন্তা সব সময় মায়ের মনে বাবার মনে থাকে আর সেই চিন্তা থেকেই মেয়েকে বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে সমস্ত জিনিস পাঠানো সবকিছুতেই অনেক বেশি ঝামেলা এবং সমস্যা পোহাতে হয়। আর এভাবেই মেয়েদের জীবনটা পার করে দিতে হয়। সেই ছোট্ট মেয়েটাকে যখন দেখেছিলাম তখন ও কি কল্পনা করেছিলাম, এই মেয়েটা বড় হবে তাকে নিজের হাতে দিয়ে দেব।

আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের দেখা পেয়ে অনেক বেশি আনন্দিত হলাম। কিন্তু শ্বশুর মশায়ের অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিল না। প্রতিটা মুহূর্তেই উনাকে নিয়ে অনেক বেশি টেনশন এর মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ডায়াবেটিস কমে যাওয়ার কারণে আরো বেশি সমস্যা হচ্ছে, যার কারণে সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ঘরের সমস্ত জিনিস গুছিয়ে নিয়েছিলাম। কেননা ওনার এই অসুস্থতার কারণে সমস্ত সময়টা ওনার পেছনেই দিতে হচ্ছে। তারপর ওনাকে ইন্সুলেন্স দিয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলাম। ওনার মাথায় পানি দিলাম কারণ ওনার প্রচন্ড জ্বর। এরপর ঘরে যাবতীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম, এরপর নিজে গোসল করে রেডি হয়ে ছেলেদের কেউ রেডি করে নিয়েছিলাম।

তারপর সবকিছু রেডি করে ঘর থেকে বের হয়ে আধা ঘন্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলাম। এরপর গাড়ি নিয়ে সোজা চলে গেলাম ছোট ননদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। ওখানে গিয়ে প্রথমত যে মসলা গুলো ছিল সেগুলো ব্লেন্ডার করে নিয়েছিলাম। তারপর গ্যাসের চুলায় রান্না বসিয়ে দিয়েছিলাম। এদিকে আমি ঘরে আরও কিছু কাজ ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করে নিয়েছিলাম। ননদ বাজারে চলে গিয়েছিল, আসলে পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকলে মহিলা মানুষের জন্য কতটা কষ্টকর, সেটা এই কয়েক দিনে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি।

IMG_20250723_073616_369.jpg

IMG_20250723_073615_449.jpg

IMG_20250723_073616_202.jpg

এক এক করে সমস্ত কাজ গুছিয়ে নিতেই দুপুর তিনটা বেজে গেল। তারপর আমি একটু ভর্তা তৈরি করলাম প্রথমে ছেলেদেরকে এবং ভাগ্নিকে খাবার খাইয়ে দিলাম। তারপর নিজে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম পরে ননদ চলে আসলো। তারপর বাদবাকি যেন ননদ গুলো রয়েছে তারা চলে আসলো। এরপর এক এক করে মেহেদী তোলা থেকে শুরু করে প্রতিটা অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। সবকিছু এক এক করে সামলানোটা অনেক বেশি কষ্ট করছিল। কেননা প্রচন্ড গরম তার উপরে কারেন্ট না থাকার কারণে সবার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।

IMG_20250723_073616_153.jpg

IMG_20250723_073616_211.jpg

IMG_20250723_073616_177.jpg

IMG_20250723_073615_744.jpg

মোটামুটি সন্ধ্যার পরে কিছুটা কাজ আমরা গুছিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো এক এক করে সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ করতেই রাত আড়াইটা বেজে গেল। এরপর মেয়ের হাতে মেহেদী দেওয়া বাকি ছিল মেহেদি দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল রাত ৪ঃ০০ টায়। এরপর কারেন্ট না থাকার কারণে আমার ভাগ্নি গুলো এবং আমি সবাই মিলে গল্প করছিলাম। সকাল ছয়টার সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম এরপর সাড়ে সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠলাম, আর এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত করলাম। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  

Congratulations @rubina203, your post was upvoted by @supportive.