অনলাইনে মাছ কিনতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে যেভাবে টাকা উদ্ধার করলাম ।
অনলাইনে আমি বরাবরই কেনাকাটা করে থাকি। এটা আমার জন্য নতুন কিছু না। সবসময়ই যে মনের মতো জিনিস পেয়েছি এমনও না। তবে এবার যে অনলানে কেনাকাটা করতে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হলো সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারতেছি না। এটা শেয়ার করার আরেকটা কারণ হলো যদি আমার মতো করে কেউ ট্র্যাপে পরেই যান , তাহলে কি করতে হবে সেটা জানানোর উদ্দেশ্যেই আমার আজকের এই পোস্ট।
অনলাইনে আমি সবসময়ই ক্যাশ ও ডেলিভারিতে কেনাকাটা করি। অনেক সময় অনেক কিছু পছন্দ হলেও তাদের সামান্য কিছু টাকা এডভান্স দিতে হবে এমন শর্ত জুড়ে দেয়া থাকায় সন্দেহের উদ্রেক হবার কারণে সেগুলির প্রতি কখনো আগ্রহ দেখাই নাই। কিন্তু এবার আমার কি হয়েছিল জানি না ,এই ধরণের একটা কাজ যে কেন করলাম সেটা নিজেও বুঝতে পারছি না।
আমি নিজে মাছ কাটতে পারি না বললেই চলে যার কারণে আমার মাছ সবসময় বাজার থেকেই কেটে আনা হয়। এই কারণে অনেক সময় আমি অনলাইন থেকে মাছ কিনে থাকি। কারণ ওরা মাছগুলোকে একদম কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়। সাধারণত দেখা যায় আমি কয়েকটা পেইজা থেকেই মাছ কিনে থাকি।
আমার বড়ো ছেলে কদিন ধরেই বলতেছিলো যে ,বেশি করে ইলিশের ডিম কিনো ।একারণেই চাঁদপুরের ইলিশের পেইজ গুলি দেখতেছিলাম। আমি আগে কখনো ইলিশের ডিম কিনি নাই ,যার কারণে আমার পরিচিত পেজগুলোর উপর খুব একটা ভরসা না পেয়ে এই চাঁদপুরের পেজগুলো দেখা। কারণ ওরাই সাধারণত ডিম বেশি বিক্রি করে থাকে।
এই পেজগুলোতে দেখলাম প্রায় সবাই একই ধরণের প্যাকেজ দিয়ে রেখেছে। ৩ কেজি ইলিশের এই দাম ,৫ কেজির ওই দাম ইত্যাদি। আমার যেহেতু ধরা খাওয়া ভাগ্যে ছিল তাই আমি খুব একটা ঘাটাঘাটি না করেই 'চাঁদপুরে ইলিশের বাড়ি' নামক একটা পেজে নক দেই।
ওদের সাথে কথা হবার পরে ওরা আমাকে ৪৫০ টাকা এডভান্স করতে বলে বরফ ও আরো কিছু কেনার জন্য। আমি কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই টাকাটা ওদেরকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠাই। আমি ভেবেছিলাম গেলে আমার ৪৫০ টাকার উপর দিয়ে যাবে।
ওরা আমাকে জানায় যে ,পরের দিন ওরা মাছ চাঁদপুর থেকে পাঠিয়ে দিবে। আমি যেন মাছ চেক করে রাখি। পরের দিন আমাকে ওরা বলে ,আমি যেন ওদের লোককে টাকাটা বিকাশ করে দেই। তখন আমি আবার বলি যে কাছ দিলে কি কোন সমস্যা আছে। কিন্তু এটার ওরা কোনো রিপ্লাই দেয় না।
আমার আসলে তখনই বোঝা উচিত ছিল।
কিন্তু আমি সেদিন ব্যাস্ত থাকার কারণে বিষয়টা নিয়ে আমি আর তেমন কিছু ভাবার সময় পাই নাই। বিকেলের দিকে কল দিয়ে আমাকে বলে যে ,আমি যেন টাকাটা পাঠিয়ে দেই খুব দ্রুত ,নাহলে কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। টাকাটা দিলে সে বাইক দিয়ে আমার বাসায় মাছ পৌঁছে দিয়ে যাবে।
লেখাটা বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে তাই এর পরে কি হলো সেটা আমার পরবর্তী পোস্টে জানাবো।