"Better life with steem//The Diary Game//15 th August,2025- Happy Independence Day"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
ভারতবাসী হিসেবে আজ একটি গর্বের দিন, কারণটা আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকেরই জানা। একেবারেই ঠিক ভেবেছেন, আজ ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস। ভারতের মাটিতে জন্মগ্রহণ করা আমার জন্য গর্বের বিষয়।
আজ স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও, এই স্বাধীনতা একদিনে অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে অসীম লড়াই লড়েছেন, সে কথার সাক্ষী রয়েছে ইতিহাস।
পরাধীনতার সময় তাদের সেই লড়াইয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হয়তো ছিলাম না, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় তাদের ত্যাগের কাহিনী পড়ার পর ভারতবাসী হিসেবে নিজের ভিতরে যে গর্ব তৈরি করে, তা সত্যিই অবর্ণনীয়।
যদিও আজকের দিনটি আর পাঁচটা সাধারন দিনের মতনই অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু তৎসত্বেও মনের ভিতর ছিলো এক অসীম আনন্দ। সারাদিন কানে ভেসে এসেছে দেশাত্মবোধক গান, যে গানগুলি শুনলে নিজের ভিতরেই এক অদ্ভুত শক্তি কাজ করে।
আজকের স্বাধীনতা দিবসটি কিভাবে কাটালাম, সে কথাই আ শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক, -
|
---|
![]() |
---|
গতকাল সন্ধ্যাবেলা থেকেই পাড়ার ক্লাবে দেশাত্মবোধক গান চালানো শুরু করেছে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে। আজ সকালে ঘুম ভাঙলো সেই গানের আওয়াজেই। সেই গান কানে আসতেই মনে পড়ে গেলেও ছোটবেলার কথা। কত উত্তেজনা ভরা থাকতো ছোটবেলার স্বাধীনতা দিবস গুলো।
ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে ফুলের সাজি নিয়ে ফুল তুলতে যাওয়া, তারপর বাড়িতে এসেই সেই ফুল দিয়ে মালা গাঁথা এবং সেই মালা নিয়ে স্কুলে যাওয়া। পতাকা উত্তোলন থেকে প্রভাত ফেরি, প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে যোগদান করা, তারপর স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে বাড়িতে ফেরা। এর মাঝে স্কুল থেকে বিস্কুট, চকলেট, জিলাপি এই সমস্ত কিছু খাওয়া, সে এক অন্যরকম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ছিলো।
![]() |
---|
ঘুম থেকে উঠে আজ শুভর সাথে এই সকল কথা বলেই অনেকটা সময় পার হলো। তারপর নিচে এসে আমার ও শুভর জন্য চা করলাম। কারণ ততক্ষণে শ্বশুর মশাই ও শাশুড়ি মায়ের চা খাওয়া হয়ে গেছে। এরপর চা খেতে খেতে বেশ কিছুটা সময় কাটালাম ফোন দেখে।
ফেসবুক থেকে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ সমস্ত জায়গায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের ছবি, স্ট্যাটাস হিসেবে অনেকেই দিয়েছে। সেগুলো দেখেই কিছুটা সময় কাটলো।
উপরে যে ছবিটি আপনারা দেখতে পারছেন এটি তাতানের স্কুলের প্রজেক্ট, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে এটা ওদের স্কুলে তৈরি করা শিখিয়েছে, তার একটি ছবি দিদি আমাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলো, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
![]() |
---|
