এই অমানুষগুলোকে থামাতে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত উদ্যোগ।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া ছবি |
---|
আমাদের দেশের মানুষদের বিদেশি জাতের বড়ো বড়ো লোমওয়ালা বিড়াল কুকুর পোষার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এজন্য তারা হাজার হাজার টাকা খরচ করে ওদের কিনতে দুইবার ভাবে না।অবশ্য টাকা থাকলে কিনতেই পারেন , এটা নিয়ে আমার বলাটাও ঠিক না।
কিন্তু যখন দেখি দোকানের এইসব বিড়াল কিংবা কুকুরছানাদের জন্ম দেয়ানোর জন্য ব্রিডাররা মা পশুদের সাথে অমানবিক আচরণ করে তখন চুপ থাকতে চাইলেও থাকতে পারি না। মাঝে মাঝে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে মানুষ ভাবলে। পশুরা আমাদের চাইতে অনেক ভালো।
সবচাইতে খারাপ লাগে যখন আমরা আমাদের প্রয়োজনে ,এমনকি আমাদের শখ পূরণের জন্যও পশুদের উপর অমানবিক আচরণ করি।
সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশট |
---|
আর এটা পুরো বিশ্ব জুড়েই ।কয়েকবছর আগে খুব সম্ভবত একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম যেখানে ইউরোপ এর অনেক উন্নতদেশগুলোর বিশাল বিশাল গরুর ফার্মে কিভাবে গরুর বাচচগুলোকে খেতে না দিয়ে মা থেকে আালাদা করে মেরে ফেলা হয় ।
সেখানে ততগুলো বাচ্চাই বাচিয়ে রাখা হয় যতগুলি তাদের ভবিষ্যতে দুধ দেয়ার জন্য প্রয়োজন হবে , বাকিগুলো অতি অযত্নে মেরে ফেলা হয় । তবে আমার আজকের লেখা বিদেশ নিয়ে না বরং আমার নিজের দেশ নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে নেয়া |
---|
সত্যি বলতে ক্যাটস গ্ৰুপের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে এ সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। ওদের সাথে যুক্ত হুবার পরে দেখতাম সবাই ব্রিডারদের সম্পর্কে বাজে কথা বলতো সাথে যারা এইসব বিদেশী পশু পালন করে তাদেরকেও অনেক সময় বলতো আমাদের দেশীয় পশুরা কি দোষ করেছে। সবচাইতে বেশি ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখেছি ব্রিডারদের সম্পর্কে।এটাকে আমি খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছিলাম।
কারণ আমি ভেবেছিলাম যে আমাদের দেশীয় বিড়াল-কুকুরগুলি রাস্তায় অনেকসময় না খেয়ে কিংবা মানুষের অত্যাচারের শিকার হয়ে মারা যায়,এজন্যই হয়তো এধরণের মন্তব্য করে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
কিন্তু আমার ধারণা অনেকটাই ভুল ছিলো বলা যায়। বেশ কিছুদিন আগে একজন ভদ্রলোককে দেখলাম সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ক্যাটস গ্রুপে পূর্ণবয়স্ক বেঙ্গল ক্যাট তাকে এডাপশন দেয়া যাবে কিনা জানতে চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি কিনে নিতেও প্রস্তুত। এর প্রতিউত্তরে দুই-একজনকে দেখলাম আগ্রহ প্রকাশ করতে ,আর বাকিরা বিভিন্ন ধরণের নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন।
পরিচিত একজনের কাছ থেকে এর কারণ জানলাম যে তিনি এই বিড়ালকে অন্য কোনো জাতের বিড়ালের সাথে ব্রিড করানোর জন্য নিতে চাচ্ছেন। এরপরে এরকম আরো কিছু পোস্ট চোখে পড়েছে। তখনো এর ভয়াবহতা আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি নাই যতক্ষণ না আমি এই ছবির প্রায় মৃত বিড়ালটিকে না দেখেছি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
অমানুষগুলো এই পার্সিয়ান বিড়ালটিকে একটা বাচ্চা ফোটানোর মেশিনের মতো ব্যবহার করেছে।
আর যখন বাচ্চা দেয়ার ক্ষমতা চলে গেছে তখন রাস্তায় ছুড়ে ফেলেছে। অথচ এই বিড়ালের বাচ্চা বিক্রি করে পিশাচগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছে।
এই বিড়ালটিকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে বর্তমানে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এই মা বিড়ালটি যুদ্ধ করতেছে আমি মৃত্যুর সাথে।
এরা বিভিন্ন ধরণের হরমোন প্রয়োগ করে একই সাথে বিভিন্ন ছেলে বিড়াল ও কুকুরের সাথে মেটিং করায় যাতে বাচ্চা সুন্দর হয়। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে অসংখ গ্ৰুপ ও পেজ গড়ে তুলেছে এইসব ব্রিডাররা এবং পাবলিকলি পোস্ট দিয়ে মেটিং পার্টনার খুঁজে তারা।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নেয়া |
---|
আপনারা যারা কাটাবন কিংবা এই ধরণের দোকান থেকে কুকুর বিড়াল কিনে আনেন তারা কেনার আগে অন্তত একটাবার এই মা বিড়ালটির কথা ভাবুন।
যারা এই বিড়ালটিকে উদ্ধার করে এনেছিল তারা সাহায্যের আবেদন করে লিখেছিলো যে ,যদি সম্ভব হয় তাহলে ওর চিকিৎসার জন্য সাহায্য করুন আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে ওর কথা স্মরণ রাখুন।
এদেরকে থামানোর রাস্তা একটাই আর সেটা হলো ,এদেরকে এভোয়েড করা ,ঘৃণা করা এবং সবচেয়ে জরুরি হলো এদের থেকে পশুপাখি ক্রয় না করে এদের নোংরা উপার্জন বন্ধ করা।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Thank you so much.