Better Life With Steem | The Diary game ,August , 5 , 2025।
কদিন ধরে চারদিক থেকে যেন দুঃসংবাদগুলো এসে ঘিরে ধরতেছে। যার কারণে মনের অবস্থাও ভালো না। ৫ দিনের মাঝে মারা গেছে ভাগ্নে বৌ ,খালু ,এক কাজিন ,এক কাকি। এতগুলো মৃত্যু এই কদিনের মাঝে মেনে নেয়াটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে আমার পক্ষে।কেন জানি ঘুম ভেঙেই মনে হয় কিজানি আজকেও হয়তো কারো খারাপ সংবাদ শুনতে হবে ।
এরই মাঝে গতকাল দুপুরে আমার ভাই বাসায় এসেছিলো ।সে এসে জানিয়ে গেলো যে ,আমার আরেক কাজিন ইবনে সিনা হসপিটালের HDU তে আছেন। আজকেই নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।
মাসখানেক আগে শুনেছিলাম যে , তার পায়ের কাফ মাসলে স্ট্রোক করছে ।তাই পায়ে দুটো রিং পরাতে হবে ।সত্যি বলতে পায়েও যে মানুষকে রিং পরায় এটা জানা ছিলো না আমার ।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে , কাফমাসলকে মানুষের সেকেন্ড হার্ট বলা হয় । আসলে কত সাধারণ জিনিসই যে অজানা এটা ভাবলে খারাপই লাগ।
আমার ভাইয়ের মুখে কাজিনের কথা জানার পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে তাকে দেখতে ইবনে সিনা হসপিটালে যাব ।এদিকে নারায়ণগঞ্জে আমার শশুর বাড়ি , সেখানও যেতে হবে।
আমার হাসবেন্ড ঘুম থেকে উঠেই নারায়ণগঞ্জ দ্রুত যাওয়ার জন্য তাড়া দেয়া শুরু করলো।তাকে বললাম যে আগে কাজিনকে দেখে তারপর নারায়ণগঞ্জ যাবো ।এটা বলার পরে সে আর কিছু বলে নাই ।মনের কোথাও হয়তো সেও ভয় পাচ্ছে এত অল্প সময়ে এতগুলো মৃত্যু দেখে ।
তাই বাসা থেকে বের হয়ে আগে ইবনেসিনাতে গিয়ে সোজা HDU তে গেলাম ।সৌভাগ্যবশত তখন ভিজিটিং আওয়ার চলতেছিলো ।তাই ভেতরে ঢুকতে পেরেছিলাম। ভাইয়ের সাথে কথা বলার পরে দেখলাম সে আমাদেরকে চিনতে পেরেছে ।শুনলাম যে আগেরদিনও কাউকেই চিনতে পারে নাই।
এরপরে সেখান থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কিছুটা ভয়ে ভয়েই।কারন আজকে ৫ ই অগাস্ট ।আজকের দিনেই গতবছর সরকার পতন ঘটেছিলো ।যার কারনে আজকে বিভিন্ন সভা সমাবেশ চলবে।এতে রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম লাগার সম্ভবনা আছে ।
তবে সকাল বেলা হবার কারনেই হয়তো রাস্তা একদমই ফাঁকা ছিলো ।ফলে আমরা খুব অল্প সময়ের ভেতরই নারায়ণগঞ্জ গিয়ে পৌঁছাই।
সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছোট ননদ ও এক ভাগ্নেও এসেছে ।আমারা মূলত গিয়েছিলাম আমার মেজো ভাসুরকে দেখতে ।ভাই এর হার্টে ব্লক ধরা পরেছে , এখন বাইপাস সার্জারি করাতে হবে ।
ভাই এর সাথে দেখা করে আমি আমার দেববের বাসায় যাই ।আমার জা ভুনা খিচুড়ি রান্না করেছিলো আমাদের জন্য ।এই বিল্ডিং এর একেক ফ্লোরে একেকজন থাকে ।আমার নিজেরও ফ্ল্যাট আছে এই বিল্ডিং এ ।এখানেই আমার দুই ছেলেকে নিয়ে আমি থেকেছি ।আমার বড় ছেলের ৩ বছর বয়সে আমি ঢাকা চলে যাই ওদের পড়াশোনার জন্য ।
বিকেলের পরে আমার বড় ভাসুরের বাসায় যাই ।সেখানেই থাকি আটটা /সাড়ে আটটা পর্যন্ত ।এরপরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।