Poetry Contest 01| কবিতা - জুলুম ও ত্যাগ |
প্রিয় Incredible India কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। কমিউনিটির একজন সদস্য @mamun123457 ভাই একটি কবিতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ। প্রথম পর্বে তিনি আলো এবং অন্ধকারকে টপিক হিসেবে চূড়ান্ত করেছেন। কবিতা লিখতে আমার ভালো লাগে। তাই আমি এই প্রতিযোগিতা আমার জুলুম ও ত্যাগ শিরোনামে কবিতাটি লিখেছি।

জুলুম ও ত্যাগ |
---|
গহীন রাতে তীব্র অন্ধকারের মাঝে
চাঁদের মৃদু আলোও যখন থাকেনা।
নিশাচর প্রাণীরা তখন চরে বেড়ায়,
সভ্যতার সীমারেখা তখন খাটেনা।
অধম পশু রাতেই আনাগোনা করে,
অন্ধকার সেই নিঝুম নিস্তব্ধ রাতে।
পেটের তাগিদেই তারা হামলা করে,
ঘরে ফিরে যায় সোনালি প্রভাতে।
নিজেদের জীবন চক্র ভাঙ্গেনা পশুরাও,
হোক তা আলো কিংবা অন্ধকারে।
রাতের আঁধারে ঘরে ফিরে কেউ কেউ,
ভোরের আলোতে যায় নতুন প্রান্তরে।
কিন্তু হায়, সবচেয়ে উন্নত জীব,
ক্ষমতার দাপটে হয়ে যায় অন্ধ।
দিনকে তারা রাত করে ফেলে,
মনমতো না হলে সব বন্ধ।
জোর আছে যার, লুট করে সে,
আঁধার কিংবা আলোর বালাই নাই।
আলোতে সে অসুর, অন্ধকারে শয়তান,
তার মধ্যে কোন মানবতা নাই।
এহেন দৈত্য, করে যায় জুলুম।
তারে থামাবার সাধ্য আছে কার?
যে থামাতে যায়, সে মারা যায়,
ধরণীতে নেমে আসে হাহাকার।
কিছু মানুষ আছে অবতার সম,
দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ মন।
দুঃখি মানুষের তরে ছুটে যায় সে,
আছে মজলুমরে সাহায্য করার পণ।
তাদের জন্য ধরা আজও টিকে আছে,
নয়ত ধ্বংস হয়ে যেতো অনেক আগেই।
খারাপদের ওই কুৎসিত কাজে নয়,
ধরা টিকে আছে ভালোদের ত্যাগেই।

এই কবিতাটি লেখার কারণ হচ্ছে আলো ও অন্ধকারকে আমরা মানবিকতা এবং অমানবিকতা, সভ্য এবং অসভ্য, ভালো এবং মন্দ; এসবের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করি। তার উপর ভিত্তি করে শুরুতে পশু সমাজে আলোকপাত করি। সাধারণত মাংসাশী পশুগুলো নিশাচর হয়। তারা নিজেদের খাদ্যের তাগিদে অন্যান্য প্রাণীকে হত্যা করে এবং সেগুলোকেই খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। মানুষের মত সব্যসমাজের যা খুবই নিন্দনীয় একটি কাজ হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু পশুদের জন্য এটা তাদের জীবিকার চ্যালেঞ্জ। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
মানুষ হিসেবে আমরাও কিছু কিছু প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকি। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের একটির উৎস হচ্ছে প্রাণীদের মাংস। অবশ্য বর্তমানে পরিবেশ সচেতন কিছু মানুষ এধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেষ্ট অবস্থান নিয়েছে। আমি এখানে দোষের কিছু দেখিনা। এদাবি যেন এক প্রকার ন্যায দাবি। তদুপরি, কিছু মানুষরূপী অমানুষ রয়েছে যারা এসবের ঊর্ধ্বে গিয়ে, নিজেদের মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিয়ে, মানুষের মধ্যেই অবলা পশুদের স্বভাব নিয়ে এসেছে।
পশুরা যদি হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ প্রাণীও হত্যা করে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে, তাতেও কোন অন্যায় নেই। কারণ স্রষ্টা তাদেরকে সেই বুদ্ধি, বিবেক, বিবেচনা দিয়ে সৃষ্টি করেনি। কিন্তু মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। কারণ মানুষের রয়েছে বুদ্ধিমত্তা, আবেগ, বিবেক, মনুষ্যত্ব। কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছে যাদের মধ্যে কোন প্রকার বিবেক এবং মনুষ্যত্ব নে।ই তাদের কাজগুলো হয় অমানুষের মত। যা খুবই নিন্দনীয়। আবার কিছু মানুষ আছে যারা অনেক ভালো। যেন অবতার। তাদের মানবিকতা, ন্যায় এবং সততার জন্যই এখনও পৃথিবী টিকে আছে। ঠিক যেন আলো আর অন্ধকার। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই আমি আমার কবিতাটি লিখেছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কবিতা শেয়ার করার জন্য। আপনারা কবিতাটি সত্যি খুব সুন্দর লাগলো, তবে কনটেস্টে অংশগ্রহণের সময়সীমা পার হয়েছে সেজন্য আপনার লেখার সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হলো না। আপনাকে অনুরোধ করবো পরবর্তীতে কনটেস্টে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সময়সীমা ভালো ভাবে যাচাই করে নিবেন। ভালো থাকবেন।