সাভার আর্মি গলফ ক্লাবে একটা চমৎকার সন্ধ্যা কাটানো।
বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ হয়ে পরে আছি ।কি যে হয়েছে বুঝতে পারছি না ,একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পরছি।আয়ার সাথে আবার যোগ হয়েছে প্রেশার এর উঠানামা।ডাক্তার দুটো করে ওষুধ খেতে বলেছেন ।এতে করে কিছুটা ভালো আছি ।
এরই মাঝে আমার হাসবেন্ড এর বন্ধুরা সবাই মানিকগঞ্জের শিবালয় বেড়াতে গিয়েছে ।সেখানে যাওয়ার পরে পদ্মা রিসোর্টেও থেকেছে ।যার কারণে আমার হাবির মন খুব খারাপ ছিলো ।তাকে বলেছিলাম যে , তুমি যেয়ে ঘুরে আসো।কিন্তু সেটাও সে করে নাই ।আমাকে মুখে কিছু বলে নাই কিন্তু তার আচরণে মন খারাপ বুঝতে পারছিলাম।
কিন্তু তার মন খারাপ থাকলেও আমার কিছু করার ছিলো না। এরই মাঝে শুনতে পেলাম যে সবাই পদ্মা পার হয়ে ফরিদপুর যাবে । কিন্তু শনিবার সকাল ১০টার দিকে আমার হাবি এসে জানালো যে ফরিদপুর যাওয়ার প্রোগ্রাম বাতিল হয়েছে ।
এখন সবাই আর্মি গলফ ক্লাবে আসবে।আমাকে জিজ্ঞেস করলো যে আমি যেতে পারবো কিনা।
সাভার গলফ ক্লাব আমার বাসা থেকে খুব একটা দূরে না এছাড়া আগে আমি কখনও ভেতরে যাই নাই ।যদিও সামনে দিয়ে অসংখ্যবার গিয়েছি কারণ এই রাস্তা দিয়েই আমার বাবার বাড়িতে যেতে হয় ।
এখানে পারমিশন ছাড়া ঢোকাও যায় না।ঢাকার বনানীতে অবস্থিত গলফ ক্লাবে কয়েকবার গিয়েছি ।কিন্তু সাভার গলফ ক্লাব এর বাইরে থেকে যতটা দেখা যায় তাতে মনে হয়েছে ঢাকার চেয়ে এটার সৌন্দর্য অনেক বেশি।সবকিছু চিন্তা করে হাসবেন্ডকে বললাম যে আমি যাবো তার সাথে ।
কিছুক্ষণ পরে আমার হাসবেন্ড এসে জানালো যে , আমাদের সাথে তার এক বন্ধুও যাবেন ভাবিকে সাথে নিয়ে ।
আমরা বাসা থেকে ৪টার দিকে বের হই।ছুটির দিন থাকার কারণে ৫টার দিকে গিয়ে পৌঁছাই ।কিন্তু তখনও বাকি সদস্যরা এসে উপস্থিত হয় নাই ।
কল দিয়ে জানতে পারলাম যে তারা বালিয়াটি জমিদার বাড়িতে গেছে ।একথা শোনার পরে বুঝতে পারলাম ওদের পৌঁছাতে ভালোই দেরি হবে ।তাই আমরা ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কিন্তু খুব সামান্য জায়গাতেই যাওয়ার পারমিশন আছে ।অবশ্য যেতে না দিয়ে ভালোই করেছে ।নাহলে মানুষের পায়ে পায়ে ঘাসগুলো নষ্ট হয়ে যেত ।তবে যেটুকু দেখতে পেলাম সেটুকু দেখেই মুগ্ধ হলাম।মনে হচ্ছিলো আমি শ্রীমঙ্গল আছি।
কিছু সময় নিচে থেকে আমরা ওপরে রেষ্টুরেন্টে গিয়ে বসে খাবারের অর্ডার দেই ।এরপরে বাইরের বারান্দায় গিয়ে দাড়িয়ে গলফ ক্লাব এর সৌন্দর্য উপভোগ করি।
এরই মাঝে বাকি সদস্যরাও এসে উপস্থিত হয় ।এর মাঝে খাবারও চলে আসে ।আমাদের খাওয়া শেষ হতে হতে প্রায় ৮.৩০ এর মতো বেজে যায় ।এরপরে আমরা নিচে নেমে আসি ।কিন্তু ততক্ষণে লোকজন চলে গিয়ে প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে চারপাশ যার কারনে আমরা খুব একটা লেটও করি নাই ।
সবাইকে বিদায় জানিয়ে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই ।