India is celebrating its 79th Independence Day! 🫡 গর্বিত ভারতীয়, মাতৃভূমিকে আমার কোটি কোটি প্রণাম!
![]() |
---|
নিজের কিংবা নিজেদের কথা গোটা বছর আমরা ভেবে থাকি, প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের জীবনের প্রাধান্য তালিকায় সর্বাগ্রে।
তবে, একটু দৃষ্টিভঙ্গি সরিয়ে যেদিন একটু অন্যরকম করে ভাবতে শিখবো, সেদিন বুঝতে পারবো প্রাধান্যের পরিধি শুরু হয় শৈশব শিক্ষা, তথা চিন্তায় পরিবর্তনের মাধ্যেমে।
যেদিন, আমরা এটা ভাবতে শিখবো আমরা সর্বাগ্রে মানুষ এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সমান দক্ষতা রয়েছে এগিয়ে যাবার, সেদিন থেকে পরিবর্তনের সূত্রপাত শুরু হবে।

আজকে আমার কাছে একটি গর্বিত দিন, কারণ উপরিউক্ত বিষয়গুলো আমার মাতৃভূমি তথা আমার পরিবার থেকে শিক্ষার ভিত হিসেবে আমার প্রাপ্তি হয়েছে! আর, ঠিক সেই কারণে আমি নিজেকে ভারতীয় ভাবতে ভালবাসি, না নিজেকে লিঙ্গের মধ্যে আর না জাতির মধ্যে আবদ্ধ রাখতে পছন্দ করি।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কোনো অন্যায় আপোষে বিশ্বাসী নয়!

আর ঠিক সেই কারণে যারা ধর্মের নামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, তাদের খুঁজে বের করে উচিত জবাব দিয়েছে! শুধু তাই নয়, এইসমস্ত নিম্ন চিন্তাধারা তৈরির পিছনের মুল আড্ডাকে ধ্বংস করে বুঝিয়ে দিয়েছে উন্নত ভারতের চিন্তার দিক আজ পরিবর্তিত!
আপনাদের জানিয়েছিলাম, আমার পূর্বের লেখায়, আমি ১২ তারিখের দিনটির কিছু বিষয় আজকের এই স্বাধীনতা দিবসের দিন লেখায় উল্লেখ করবো।
তবে আজকের দিনটি স্বাধীনতার বিষয়বস্তুর সাথে মাতৃ শক্তির! তাই, ঐদিনের ঘটনার খানিকটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি, কিন্তু লেখায় ইতি টানতে আরেকটি দিন হয়তো প্রয়োজন পড়বে।
আজকে আপনাদের মাঝে একটি মহিলা, যার টোটোতে পৌঁছেছিলাম শপিং মলে তার কিছু ছবি সহ সেইদিনের কিছু ভিডিও এবং স্বাধীনতা দিবস পালনের যে প্রাক মুহূর্ত দেখেছিলাম সেটাই তুলে ধরলাম।
মহিলা আজ ভারতের মাটির একটি অভিন্ন শক্তি, আর অপারেশন সিন্দুর আর সময় বিষয়টি আমি লেখায় তুলে ধরেছিলাম।
নিজের বক্তব্যের পাশাপশি, পালকি শর্মার একটি ইউটিউব ভিডিও লিংক রইলো আপনাদের মাঝে, এটি অবশ্যই দেখবেন এবং মনোযোগ সহকারে শুনবেন;
তাহলে বুঝতে পারবেন, আজকের আর্থিক দিক থেকে বিশ্ব দরবারে চতুর্থ নম্বরে পৌঁছতে ভারতকে কতরকমের প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, এবং এখনও ঈর্ষ্যানিত্ব কিছু শক্তির সাথে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
তবে, আমি বিশ্বাস করি, উন্নত দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে উঠতে পারাটাও একটা যোগ্যতার প্রমাণ, এবং সেটা দেশের নীতি সঠিক না রাখলে অসম্ভব।

ব্যাক্তি জীবন হোক অথবা দেশ উভয় ক্ষেত্রে যতক্ষণ নিজে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে না যাওয়া যায়, ততক্ষণ এটি উপলব্ধি করা প্রায় অসম্ভব পাশাপশি উন্নতির শীর্ষে পৌঁছনো অসম্ভব।
নতুন ভারত আর ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না, কারণ, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ভারতীয় দেশবাসী এই একটি বিষয় এক্ তথা অভিন্ন।
আজকের লেখায় একদিকে যেমন আমি গর্বিত, তেমনি একজন দেশবাসী হিসেবে আমার আগামী দিনের নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
আমি বিশ্বাস করি একটি উন্নত দেশের সূত্রপাত হয় ঘর থেকে, এরপর আসে সমাজ এবং অবশেষে সবটার সমন্বয়ে তৈরি হয় দেশ।
কাজেই, বিভাজনের খেলায় মত্ত হয়ে, নিন্দায় সামিল হয়ে উন্নত কোনো কিছুই তৈরি সম্ভব নয়।
আগামীতে ভারতের বেশ কিছু নতুন প্রকল্প আসছে, যেটি বিশ্বকে বুঝিয়ে দেবে, এটি নতুন ভারত ৭০ বছর আগের ভারত নয়!
এই নবনির্মিত ভারতের প্রকৃত ক্ষমতা এই দেশের মাটিতে জন্ম নেওয়া সেই সকল ভারতীয়, যারা আজও দেশের উন্নতির স্বার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান দায়িত্বে নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু দিতে উদ্ধত।
আর ইতিহার সাক্ষী ভারতীয় বংশোদ্ভুত মানুষের মগজ এর তীক্ষ্ণতা কতখানি!
ক্ষুরধার বুদ্ধি, সমানাধিকার, জাতিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে নারী পুরুষ নির্বিশেষে দেশের জন্য জীবন সমর্পিত করবার মানসিকতার নির্মিত আমার দেশ ভারত।
তাই পরিশেষে আজকের এই ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর লেখা দেশাত্মবোধক কবিতার একটি পংক্তি উল্লেখ করতে চাই, যেটি আমার মত কোটি কোটি ভারত বাসীর মনের কথা!👇
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি,
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি-
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানী সে যে- আমার জন্মভূমি।
আমি পূর্বেও উল্লেখ করেছি, এই দেশ এবং দেশের মাটি আমার গর্বের তাই যদি কখনও মানবদেহে পুনরায় ধরায় আসার সুযোগ পাই, আমি পুনরায় ভারতের মাটিতেই জন্ম নিতে চাইবো।
जय हिंद! जय भारत!🫡🇮🇳🪷


X handle share:-
https://x.com/SunitaD88779200/status/1956208062626460111?t=5y5E2uQxNEpdRAkxCRPINg&s=19