আজকে ভাইপোর জন্মদিনে! Birthday celebration of my nephew, inside the hospital!

in Incredible India8 days ago

1000067274.jpg

পুজো পর্ব আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবার মাঝে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কথা গতকালের লেখায় উল্লেখিত, সেখানে জানিয়েছিল আর একবার অপারেশন করতে হবে, যেটি গতকাল শুরু হয়েছে সকাল আটটায়, এবং শেষ হয়েছে সকাল এগারোটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে।

প্লেট বসেছে পায়ের গোড়ালির ঠিক উপরে, ডান হাতের বুড়ো আঙুলে প্লাস্টার করতে হয়েছে, পাশাপশি বা পায়ের থাই পুনরায় অপারেশন করতে হয়েছে।

1000067275.jpg1000067276.jpg
1000067277.jpg1000067278.jpg

কাজেই অনেকখানি সময়ের বিষয় ছিল, সবটাই ফোনে শুনেছি, আমি গতকাল লেখায় উল্লেখ করেছিলাম মেডিকেল ইন্সুরেন্স এর কথা কিন্তু বাড়ি পৌঁছে আমাকে পুনরায় মেইল করতে হয়েছিল, আজকে সেটির হার্ড কপি প্রিন্ট করে পুনরায় জমা করতে হয়েছে।

যাইহোক, আজকে আমার নেফিউ এর ১৭ বছরের জন্মদিন ছিল, জীবনের উত্থান পতনের মাঝে অতিবাহিত কিছু স্মরণীয় মুহূর্তগুলোই বোধহয় মনে রাখা উচিত, বিশেষ করে যেগুলো মনকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক!

এমনিতেই প্রতিদিন মানসিক ক্লান্তির একটি বাড়তি চাপ আজকাল চেপে বসেছে!

আজকে আমি হাসপাতাল যাই নি, আগামীকাল ডিসচার্জ করবে হাসপাতাল থেকে তাই হয়তো যেতে হতে পারে।

আমার কাজিন আর মামা, আমার সেজো মাসীর বড় মেয়ে এবং আমার ভাইজি আজকে জন্মদিনে দেখা করতে গিয়েছিল।

একটা কেক কাজিন ব্রাদার নিয়ে গিয়েছিল, সাথে ভাইপোর একটা বন্ধুকে।
কেক কাটার ছবি তুলে আমাকে ওহ্যাটসঅ্যাপ এ পাঠিয়েছিল, সেগুলোই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি লেখার মাধ্যমে।

1000067279.jpg

1000067280.jpg1000067281.jpg
1000067282.jpg1000067283.jpg

1000067284.jpg

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন জানতে পেরেছিল আজকে সৌত্রিক মানে ভাইপোর জন্মদিন, তারাও সেলিব্রেশন করতে কেক এনেছিল।

এটা বেশ ভালো লাগলো ছবিতে দেখে, দেখুন অর্থের পাশাপশি এটা একটি মানবিকতা তথা হাসপাতালের রেপুটেশনকে তুলে ধরে, যেখানে বোঝা যায়, এখানে একজন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মানসিক দিক কিভাবে এরা গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকে।

রইলো বাকি আমার অনুপস্থিতির কারণ, একটি একেবারেই ব্যাক্তিগত আরেকটি বিষয় অবশ্য লেখায় উল্লেখ করা যেতেই পারে, সেটা হলো;
মানুষের আনন্দের সময় বহু মানুষকে পাশে পাওয়া যায়, কিন্তু বিপদে পাশে পাবার মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে!

অন্ততঃপক্ষে আমার অভিজ্ঞতায় সেটাই দেখেছি, তাই আগামীকাল ফরমালিটিস পূরণে কিছু কাগজপত্রের কাজে আমি হয়তো লাগবো, তাই আজকে যখন, আগামীকাল যাবার কথা বলল, আমি যেতে সম্মত হয়েছি।

দেখুন, কে কেমন ভাবে বিষয় দেখবে সেটা তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, আর আমি সবটাই ছেড়ে দিয়ে রেখেছি সৃষ্টিকর্তার হাতে, কারণ এই শিক্ষাটাও আমার অর্জিত যার কেউ নেই, তার ভগবান আছেন!

আর যার ভগবান থাকেন, তিনিই সমস্ত পরিস্থিতি সামলে নেন, অর্থাৎ যারা ঈশ্বরের হাতে সবটা ছেড়ে দেয়।

এটা তো অনস্বীকার্য এই পৃথিবীতে আসা যাওয়া সবটাই একলা, শুধু মাঝের সময় কিছু কর্ম, তার উপরে নির্ভর করে ফল, আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয়।

যদি মানবিকতা বোধ থাকে তাহলে সমাজের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন, পরিবার, আত্মীয় স্বজনের পাশাপশি।

উপরিউক্ত বিষয়টি একেবারেই নিজস্ব অভিমত।
আমরা ব্যাক্তি বিশেষ ভিন্ন কাজেই সহমতের আশা আমি কখনোই রাখি না।

তবে, জানিনা এতবড় এক্সিডেন্ট থেকে আদেও কিছু শিক্ষা হবে কিনা!
যদি হয় ভালো, আর না হলেও ভালো, কারণ ঈশ্বরের হাত ধরে যারা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে তাদের চাইতে উচ্চ শিক্ষিত কোনো শিক্ষস্থান দিতে পারে বলে আমি মনে করি না!

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...