Better Life With Steem | The Diary game ,July , 10 , 2025।বাড়িতে নতুন সদস্যের আগমন।
সকালবেলা ঘুমিয়ে গেছে অনেক ভোরে।ঘুম ভেঙে গেল বিছানানা ছেড়ে বিছানায় শুয়ে ছিলাম বেশ অনেকটা সময় জুড়ে। এই কাজটা সাধারণ আমি করি না।
এরপরে বিছানা ছেড়ে উঠে গেলেও কোন কাজের তাড়া ছিল না। হাবি আগেই বলে রেখেছিলো যে আজকে সে দই চিড়া কলা খাবে। এই তার জন্য আলাদা করে আর কোন নাস্তার ঝামেলা করি নাই।
আমার দুই ছেলে সাধারণত সকালবেলা নাস্তা কমই করে। ওরা যদি নাস্তা করতেও চায় সেটা নিয়েও কোন টেনশন ছিল না কারণ ফ্রিজে রুটি বানানো ছিলো। আর আমিতো সকাল বেলা নাস্তা-সাধারনত করিই না তাই আমাকে নিয়েও কোন সমস্যা নেই।
বাইরে বৃষ্টি ছিল তাই সব ঘরের ভিতরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে টিভি দেখতে বসলাম। তবে টিভি লিখলেও টিভিতেতো আসলে তেমন কিছু দেখা ওইভাবে দেখা হয় না, ইউটিউবেই ঘুরাঘুরি করি। তখনোও অবশ্য কারোরই ঘুম ভাঙ্গেনি।
ইউটিউব দেখতে দেখতে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেল। পুরো পৃথিবীর প্রকৃতি যেন ক্ষেপে উঠেছে মানুষের উপর।
নিউজ দেখে মন খারাপ হয়ে যায় তাই এসব দেখা বাদ দিয়ে চ্যানেল চেঞ্জ করে গান শোনা শুরু করলাম।
হাসবেন্ড ব্যাংকে চলে যাওয়ার পরে দুপুরের জন্য রান্না করা শুরু করে দিলাম। ছেলেরা যেহেতু সকালে নাস্তা করে না তাই ওরা দুপুরের খাবারটা একটু আগেভাগেই খাওয়া শুরু করে দেয়। ঈদের পর থেকে গ্যাসের সমস্যাটা কেটে গেছে অনেকটাই। ইদানিং গ্যাসের প্রেশার বেশ ভালো তাই দ্রুত রান্না হয়ে যায়।
ঐদিকে আজকে বেশ কিছু বাড়তি কাজ ছিল। বাসায় যেহেতু নতুন বিড়াল ছানা আসবে তাই ওর জন্য কিছু বাড়তি কাজ করতে হচ্ছিল।
আমরা সাধারণত ব্রয়লার মুরগির এভোয়েড করার চেষ্টা করি এবং দেশি মুরগি খাই।যার কারনে বাসায় কোন ব্রয়লার মুরগি ছিলো না।
তাই ছেলেকে ধাক্কিয়ে বাজারে পাঠালাম ওর জন্য ব্রয়লার মুরগী আনতে। কিছুক্ষণের মাঝেই ছেলে চলে মুরগি নিয়ে ফেরত আসলে ওর জন্য মাংস সিদ্ধ করে রাখলাম।
ক্যারামেল মারা যাওয়ার পরে ওর লিডার বক্স উপরের ক্যাবিনেট তুলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে লিটার বক্স থেকে নামিয়ে লিটার দিয়ে রাখলাম।ক্যরাামেলের খেলনা, তোয়ালে ইত্যাদি জিনিসপত্র রেখে দিয়েছিলাম সেগুলোও বের করে রাখলাম।
এর ফাঁকে ফাঁকে যে বিড়াল ছানাটিকে দিয়ে যাবে তার সাথেও কথা হচ্ছিলো।
এরই মাঝে আরেকটা সমস্যা খেয়াল করলাম।ডিপ ফ্রিজের নীচে পানি দেখলাম। এটা দেখে ছেলেদের কে নিয়ে ডিপফ্রিজ থেকে সমস্ত কিছু নামিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম যে আসলে কি হয়েছে।
দেখলাম ফ্রিজের সবকিছু ঠিকই আছে এবং ভেতরটাও শুকনো। কিন্তু ফ্রিজের বাইরের নিচের দিকটা দিকটা কেমন জানি একটু ঘামতেছে, আর সেটাই চুইয়ে চুইয়ে ফ্লোরে পরতেছে। সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ফ্রিজটা সম্পর্কে ওদের সার্ভিসিং সেন্টারে কথা বলতে হবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিড়ালছানাটিকে নিয়ে আসবে। আমি অবশ্য আনতে যাই নাই, ছেলেকেই নিয়ে আসতে পাঠিয়েছিলাম।
খানিকক্ষণ পরেই ছেলের কল পেলাম।সে দেখলাম খানিকটা উত্তেজিত কন্ঠে বললো যে, ওতো অনেক ছোট, এমনকি ক্যারামেল এর চেয়েও ছোট।শুনে একটু ভয়ই লাগলে যে, এত ছোটটাকে কিভাবে পালবো।
একটু পরেই ছেলে ওকে নিয়ে বাসায় চলে আসলো। ও আসলেই অনেক ছোট।সেই সাথে ওর অপুষ্টিতে ভোগা চেহারা দেখে এত খারাপ লাগলো। সোমালিয়ার বাচ্চাদের মতো পেটটা অনেক বড় আর একদমই হাড্ডিসার দেহ।
দেখে মনে হচ্ছিল এত বড় পেট নিয়ে ওর হাঁটতেও অসুবিধা হচ্ছে। শরীরে এখনো ভালো করে লোমও গজায় নাই।
যে দিয়ে গেছে সে গ্যাসের জন্য ওষুধও দিয়ে গিয়েছিল ওর সাথে। সেটাই রাতের বেলা ওকে খাইয়ে দিলাম, সাথে চিকেন সেদ্ধর সাথে এক চা চামচ পরিমানে ভাত চটকে দিলাম।
ও এতদিন না খেয়ে ছিলো বলেই হয়তো ওর মাঝে খাওয়ার প্রবনতা দেখলাম খুব বেশি। সামান্য কিন্তু বার বার খায়।
তবে এটা হয়তো খুব শিগগিরীই কেটে যাবে এবং দেখতে খুব সুন্দর একটা বিড়ালে পরিনত হবে এই আশা নিয়েই ঘুমাতে গেলাম ।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
Posted using SteemPro Mobile
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