"জন্মদিনের শেষপর্ব- স্মৃতি করে রাখা কিছু সুন্দর মুহূর্ত"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন। গতকাল দাদার জন্মদিনের প্রথম পর্ব টুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে পরবর্তী অংশ শেয়ার করতে করেছি। আশাকরছি আপনাদের সকলেরই পড়তে ভালো লাগবে।
যেমনটা আপনাদের গতকাল জানিয়েছিলাম, দাদার জন্মদিনে সব থেকে বেশি আনন্দে ছিল তিতলি এবং তাতান। বাবার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ওদের আবদার ছিলো বাড়িতে তাদেরকে পিৎজা বানিয়ে দিতে হবে। বাইরে থেকে অর্ডার করে এনে দিলে হবে না, বাড়িতেই নাকি তৈরি করে দিতে হবে।
![]() |
---|
দিদি পিৎজা বেস আগে থেকেই বাড়িতে কিনে রেখেছিলো। কারণ ওটা তৈরি করতে অনেকটা সময় যাবে। তাই যেগুলো রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোই এনে রেখেছিলো। যাতে সহজেই তৈরি করা যায়। তবে যে সস এবং অন্যান্য উপকরণের প্রয়োজন ছিলো, সেগুলো ঘরেতে বসেই অর্ডার করে দিয়েছিলো। মিনিট ১৫ এর মধ্যে সেগুলো ডেলিভারি দিয়ে গিয়েছিলো।
যদিও বা আমি জীবনে এই প্রথমবার বাড়িতে পিৎজা বানালাম, তবে খেয়ে ওরা তো বেশ খুশি হয়েছে। যাইহোক কি করে তৈরি করতে হয় সেটা অবশ্যই ইউটিউবে দেখে নিয়েছিলাম। তারপর নিজের মতো করে বানিয়েছি। রেসিপির ছবিটা আলাদা ভাবে তুলে রেখেছি, পরবর্তীতে আপনাদের সাথে নিশ্চয়ই শেয়ার করবো।
![]() |
---|
বাচ্চাদের কথায় খেতে তো বেশ ভালোই হয়েছিলো। তবে দুঃখের বিষয় বড়রা কেউই খাইনি, তাই ওদের ফিডব্যাকটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আসলে অন্য কিছু নয়, একটু বেশি করে চিজ দিলেই ওরা খুশি।
![]() |
---|
যাইহোক ওরা পিৎজা খাওয়া শেষ করার পর আমারাও রান্না ঘরের কাজ সমস্ত কিছু শেষ করে নিয়েছিলাম। দিদির খুব ইচ্ছে করছিলো পনির বাটার মশালা দিয়ে বাটার নান খাবে। তখন বাড়িতে সেটা তৈরি করা সম্ভব ছিল না বলে, বাবা গিয়ে দিদিদের পাশের একটা রেস্টুরেন্ট থেকে বাটার নান ও রুমালি রুটি কিনে এনেছিলো। এই রেস্টুরেন্টের রিভিউ আমি আপনাদের সাথে এর আগেও একবার শেয়ার করেছিলাম।
![]() |
---|
যাইহোক সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা সকলে মিলে কেক কাটতে গেলাম। দাদাকে পায়েস দেওয়ার জন্য দিদি খুব সুন্দর একটা কাঁচের বাটি কিনেছে। শুধুমাত্র পায়েস দেওয়ার জন্যই কিনেছে এমনটা বলাও ভুল হবে। আসলে জিনিসটা দেখে ওর ভালো লেগেছিলো, তাই ও কিনেছে। গতকাল প্রথম দাদাকে পায়েস দেওয়ার মাধ্যমে বাটিটি ব্যবহার করা হয়েছে। দেখতে যথেষ্ট সুন্দর বাটির সেটটা। আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।
![]() |
---|
যাইহোক কেক কাটার অ্যারেঞ্জমেন্ট করার পর, দাদা তিতলি এবং তাতানকে সাথে নিয়ে কেক কাটলো। তারপর আমরা পরিবারের সকলে মিলে কয়েকটা ছবি তুললাম। এটা আর কিছুই না, আসলে এই দিনটার স্মৃতি হিসেবে ছবিগুলো শেয়ার করা। আপনাদের সাথেও এই মুহূর্তগুলো পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার এই কারণেই করি, হয়তো ভবিষ্যতে এই ছবিগুলো ডিলিট হয়ে যাবে, তবে স্টিমিট প্লাটফর্মে লেখা এই পোস্টগুলো থেকে যাবে।
![]() |
---|
কেক কাটার পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আমরা সকলে একসাথে বসে ডিনার করে নিলাম। তিতলি আর তাতান কিছুই খাইনি। শুধুমাত্র একটু কেক খেয়েছিলো। তবে আমরা নিজেদের মতো করে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
চিকেন ভর্তা যেমন দাদার ভালো লেগেছিলো, দিদিও পনীর ভর্তা ভালো খেয়েছে। যেমনটা বললাম রান্না করার পর যদি সত্যি সকলে সেটা অনেক বেশি তৃপ্তি সহকারে খায় তখন বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে আমার মত মানুষ, যারা রান্না করতে পছন্দ করে না, তাদের ক্ষেত্রে এটা আরো অনেক বড় পাওনা।
কেক, পায়েস রাতে আর খেতে ইচ্ছে করেনি। খাওয়া দাওয়া শেষে সকলে মিলে কিছুক্ষণ গল্প করে, দিদিরা তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলো। কারণ আজ দিদির মর্নিং ডিউটি ছিলো এবং বাচ্চাদের স্কুল ছিলো। আমি পোস্টগুলো ভেরিফাই করতে বসেছিলাম, তখন বাইরে অনেক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার বৃষ্টি শুরু হলো। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভালোই বৃষ্টি হওয়ায়, আজকে আবহাওয়া বেশ ঠাণ্ডা হয়েছে। কারন গতকাল সারাদিন ভীষন গরম ছিলো।
যাইহোক এইভাবে গতকালের দিনটা পরিবারের সকলে মিলে বেশ সুন্দর ভাবে কাটিয়েছিলাম। আসলে জীবনের প্রতিটি দিন আমাদের সকলের উপভোগ করা উচিৎ। কারন জীবন কখন, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে দাঁড় করাবে আমরা কেউই জানি না। যাইহোক ভালো থাকবেন আপনারা সকলে। শুভরাত্রি।
Curated by: pandora2010