"খালামণিদের সাথে মীরার খেলার সুন্দর মুহূর্ত"

in Incredible India20 days ago

আসসালামু আলাইকুম জীবনের অনেক ছোট ছোট মুহূর্ত থাকে যেগুলো হয়তো কারো চোখে তেমন গুরুত্ব পায় না কিন্তু একজন মায়ের হৃদয়ের সেই স্মৃতিগুলো অমূল্য হয়ে জায়গা করে নেয়। আজ আমি তেমনি এক হৃদয় স্পর্শী গল্প শেয়ার করছি আমার মেয়ে আর তার প্রিয় খেলার সঙ্গীদের নিয়ে।

IMG_20250719_191551.jpg

আমার মেয়েটা এখনো খুব ছোট মাত্র দুই বছর পার করছে এতোটুকুন একটা বাচ্চা যার মনের ভেতর আনন্দ আর কৌতূহলের ঝর্ণাধারা বয়ে চলে সারাক্ষণ। কিন্তু ওর একটা স্বভাব, পরিচিত কেউ না থাকলে একদমই থাকতে চায় না। ভয় পাই কান্নাকাটি করে কোলে চরে থাকে।সেই কারণে কোথাও গেলে আমাকে সব সময় ওরে পুরো মনোযোগ দিয়ে দেখতে হয়। কিন্তু এবার ব্যাপারটা একেবারে অন্যরকম হয়েছে।

IMG_20250719_191633.jpg

আমরা এসেছি আমার বাবার বাড়িতে। আর বাড়িতে আছে আমার দুই চাচাতো জমজ বোন। তারা আমার মেয়ের প্রায় তিন মাসের বড়, কিন্তু ধরতে গেলে তারা সমবয়সী প্রায়। আমার এই দুই বোনকে আমার মেয়ে খুব ভালোভাবে চেনে। ওরা আসলে শুধু খালা নয় ওদের বলা যায় ওর প্রিয় খেলার সাথীও। যখনই আমরা বাড়িতে পা রাখলাম মেয়েটার মুখে এক ঝলক হাসি। চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। আমার দুই বোন এক দৌড়ে এসে ওকে করে তুলে নিল।

IMG_20250719_191618.jpg

এরপর থেকেই শুরু হলো এক অন্যরকম দুষ্টুমি আর আনন্দের সময়। আমার মেয়েটা পুরো বাড়ি জুড়ে লাফালাফি শুরু করল একবার বারান্দায় একবার উঠোন আবার কখনো ঘরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়। দুই খালাও কম যায় না তারাও ওকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলা করতে লাগলো। কখনো তারা বালিশকে গাড়ি বানিয়ে খেলা করছিল কখনো দৌড়াদৌড়ি লাফালাফি কখনও গোল্লাছুট,লুকোচুরি কখনো চেয়ার দিয়ে ঘর বানিয়ে ফেলছে। কখনো দেখি ওরা তিনজন মিলে বালিশের উপর লাফাচ্ছে। রান্নাঘর থেকে ছোট্ট পাতিল নিয়ে বসেছে খেলা রান্নাবাটি খেলতে।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল আমি এবার ওর পাশে বসে থাকতে পারছিলাম না ঠিকঠাক।। কারণ আমার পরীক্ষা চলছিল। পড়াশুনা করার জন্য ব্যস্ত থাকছিলাম এবং পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ে খুব একটা কান্নাকাটি করেনি। ও এতটাই ব্যস্ত খালাদের সঙ্গে খেলায় মেতে উঠেছিল যে আমার অনুপস্থিতি খুব একটা টের পায়নি। আমি জানি যদি আমার ওই দুইটা বোন না থাকতো তাহলে আজ এই আনন্দগুলো হত না।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...