" পরিকল্পনা বিহীন এক সুন্দর সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। এই মুহূর্তে আমি ট্রেনে বসে আপনাদের সাথে পোস্ট লেখা শুরু করলাম, তবে কখন করবো জানি না। কি প্রয়োজনে, কোথায় যাচ্ছি, সে কথা পরবর্তী পোস্টে না হয় শেয়ার করবো।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অপরিকল্পিতভাবে ঘটা গত পরশুদিন সন্ধ্যাবেলার কিছু সুন্দর মুহূর্তের কথা। জীবন সম্পর্কে আমাদের পরিকল্পনা অনেক, কিন্তু তা পূরন না হলে মনটা মাঝেমধ্যেই খারাপ হয়। তবে জীবনের এক অন্য নিয়ম আছে, যেই নিয়মের কারণে কখনো কখনো হঠাৎই পরিকল্পনা বিহীন কিছু মুহূর্ত মনের মধ্যে আনন্দের অনুভূতি জাগায়। চলুন এমন কিছু অনুভূতির কথায় আজ শেয়ার করি, -
যদিও আমি জানিনা এই সমস্যাটা সকলের আছে কিনা, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভিতরে এই জিনিসটা ভীষণভাবে আছে যে, আমার যদি কোনো একটা দোকান বা রেস্টুরেন্ট এর খাবার প্রথমবার খেয়ে পছন্দ না হয়, তাহলে দ্বিতীয়বার আর সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমার খেতে ইচ্ছা করে না।
উল্টোদিকে এটাও সত্যি যে, কোনো রেস্টুরেন্ট এর খাবার যদি ভালো লাগে, তাহলে সেখানে বারবার যেতে মন চায়। তবে সেই সময় ও সুযোগ সব সময় হয়ে ওঠেনা।
প্রসঙ্গত একটা দোকানের কথা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে। আমার শ্বশুর মশাই হসপিটালে ভর্তি থাকাকালীন, হসপিটালের পাশেই ছোট্ট একটা দোকান ছিলো, যেটা বাইরে থেকে দেখে একেবারেই পছন্দ হওয়ার মত নয়। তবে ওই মুহূর্তে ওই দোকানে খাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিলো না।
তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই ঐ দোকানে ঢুকেছিলাম দুপুরের খাবার খেতে। আমার সাথে আমার ননদ এবং শুভ ছিলো। আমরা সেখানে ভাত খাইনি, রুটি এবং চানা অর্ডার করেছিলাম। আপনারা বিশ্বাস করবেন না ওইখানকার চানামশলা খাওয়ার পর, আমার মনে হলো সত্যিই এই প্রচলিত কথাটি একেবারেই সঠিক যে, - "বাইরের রূপ বা বাহ্যিক অবয়ব দেখে কোনো মানুষ বা বস্তুকে যাচাই করা উচিত নয়, কারণ বাহ্যিক রূপ সবসময় আমাদের বা কোনো জিনিসের ভিতরের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে না।"
![]()
|
---|
ওই দোকানের মতন অতো সুস্বাদু চানা আমি এর পূর্বে আর কোথাও খাইনি। ঠিক তেমনই একটা দোকান হলো আমাদের এই ফুড কর্নার। দোকানটা ভীষণ সাজানো গোছানো একথা বলবো না, আর পাঁচটা সাধারণ ফাস্টফুডের দোকানগুলো যেমন হয়, ঠিক তেমনই।
ভিতরের দিকে কয়েকটা টেবিল চেয়ার রাখা আছে। তিন চারটে ছেলে মিলেই দোকানটা চালায়। শুভর কাছে যেমন শুনেছি, ওরা বন্ধুরা মিলেই দোকানটি খুলেছে। হোম ডেলিভারির জন্য একটা আলাদা ছেলেকে রেখেছে, যে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে হোম ডেলিভারি দেয়। আমরাও বেশ কয়েকবার অর্ডার করেছি ওই দোকান থেকে। আমি যতবার ঐ দোকানের খাবার খেয়েছি, আমার খুব ভালো লেগেছে।
বিশেষ করে এই দোকানের প্যান ফ্রায়েড মোমো আমার ভীষণ পছন্দের। বেশ অনেকদিন ধরেই মোমো খেতে ইচ্ছা করছিলো, তবে গরমের কারণে আর আলাদা করে বাইরে যেতে ইচ্ছে করছিলো না। তবে গত পরশু শুভ অফিস থেকে বেরোনোর আগে ফোন করাতে কেন জানি না হঠাৎ করে রাজি হয়ে গেলাম যাওয়ার জন্য।