গতকাল শাশুড়ি মা তাল রান্না করেছিলো। আমার জন্য বড়া বানাতে চেয়েছিলো, তবে আমি বারণ করেছি। কারণ একার জন্য বড়া বানানোটা কষ্টকর। তাছাড়াও আমি ভীষণ ভালো খাই এমনটাও নয়।
ব্রেকফাস্ট এর জন্য রুটি করা হয়েছিলো। তাই ভাবলাম একটু তাল দিয়ে খেয়ে দেখি কেমন লাগে। যদিও রুটি এবং তাল দুটোই আমার পছন্দের নয়। শুভ কোনোটাই খাইনি। কারণ ও বন্ধুদের সাথে বাইরে ব্রেকফাস্ট করবে সেটা গতকালই আমাকে জানিয়ে রেখেছিলো।
|
---|
![]() |
---|
ব্রেকফাস্ট শেষ করে শাশুড়ি মা বাজারে গিয়েছিলো, কারণ সবজি একেবারেই শেষ হয়ে এসেছিলো। যাইহোক শাশুড়ি মা বাজারে যাওয়ার পর, কমিউনিটির কিছু কাজ বাকি ছিলো। আমি সেগুলো করে নিয়ে তাড়াতাড়ি স্নান সেরে পূজো দিয়ে নিলাম। কারণ বাজার এলে সেগুলো গোছাতে আরও অনেকটা সময় যাবে এবং পুজো দিতে দেরি হয়ে যাবে।
![]() |
---|
পুজো দিতে বসেছি এমন সময় পাশের বাড়ির কাকিমা আমাকে ডাক দিয়ে ফুল নিয়ে আসতে বললো, কারণ ওনাদের গাছে অনেক জবা ফুল ফুটেছে। আমিও গিয়ে ফুল নিয়ে এলাম। তারপর পুজো শেষ করতে করতে শাশুড়ি মা চলে এলেন। এরপর ওনার সাথে সাথে সকল বাজার গুলো গুছিয়ে দিতে দিতেই বাইরে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হলো।
![]() |
---|
![]() |
---|
গতকালকের কিছু তরকারি ও মাছ ফ্রিজে রান্না করা ছিলো, তাই শাশুড়ি মা বলল আমার আর শুভর জন্য চিকেনটা করে নিতে। এছাড়াও চালতা দিয়ে মসুর ডাল রান্না করেছিলাম। শুভ বাইরে থেকে আড্ডা দিয়ে এসে স্নান সেরে নিলো, ততক্ষণে বৃষ্টিও কমে গিয়েছিলো। এরপর আমরা সকলে মিলে একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম।
|
---|
![]() |
---|
কিছুক্ষণের মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে এলো। আমিও সন্ধ্যা পুজো দিয়ে নিলাম। উপরের ঘরে যখন প্রদীপ দেখাতে যাচ্ছি তখন সিঁড়ির উপরে কিছু একটা নড়তে দেখে আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে দেখি একটা ব্যাঙ সিঁড়ির ওপরে বসে আছে। এইরকম ব্যাঙ দেখলে আমার ভীষণ ঘৃণা করে। অনেকে আবার এই ব্যাঙের মাংস খায়, বাপরে কিভাবে খায় সেটাই ভাবি।
![]() |
---|
যাইহোক এর বেশ কিছুক্ষণ বাদে শশুর মশাইকে চা করে দিলাম এবং আমি ফ্রিজ থেকে বেশ কিছুটা আমড়া মাখা বের করে খেলাম। কারণ শাশুড়ি মা এবং শুভ দুজনেই তখন ঘুমাচ্ছিলো। তারপর ভাবলাম নিজের পোস্ট লেখাটা শেষ করে নিই।
সেই কারণেই পোস্ট লেখা শুরু করলাম। এরপর রাতে রুটি করা থেকে শুরু করে, পোস্ট ভেরিফিকেশন সবটাই বাকি রয়েছে। আজকে শুভকে বলেছিলাম একটু বাইরে মোমো খেতে যাবো। কিন্তু দুপুরে চিকেন খেয়েছি, আবার রাতে চিকেন রয়েছে। তাই আজ আর মোমো খেতে যাওয়াটা ঠিক হবে না ভেবে, প্ল্যান টাকা ক্যান্সেল করলাম।
মনটা কয়েকদিন ধরেই মোমো করছে, হয়তো আগামী কাল বা পরশু যাবো। কারণ তারপর আবার আমার একাদশীর সময় চলে আসবে। তখন আবার তিনদিন খেতে পারবো না। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আজকের দিনটি এইভাবেই পার হয়েছে। তবে পোস্ট লেখার সময়ও দূর থেকে কানে ভেসে আসছে দেশাত্মবোধক গানগুলো, যেগুলো শুনে মনটা বেশ ভালো লাগছে।
আপনাদের সকলের আজকের দিনটি কেমন কেটেছে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।