"Bengalis' favorite breakfast recipe"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলেরই দিনগুলো বেশ ভালোই কাটছে। অনেকদিন বাদে আজ আমি একটা রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। রান্নাটি ভীষণই সাধারণ একটি রান্না এবং বাঙ্গালীদের অত্যন্ত প্রিয়।
বাঙালির সবথেকে পছন্দের জলখাবার হলো লুচি এবং আলুর তরকারি, এ বিষয়ে আশাকরি সকলেই আমার সাথে সহমত হবেন। তবে হ্যাঁ বাঙালি বড্ড বেশি খাদ্য রসিক, তাই অনেকের লুচির সাথে অন্যান্য আরো অনেক কিছু হলে বেশি ভালো হয়।
তবে আজ খুব সাধারন ভাবে, কম উপকরণ দিয়ে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে আলুর তরকারি রান্না করা হয়, সেটাই আমি বাড়িতে কিভাবে তৈরি করি সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।
প্রথমে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আলুর তরকারি তৈরি করার রেসিপি। তবে এক্ষেত্রে আমি আলুর সাথে পেঁপে ব্যবহার করেছি, কারণ যেহেতু আমার শ্বশুর মশাইয়ের ডায়াবেটিস আছে, তাই শুধু আলুর তরকারি ওনাকে দেওয়া অস্বাস্থ্যকর বলে, বাড়িতে যখনই আমি এই তরকারি তৈরি করি তার মধ্যে বেশিরভাগ সময় পেঁপে ব্যবহার করি।
তবে আপনারা চাইলে পেঁপের বদলে শুধুমাত্র আলু দিয়ে তরকারিটা করতে পারেন। প্রথমেই বলে আমি কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি, -
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | আলু | ৩ টে |
২. | পেঁপে | ১ টা (ছোটো সাইজের) |
৩. | টমেটো | ১ টা |
৪. | কাঁচা লঙ্কা | ৪-৫ টা |
৬. | শুকনো লঙ্কা | ১ টা (ফোরণের জন্য) |
৭. | পাঁচফোরণ | ১½ চা চামচ |
৮. | ধনেপাতা কুচি | হাফ কাপ |
৯. | সরষের তেল | ৩ চা চামচ |
১০. | লবন | স্বাদ অনুসারে |
১১. | হলুদ | ½ চা চামচ |
১২. | চিনি | ১ চা চামচ |
|
---|
সবার প্রথমে আলু এবং পেঁপে গুলোকে আমি ছোট্ট ছোট্ট টুকরো করে কেটে নিয়েছি এবং তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করার জন্য প্রেশার কুকারে একটা সিটি দিয়েছি। যদিও সিটি দেওয়ার সময় আমি এতে লবণ ব্যবহার করিনি, কারণ লবণ দিলে আলু এবং পেঁপে গুলো সম্পূর্ণ গলে যেতো।
এরপর প্রেসার কুকারের ভাঁপ সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর, আমি আলু এবং পেঁপে গুলোকে একটা ঝুড়ির মধ্যে দিয়ে ছেঁকে নিয়েছি। তবে সেদ্ধ করার জলটা আমি ফেলিনি, সেটা দিয়েই আমি তরকারিটা রান্না করেছি।
এরপর কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতন সর্ষের তেল দিয়ে, সামান্য গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার মধ্যে শুকনো লঙ্কা ফোরণ দিয়ে দিতে হবে শুকনো লঙ্কা। এদিক ওদিক করার পর গোটা পাঁচফোড়নও ফোরণে দিয়ে দিতে হবে।এরপর আগে থেকে কেটে রাখা টমেটো টুকরো এবং কাঁচা লঙ্কা ফোড়ণের মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। টমেটোটা ভালোভাবে সেদ্ধ করার জন্য, কিছুক্ষণ বাদে সামান্য লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে দিতে হবে। তাহলে টমেটোটা খুব সুন্দর ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে।
![]() |
---|