এই দোকানে না যাওয়ার আরও একটা কারণ হলো- আমরা যতবার এই দোকানে খেতে গিয়েছি আমাদের সাথে পিকলুও গিয়েছে। যতবার পিকলুকে নিয়ে গিয়েছি, ততবারই দোকানের কর্মরত ছেলেগুলো হোক, কিংবা খাবার খেতে আসা বা খাবার কিনতে আসা সকলেই একবার করে পিকলুকে আদর করেছে।
গতকালও গিয়ে সেই বিষয়টাই বেশি মিস করছিলাম। যাইহোক শুভর যেহেতু ছেলেগুলোর সাথে মোটামুটি মুখ চেনা হয়ে গেছে, যাওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে বসতে বলাতে আমরা ভিতরে গিয়ে বসলাম। তবে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে আবার কিছুক্ষণ বাইরে এসে দাঁড়ালাম।
![]()
|
---|
খাবার সার্ভ করার পর ওরা আমাদেরকে বসতে বলল এবং দুজনে মিলে প্যানফ্রায়েড মোমো খেয়ে নিলাম। আসলে বাড়িতে নিয়ে আসলে মোমো গুলোর ক্রিসপিনেস একেবারেই থাকে না। কেমন যেন গরমের কারণে নেতিয়ে যায়। আসলেই যেকোন ক্রিসপি জিনিস গরম অবস্থায় যদি আটকে দেওয়া হয়, তাহলে একটু নরম হয়েই যায়। যাইহোক সেখান থেকে মোমো খাওয়া শেষ করে, পাশের দোকান থেকে আবার আইসক্রিম কেনা হলো।
![]()
|
---|
শুভ ওখানে দাঁড়িয়ে খেতে বলছিলো, কিন্তু আমার ঠিক ভালো লাগছিল না তাই আইসক্রিম দিয়ে সোজা বাড়ি চলে এলাম। শাশুড়ি মায়ের জন্যেও আইসক্রিম আনা হয়েছিল, তিনি ওনারটা খেলেন এবং আমি আমার ও শুভর আইসক্রিম ফ্রিজে রাখলাম রাতে খাবার পরে খাবো বলে।
![]()
|
---|
ভেবেছিলাম রাতে ডিনার করতে পারবো। তবে তেমনটা আর হয়ে ওঠেনি। তাই সমস্ত কাজ শেষ করার পর আইসক্রিম নিয়ে সোজা উপরে চলে গিয়েছিলাম। অনেকক্ষণ ধরে দুজনে মিলে বসে আইসক্রিমটাও উপভোগ করলাম। চকলেট আইসক্রিম আমার বরাবরের ভীষণ প্রিয়।
সবকিছু মিলিয়ে একটা অপরিকল্পিত সুন্দর সন্ধ্যা কাটলো সেদিন। তবে পিকলুকে ভীষণ মিস করেছি। আসলে কোনো কোনো দিন, কোনো কোনো মুহূর্ত এমন থাকে যে প্রিয় কোনো জিনিসকে আমরা বড্ড বেশি মিস করি।
আর পিকলু শুধু আমার প্রিয় ছিলো এমনটা নয়, আমার জীবনের একটা অঙ্গ ছিলো। আর থেকেও যাবে সারা জীবন। কারণ অনুভূতির পাতা হোক কিংবা স্মৃতির পাতা এই দুই জায়গাতেই পিকলুর অবাধ বিচরণ।
যাইহোক কিছু সুন্দর মুহূর্তের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ছবি তুলতে আমি এবং শুভ দুজনেই অপছন্দ করি, তাই আলাদা করে আর সেলফি তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করিনি।
তবে রেস্টুরেন্টের ও প্যানফ্রায়েড মোমোর ছবিটা দেখে আপনাদের কেমন লাগলো সেটা কিন্তু মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আর চকলেট আইসক্রিম কারবার পছন্দ সেটাও জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
Wow, only this your food got my attention 🤸, I really like how it was prepared, actually you really enjoyed
কিছু লেখা পড়লে অনুভব করা যায় লেখক ফুরফুরে মেজাজে লেখাটি লিখেছে। শব্দচয়ন, অপ্রাসঙ্গিক কোন বিষয়কে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন এটা প্রাসঙ্গিকই।
কিছু লেখা থাকে, যা পুরো সময় জুড়ে আমার মনযোগ ধরে রাখতে পারে। এটি তেমনই একটি লেখা। ভীষণ সাবলীল এবং মজাদার, মোমোর মতই। হাহা।
দিদি, আমি আসলে পিকলু সম্পর্কে জানিনা। এজন্য আফসোস হচ্ছে। পিকলুকে যদি একটু বলতেন।
উপরে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সেই পিকলু। আমার পোষ্য বা বলা ভালো আমার জীবনের এক অঙ্গ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন আপনার দিনটা শুভ হোক।
ওহ। ওকে তো চিনি আমি। শুধু নামটা জানতাম না। ধন্যবাদ দিদি।