"আদিত্যর (তুতুনের) জন্মদিনের আয়োজন- শেষ পর্ব "
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
গতকাল আপনাদের সাথে তুতুনের জন্মদিনের প্রথম পর্বটুকু শেয়ার করেছিলাম। চলুন আজ শেষ পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করি সন্ধ্যার পর থেকে কিভাবে সময় অতিবাহিত হয়েছিলো।
সন্ধ্যা হতে হতেই মোটামুটি সকলে আসতে শুরু করেছিলো। খুব বেশি লোকের আয়োজন ছিল না ঠিকই, তবে যে কয়েকজনের জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো, তাদের মধ্যেও অনেকেই সন্ধ্যা বেলায় আসতে পারেননি। তবে কেক কাটার জন্য তুতুনের ব্যস্ততা ধীরে ধীরে বাড়ছিলো।
![]()
|
---|
বেলুন দিয়ে ততক্ষণে বারান্দাটা সাজানো হয়ে গেছে। সে নিজের পছন্দ মতন কেক নিয়ে এসেছিলো বাবার সাথে গিয়ে, তাই কতক্ষণে সেই কেক কাটবে এই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছিলো।
একটু বাদে ঘড়িতে চোখ পরতেই দেখলাম, প্রায় সাড়ে নটা বেজে গেছে। তখনও যদি কেক কাটা না হয়, তাহলে বাচ্চাগুলোকে খেতে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। এই কারণেই আমি শুভকে ফোন করলাম, কারন তখনও সে গিয়ে পৌঁছায়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভ পৌঁছালো, তারপর আমরা সকলে মিলে দোতলার বারান্দাটাতে গিয়ে কেক কাটলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
বারান্দাটা যেহেতু অনেকটা জায়গা জুড়ে ছিলো, তাই সেখানে কেক কাটার আয়োজন করা হয়েছিলো, যাতে সবাই সেখানে উপস্থিত হতে পারে। এরপর আমার শশুর মশাই, শাশুড়ি মা ও আমার ননদের শাশুড়ি মা সকলের মিলে তুতুনকে আশীর্বাদ করলো।
তার সাথে সাথে সবাই ননদের বড় ছেলেকেও আশীর্বাদ করলো, যেহেতু ওর জন্মদিনে ও উপস্থিত থাকবে না। তাই ভাইয়ের সাথে সাথে বড়দের আশীর্বাদ ওরও প্রাপ্য হলো। কেক কাটার পর্ব মিটতে না মিটতেই, নিচে নেমে ডিনারের ব্যবস্থা করা হলো।
আসলে আমি, শুভ এবং শুভ একটা বন্ধু তিনজনেই বাড়িতে চলে আসবো ঠিক ছিলো, তাই বেশি রাত করা সম্ভব ছিলো না। এই কারনেই খুব বেশি দেরি না করে আমরা খেতে বসে পড়লাম। এদিন মেনুতে ছিল-
|
---|
খাবারের পদ | ছবি |
---|---|
সাদাভাত | ![]() |
মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল | ![]() |
কাতলা কালিয়া | ![]() |
চিকেন কষা | ![]() |
চাটনি | ![]() |
পায়েস | ![]() |
শশা | ![]() |
সাদা ভাত স্যালাড কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল আলুর চিপস ভাজা কাতলা মাছের কালিয়া চিকেন কষা চাটনি পাপড় পায়েস আর সবশেষে কেক।
যদিও কেকটা আমরা সেদিন রাতে খেয়ে আসিনি। তবে পরদিন শাশুড়ি মায়ের সাথে আমার ননদ কেক পাঠিয়ে দিয়েছিলো আমার আর শুভর জন্য। রান্না গুলো মোটামুটি ভালোই হয়েছিলো। তবে আমার সব থেকে ভালো লেগেছিল চাটনি। টমেটো দিয়ে চাটনি করেছিলো, তার মধ্যে সামান্য তেঁতুলও দিয়েছিলো, যার ফলে সেটা খেতে অসামান্য লাগছিলো।
খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করার কিছুক্ষণ পর সকলের সাথে কথাবার্তা বলে আমি এবং শুভ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। বাড়িতে এসে তখনও আমার পোস্ট লেখা বাকি এবং পোস্ট ভেরিফিকেশনও বাকি ছিলো। তবে তার আগে শুভর অফিসের টিফিন কারি গুলো ধুয়ে, রান্না ঘরের আরও কিছু কাজ গুছিয়ে, তারপর এসে পোস্ট লিখতে বসেছিলাম।
পরের দিন রবিবার ছিলো। সকালে ওঠার ভীষণ তাড়া ছিলো এমনটাও নয়। তাই পোস্ট লেখা শেষ করে ভেরিফিকেশন শুরু করলাম। শুভ ততক্ষণ পাশে বসে সিনেমা দেখছিলো। এইভাবেই কেটেছিলো জন্মদিনের পরবর্তী সময়টা।
খুব বড় করে আয়োজন না হলেও, প্রতিবছরই এইরকম ঘরোয়া ভাবে ননদের দুই ছেলের জন্মদিন আয়োজন করা হয়, যেটা আমরা সকলে মিলে উপভোগ করি। একটা সময় এরা সকলে বড় হয়ে যাবে, জীবনের তাগিদে আর জীবিকার প্রয়োজনে হয়তো বাড়ির বাইরে থাকবে।
আমাদেরও বয়স বাড়বে ধীরে ধীরে, তখন এই সকল স্মৃতি গুলোই হয়তো রোমান্থন করবো আমরা। না, এই কথাগুলো শুধুই যে আমার মাথায় চলছিলো এমনটা নয়। সন্ধ্যাবেলায় যখন ননদ রান্নাবান্না শেষ করে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম করছিলো, তখনই আমরা সকলে মিলে এই কথাগুলো আলোচনা করছিলাম।
![]()
|
---|
কারণ ননদ বলছিলো শুভর ছোটোবেলার জন্মদিনের কথা। একটা সময় শুভর জন্মদিনেও দিদি হিসেবে তার উচ্ছ্বাস থাকতো অনেক। ভাইয়ের জন্মদিনকে ঘিরে অনেক কিছু প্ল্যান তিনিও করতেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সবটাই বদলে গেছে এখন এবং ভবিষ্যতেও আরো অনেক বদল ঘটবে।এই সকল আলোচনাই তখন আমরা করছিলাম।
যাইহোক আপনারা সকলে তুতুনকে আশীর্বাদ করবেন, যাতে ওরা আগামী পথ চলা সুন্দর হয় এবং জীবনে ভালো মানুষ হতে পারে। আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলবো। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
@sampabiswas
আমার পক্ষ থেকে টোটানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আশা করি তোমাদের সকলের জন্মদিন উপভোগ করেছে। এই দিনটি মানুষকে একত্রিত হওয়ার এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ দেয়। খাবারটি দেখতে সুস্বাদু। আমার জিভে জল চলে আসছে।