পূজা পরিক্রমা - পর্ব ৩

in Incredible India23 hours ago

1000066703.jpg

ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারার কারণ, বা ছন্দপতনের কারণ যেটাই হোক না কেনো, আমার পূর্বে উল্লেখিত লেখায় উদ্ধৃত!
যারা লেখা পড়েছেন তারা বিষয় সম্পর্কে অবগত।

আজকে, পুজো পরিক্রমার দ্বিতীয় পর্বের পর থেকে যতটা সম্ভব এগিয়ে যাবার প্রয়াস করবো, কারণ একটি বিষয়ের একাধিক পুনরাবৃত্তি আমার নিজের বিশেষ পছন্দের নয়, একমাত্র যদি সেটি উপন্যাসের ক্ষেত্রে হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম!

যেকোনো, উপন্যাস এর বহু ধারাবাহিক পর্ব আমি পড়েছি, বিশেষ করে যদি সেটির সাথে রহস্য জড়িয়ে থাকে।
তবে, অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই আমার একাধিক পর্বের লেখায় একঘেয়েমি লাগে পড়বার ক্ষেত্রে, তাই নিজেকে যখন সেই একই পথ ধরে এগোতে হয়, সেখানে খানিক বিরক্তিবোধ কাজ করে বৈকি!

আমি বিগত পাঁচ বছরের অধিক যে লেখাটাই সকলের সমক্ষে তুলে ধরেছি, সেখানে সততা এবং নিষ্ঠা বজায় রাখবার প্রয়াস করেছি।

কতটা সমর্থ হয়েছি, সেটা নিজের জানা নেই, সেটা অবশ্যই পাঠকদের হাতে, তবে সত্যি বলতে লেখা আজকাল কতজন পড়েন সেটা নিয়েও আমি বেশ সন্দিহান!

1000066702.jpg

যাইহোক, পূজা পরিক্রমার দ্বিতীয় পর্বে আমি আধুনিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে তৈরি একটি পুজোর উল্লেখ করে লেখায় ইতি টেনেছিলাম, আজকের শুরু তারপর থেকেই, আর এর মধ্যে দিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আমরা পেয়ে থাকি, আর সেটি হলো, শেষ থেকে শুরু!

1000066708.jpg1000066707.jpg

1000066710.jpg

বেলা বারোটা পনেরো যখন আধুনিক প্রযুক্তির প্রশংসা করে বাইরে বেড়িয়েছি, আবহাওয়া এমন বাধ সেধেছিল যে, সেই সময় থেকে দুপুর একটা বেজে এগারো মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিস্নাত কলকাতার ছবি তুলছিলাম গাড়িতে বসে!

1000066709.jpg1000066705.jpg

এরপর, পৌঁছলাম চেতলা অগ্রণী সংঘের দুর্গোৎসবের সাক্ষী হতে!

কাজেই, লেখার শুরুতে মা দুর্গার যে ছবিটি উপস্থাপন করেছি সেটি চেতলা অগ্রণী সংঘের!
এই পর্যায়ে বাকি ছবি সহ ভিডিও রইলো আপনাদের উদ্দেশ্যে।

এখানে পুজোর থিম ছিল সমুদ্র মন্থন! যেটি পৌরাণিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এবং এটি নিয়ে লিখতে বসলে কয়েক পর্ব প্রয়োজন, যেখানে রয়েছে, রাহু, কেতুর ইতিহাস, সঙ্গে মোহিনী রুপি কৃষ্ণের ছলনা, পাশাপশি মহাদেবের হলাহল ধারণ চরম শিক্ষা দেয়, যেখানে অমৃত আস্বাদনে সকলেই ব্যস্ত তখন ঠিক বিপরীত মুখী পথে অগ্রসর হয়ে শিব শংকর হলাহল ধারণ তাকে মহাদেব আখ্যায়িত করবার অন্যান্য কারণের অন্যতম!

ভালোর পিছনে সকলেই ছুটে বেড়ায়, তবে সেই পথ প্রশস্থ করতে, পথের বাধা নিজ দায়িত্বে সকলের মঙ্গলের জন্য ধারণ করতে পারলেই বোধকরি ব্যতিক্রম হওয়া সম্ভব!

1000066716.jpg

1000066715.jpg1000066717.jpg

1000066718.jpg

পরের গন্তব্য ছিল সুরুচি সংঘ!
এখানে ছিল অন্য রকমের ভালোলাগা, যেখানে ছিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতে নিজস্ব ছাপ রেখে যাওয়া বিপ্লবীদের উপস্থিতি!

মুক্তির মন্দির সোপান তলে,
কত প্রাণ হলো বলিদান!
লেখা আছে অশ্রুজলে!
-মোহিনী চৌধুরী!

দেশাত্মবোধক গানটির সুর বাজছিল, সব মিলেমিশে যেনো পরিবেশকে বেশ উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছিল, বলে আমার ব্যাক্তিগত অনুভূতি অনুভব করছিলাম।

1000066719.jpg

এখানেও কিছু শহীদের সামনে দাড়িয়ে খানিক লজ্জা বোধ কাজ করছিল, তাদের বলিদানের আক্ষরিক অর্থ বুঝে সামাজিকতার দিক থেকে কতখানি নিজেদের দায়িত্ব পালনে আমরা সক্ষম হয়েছি, প্রশ্নটা আমাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়!

নিজে ভালো থাকাটাই আজ প্রাধান্য পায়, আর এই মানুষগুলো ভারত মাতা কে পরাধীনতার গ্লানি মুক্ত করতে নিজেদের যৌবন, জীবন দিয়ে দিয়েছেন!

1000066744.jpg

1000066741.jpg1000066742.jpg
1000066745.jpg1000066746.jpg

1000066747.jpg

এরপর বেলেঘাটার দিকে এগিয়ে খানিক বৃষ্টিতে ভিজেই দেখেছি, যেগুলোর ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।

1000066762.jpg

1000066758.jpg1000066760.jpg
1000066756.jpg1000066757.jpg

পরের গন্তব্য ছিল গড়িয়াহাট এর সিংহী পার্ক!ভিডিওতে দেখতেই পাবেন বৃষ্টি স্নাত হয়ে কিভাবে আমরা পুজো পরিক্রমা করছিলাম।

1000066765.jpg1000066768.jpg

1000066771.jpg

1000066772.jpg1000066773.jpg
1000066774.jpg1000066775.jpg

আরো কিছু প্যান্ডেল প্রদর্শন করেছিলাম ওই চত্বরে, সেগুলোই তুলে ধরছি, এরপর আমাদের গন্তব্য ছিল বোসপুকুর।

এর কারণ, ছবির আধিক্য অত্যধিক হয়ে যাবে লেখায়!
দ্বিতীয়ত, অন্তিম পর্ব হবে আগামীকাল, যেখানে থাকবে আরো কিছু চমক, কাজেই কল্লোলিনী কলকাতার শ্রেষ্ঠ উৎসবের শেষাংশ সম্পর্কে জানতে আশাকরি হাজির হবেন! যেকোনো দেশের উৎসব সেই স্থানের ঐতিহ্যের ধারক, এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত!

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  


Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications
Curated by wirngo

Loading...