এবার জল ঝরাতে দিয়ে রাখা আলু এবং পেঁপের টুকরো গুলোকে কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করে, তার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং সামান্য হলুদ দিতে হবে। অনেকে এক্ষেত্রে চাইলে হলুদ ব্যবহার নাও করতে পারেন তাহলে সেটা সাদা আলুর তরকারি হয়ে যাবে। তবে আমাদের বাড়িতে সকলে সামান্য হলুদ দিয়ে খেতে পছন্দ করে বলে, আমি সামান্য হলুদ ব্যবহার করেছি। এরপর বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
এরপর আগে থেকে আলু ও পেঁপে সেদ্ধ করা যে জল আমি আলাদা করে রেখেছিলাম, সেই জল পরিমাণমতন দিয়ে দিতে হবে। তার মধ্যে স্বাদ অনুসারে লবণ এবং চিনি দিতে হবে। চিনিটা আপনারা আপনাদের পছন্দ মতন দেবেন। তবে আমি শশুর মশাইয়ের জন্য তুলে রেখে, একটু বেশি পরিমাণে চিনি দিই, কারণ লুচির সাথে তরকারিটা একটু মিষ্টি মিষ্টি খেতে ভালো লাগে।
যাইহোক একেবারে শেষে কিছুটা ঝোল কমে আসার পর কুচিয়ে রাখা ধনেপাতা উপর থেকে ছড়িয়ে দিয়ে, গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে ভীষণ সুস্বাদু আলু, পেঁপের তরকারি। যেটা লুচির সাথে খেতে অসামান্য লাগে।
এবার আপনি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমি কিভাবে বাড়িতে লুচি তৈরি করি। তাই রেসিপিতে ব্যবহৃত উপকরণ গুলো প্রথমে আপনাদের জানিয়ে দিই, -
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | ময়দা | ৩ কাপ |
২. | আটা | হাফ কাপ |
৩. | লবন | ১ চা চামচ |
৪. | চিনি ও সাদা তেল | ১½ চা চামচ |
|
---|
আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই করেন না, তবে আমি লুচি বানানোর সময় ময়দার সাথে সামান্য পরিমাণে আটা ব্যবহার করি। তাই প্রথমে আমি ময়দা এবং আটাটাকে ভালোভাবে চেলে নিয়ে, তার মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, সামান্য চিনি, সাদা তেল ও পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।
প্রথমবারেই একেবারে সুন্দর করে মাখার প্রয়োজন নেই। মোটামুটি ভাবে সমস্ত কিছু ভালোভাবে মিশে গেলে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে আলাদা করে রেখে দেবেন।
বেশ কিছুক্ষণ পর যখন ভালো মাখবেন, দেখবেন বেশ সুন্দরভাবে ময়দাটা রেডি হয়ে গেছে। এরপর সেখান থেকে ছোট্ট ছোট্ট লেচি কেটে নিতে হবে। আর সেগুলোকে সুন্দরভাবে হাতের সাহায্যে গোল করে নিতে হবে, যেমনটা আপনারা ছবিতে দেখতে পারছেন।
এরপর বেলার পালা। তাই বেলনিতে সামান্য সাদা তেল দিয়ে ছোট ছোট লুচির আকারে আমি সবগুলো একসাথে বেলে নিয়েছি। কারণ যেহেতু আমি একাই সবটা করছিলাম, তাই বেলা এবং ভাজা একসাথে করতে সমস্যা হয় বলে, আমি একসাথে সবগুলো বেলে নিই।
এরপর ভাজার জন্য কড়াই বসিয়ে সেটাকে ভালো করে গরম করে, তার মধ্যে সাদা তেল দিয়ে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তেলটাও গরম হয়ে এলে তার মধ্যে এক এক করে লুচি ছেড়ে দিলাম এবং এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নামিয়ে নিলাম।
![]() |
---|
ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো আমাদের গরম গরম লুচি। এরপর পরিবেশনের পালা। তাই একটা থালার মধ্যে গরম লুচির সাথে সাথে পরিবেশন করুন সুস্বাদু আলু পেঁপের তরকারি।
যাইহোক এটা কার কার পছন্দের খাবার অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন এবং আপনারা বাড়িতে তৈরি করার সময় অন্য কোনো রকম ভাবে তৈরি করেন কিনা, সেটা জানাতেও ভুলবেন না। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।