Incredible India monthly contest of June by @tanay123 | Photography Contest -3

বৃষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে মেঘ পছন্দ করে তবে বৃষ্টি নয়। তবে আমার কাছে মনে হয় মেঘ ছাড়া বৃষ্টি কখনোই এই পৃথিবীতে হতো না। যদি ভালবাসতে হয় যদি পছন্দ করতে হয়, তাহলে দুইটা জিনিসকেই সমান অধিকার দেয়া উচিত। তাই আমি মনে করি দুইটা জিনিস আমাদের জন্য অনেক বেশি উত্তম।

আজকের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু বর্তমান সময়ের ঋতুর উপর নির্ভর করে কিন্তু খুবই সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ বর্তমান সময় বর্ষাকাল, চারপাশে বৃষ্টির আনাগোনা মোটামুটি দেখা যায়। তাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে খুব বেশি চিন্তার কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই নিজের জায়গা থেকেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য চলে আসলাম।

@kosya @saathi @jeehun

তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে আমি আমার বেশ কিছু বন্ধুকে এখানে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আপনারা ও বৃষ্টি সম্পর্কে আপনাদের মনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করুন এবং আপনাদের কোন স্মৃতি থাকলে সেটাও তুলে ধরুন।

এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলতে চাই, অবশ্যই আমি বৃষ্টি অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় বৃষ্টি এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের মনের ক্লান্তি, যত সমস্যা সবকিছু ধুয়ে মুছে আমাদের মনটাকে একেবারেই পরিষ্কার করে তোলে। বিশেষ করে বৃষ্টিতে ভিজতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে এই পছন্দের পেছনেও বেশ কিছু কারণ আছে।

শান্তির অনুভূতি: বৃষ্টির টিপটাপ শব্দ আমার মনকে শান্ত করে। এটা যেন এক ধরনের প্রাকৃতিক সঙ্গীত। এই সংগীত শোনার পর অন্যরকম একটা অনুভূতি মনের মধ্যে ধারণ করি। যেটা আসলে কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব না তবে অনেক বেশি শান্তি পাই।

স্মৃতি ও আবেগ: বৃষ্টি অনেক সময় আমার পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে তোলে—শৈশবের দিন, ভালোবাসার মুহূর্ত বা একাকীত্বের সন্ধ্যা। এই মুহূর্তগুলো হঠাৎ করেই কিন্তু আমাদের মনে চলে আসে, যখন হঠাৎ করেই বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। আর বৃষ্টির কারণে নিজের মনের আবেগ সেই মুহূর্তগুলোকে আবারো অনুভব করতে চায়।

প্রকৃতির নতুন রূপ: বৃষ্টির পর গাছপালা ধুয়ে গিয়ে একদম টাটকা ও সতেজ হয়ে উঠে। চারপাশটা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। চারপাশের পরিবেশের দিকে তাকালে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দের সুর বেজে ওঠে

আড়াল হওয়ার সুযোগ: আমি বৃষ্টির দিনে একা থাকতে ভালোবাসি—নিজের সঙ্গে সময় কাটানো, আমার নিজের ভাবনার জগতে হারিয়ে যাওয়ার এক আদর্শ পরিবেশ। এই বৃষ্টির মুহূর্তটা আমার কাছে মনে হয়, তাই আমি এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।

অনেকেই আবার বৃষ্টি পছন্দ করে না, তবে আমার যেহেতু বৃষ্টি পছন্দ সেই সময়কার ফটোগ্রাফি ধারণ করাটা আমার একটা শখ। আকাশে যখন মেঘের ভেলা উড়ে বেড়ায় তখন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। সে সময়কার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমার কাছে আগেও ছিল। তবে এখন অল্প পরিমানে রয়েছে তাই শেয়ার করছি কারণ বেশ কিছু ছবি ডিলিট হয়ে গেছে।

ছবিগুলো অবশ্যই আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, আকাশের মধ্যে বৃষ্টি যখন উড়ে বেড়ায় তখন অন্যরকম এক ভালো লাগার কাজ করে। আসলে কেউ কেউ আকাশের সৌন্দর্য দেখে নিজের মনের প্রশান্তি খুঁজে পায়।

আমার কাছে বৃষ্টি মানেই হচ্ছে নরম একটা আবহাওয়া। যেখানে শব্দের পরিমাণটা অনেকটাই কমে আসে ধোঁয়াটে আকাশ তখন মনের কথা শুনতে পায়। আর বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা আমাদের মনকে ছুঁয়ে যায়। স্মৃতি হিসেবে বলব স্কুল জীবনের কিছু মুহূর্ত, আমাদের স্কুল টা অনেক বেশি পুরনো ছিল। ভাঙা কাঁচের জানালার পাশে আমরা বসে থাকতাম। বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে টুপটাপ শব্দ কানের মধ্যে ভেসে আসতো। অদৃশ্য চোখের চাহনি দিয়ে তাকিয়ে থাকতাম বাহিরে। বাহিরের গাছপালার পাতাগুলো হালকা হাওয়ায় কাঁপতে শুরু করতো।

বৃষ্টিতে মাটি ভিজে যাওয়ার কারণে হালকা হওয়াতে মাটির গন্ধ আমাদের নাকে এসে লাগতো, আর এমন শান্ত পরিবেশে মনে হতো এই বুঝি পৃথিবীটা থমকে গেছে, কিছুটা প্রশান্তি আমাদেরকে দেওয়ার জন্য। এখানে আমি আমার বাড়ির কিছু স্মৃতিও বলে ধরতে চাই। কারণ যখন বৃষ্টি হত তখন ছাতা ছাড়া উঠানোর মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার মুহূর্তটা ছিল অন্যরকম। মুখে একটু হাসি আর বৃষ্টির ফোঁটা যখন শরীরের উপর পড়তো, তখন মনে হতো অনেক বেশি প্রশান্তি। সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়ার পর মায়ের হাতে খাওয়া বকুনি গুলো এখনো মনে পড়ে, তবে সেই দিনগুলো চলে গেছে অনেক দূরে।

অনেক সময় দেখা যেত অনেক বেশি বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারণে ঠান্ডা লেগে যেত। ঠিক তখনই মা বুঝতে পারত এখন ঠিক কি খেতে ইচ্ছে করছে। গরম গরম খিচুড়ি সামনে নিয়ে এসে দিত আর মন ভরে সেই খিচুড়ি খেয়ে অনেক বেশি প্রশান্তি পেতাম। আসলে সেই দিনগুলো এখন স্মৃতি তবে যখন আজকে আপনাদের সাথে সে স্মৃতিগুলো তুলে ধরছি, তখন সত্যিই মনে হচ্ছে সেই মুহূর্তগুলো যদি আবার ফিরে পেতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। স্মৃতিগুলো শেয়ার করে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আশা করি আপনাদের স্মৃতিগুলো অনেক বেশি সুন্দর ছিল।

চেষ্টা করেছি নিজের জায়গা থেকে প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।