"ইকো পার্কে জাপানিস ফরেস্টে কাটানো কিছু সুন্দর মুহুর্ত"

in Incredible India13 days ago
IMG_20250909_102052.jpg

Hello,

Everyone,

গতকাল আপনাদের সাথে বান্ধবীদের সাথে ইকোপার্কে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের প্রথম পর্বের গল্প শেয়ার করেছিলাম। তাই গতকাল যেখানে শেষ করেছিলাম, তারপর থেকেই আজকের পর্ব শুরু করছি।

IMG_20250909_102253.jpg

ইকো পার্কের মধ্যে জাপানিস ফরেস্ট বলে একটা অংশ রয়েছে, যেখানে এর পূর্বে আমরা কেউই যাইনি। এই কারণে খেতে খেতে আমরা ডিসাইড করেছিলাম, প্রথমে এই জাপানিস ফরেস্টি দেখতে যাবো। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেদিন সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম, একটা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এই ফরেস্টের বেশ কিছুটা অংশ বুক করা রয়েছে।

IMG_20250909_102127.jpg

ফলতো সেখানে নো এন্ট্রি। কারণ সমস্ত কিছু আয়োজনের কাজ চলছে। তাই সম্পূর্ণটা ঘুরতে না পারলেও, বেশ কিছুটা অংশ ঘুরে দেখলাম। মেইন এন্ট্রি বন্ধ থাকার কারণে আমরা জাপানিস একটা রেস্টুরেন্টের গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম। ভিতরের দিকে কাঠের খুব সুন্দর একটা ছোট্ট ব্রিজ করা আছে, যেটা পার করেই আমরা জাপানিস টেম্পলে পৌঁছালাম।

IMG_20250909_102110.jpg

জাপানিস ফরেস্টের বেশিরভাগ অংশই জাপানি নকশা করা হয়েছে। এমনকি আপনারা যদি রেস্টুরেন্টের ছবিটা খেয়াল করেন, তার মধ্যেও তার ঝলক দেখতে পাবেন। যাইহোক ভিতরে শান্ত পরিবেশ, চারিদিকটা একেবারেই নিস্তব্ধ। তাই সেখানে হাঁটতে এবং মন্দিরটা ঘুরে দেখতে খুব একটা মন্দ লাগেনি। তবে সম্পূর্ণটা ঘুরে দেখতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো।

IMG_20250909_102238.jpg
IMG_20250909_102202.jpg

যদিও জানি না জাপানিস রেস্টুরেন্টে জাপানের কোনো অথেন্টিক খাবার পাওয়া যায় কিনা। আমরা সেখানে প্রবেশ করিনি। শুধুমাত্র বাইরে থেকে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা দেখেছিলাম এবং তার একটা ছবি তুলেছিলাম। জাপানিস টেম্পলে বেশ কিছুটা সময় আমরা কাটিয়েছিলাম। আশেপাশের জায়গাটাও খুব সুন্দর ঘাস ও বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো রয়েছে, যা মনে এক অন্য রকমের প্রশান্তি এনে দেয়।

IMG_20250909_102145.jpg

সেখানে বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পর আমরা আরো বেশ কিছুটা এগিয়ে গেলাম এবং সেখানে একটা গ্রামের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মাটির বাড়ি, ধানের গোলা, চাষের জমি, ধান ভাঙ্গার ঢেঁকি, কুমোরটুলি এই সমস্ত কিছুকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে তৈরি করা মাটির বাড়িগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে বাঁশ দিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

IMG_20250909_102345.jpg
IMG_20250909_102441.jpg

আমরা যখন ভেতরে ঘুরছিলাম ততক্ষণে বেশ ভালো রোদ্দুর উঠে গেছে। তবে ছাতা মেলে ভেতরের দিকে ঘোরাটা সম্ভব হচ্ছিলো না, তাই পিয়ালীর নিয়ে যাওয়া টুপিটা একবার আমি, একবার রাখি, একবার সঙ্গীতা, সবাই মিলে পড়ছিলাম।

তারপর যেমনটা হয়, বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম আমরা। সেখানে প্রবেশের জন্য আমাদেরকে টিকিট কাটতে হয়েছিলো, যার মূল্য ছিল জন প্রতি ১০ টাকা। তবে সেই মুহূর্তে টিকিট ঘরের ছবি আর তোলা হয়নি। সত্যি বলতে এক একজনের ফোনে এক এক সময় ছবি তোলা হয়েছিলো। সব ছবি এক জায়গায় নেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে দেখতে পারছি বেশ কিছু ছবি আমার ফোনে নেই।

IMG_20250909_122948.jpg

যাইহোক সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। কারণ অনেকটা হাঁটার পরে কিছুটা সময় না বসলেই শরীর সাথ দিচ্ছিল না। একটু দূরেই একটা আইসক্রিমের দোকান চোখে পড়াতে, সবাই মিলে ঠিক করলাম বসে একটু আইসক্রিম খাওয়া যাক। তাই আমাদের সকলের পছন্দের চকলেট (কর্নেটো) আইসক্রিম আনা হলো এবং চারজনে মিলে সেখানে বসে আইসক্রিমটা এনজয় করলাম।

IMG_20250909_102404.jpg

তারপর সেখান থেকে উঠে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিকালটা আমরা সকলে মিলে ঝিলের পাড়ে বসেই কাটাবো। যেই দিকটাতে আইফেল টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে, ইচ্ছে ছিল সেদিকে গিয়ে পড়ন্ত বিকেলের মুহূর্ত গুলো উপভোগ করার। তাই সেই রকম ভাবনা থেকেই আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। বেশ কিছুটা পথ পেরিয়ে তবে আইফেল টাওয়ারের কাছাকাছি যেতে হবে।

IMG_20250909_102319.jpg
IMG_20250909_102421.jpg

যাওয়ার পথে একটা কুঁড়েঘর চোখে পড়লো, কুঁড়েঘর বলা ভুল হবে এটা আসলে একটা রিসোর্ট তৈরি করা। কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পেলাম যে, সেখানে আপনারা চাইলে এক রাতের জন্য থাকতেও পারবেন। খুব সুন্দর রকমারি ফুল দিয়ে রিসোর্টটা সাজানো ছিলো এবং ছোট্ট একটা রিসেপশন তৈরি করা ছিলো। যেখানে গিয়ে ডিটেইলসে কথা বলে বোধহয় রিসোর্ট বুক করা যায়। যাইহোক আমরা আর ভিতরে প্রবেশ করিনি, বাইরে থেকে তার একটা ছবি তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করলাম আইফেল টাওয়ারের দিকে।

IMG_20250909_102500.jpg

পথের মধ্যে সুন্দর জায়গা দেখলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছি, দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলেছি, এমন করতে করতেই পথ পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম আইফেল টাওয়ারের কাছে, যেখানে পড়ন্ত বিকেলের ভীষণ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমরা কাটিয়েছি। বাড়ি ফেরার পূর্ব মুহূর্তে কতো ধরনের পাগলামি করেছি তা পরবর্তী পোস্টে ছবির মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

যাইহোক ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সকলে। আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটা খুব ভালো কাটুক এই আশাকরে আজকের পোস্ট লেখা এখানেই শেষ করছি।

Sort:  
Loading...

Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator06. We encourage you to publish creative and quality content.

Curated By: @wirngo