ফুরিয়ে যাওয়া একটি দিন! Look back a day of last week!

স্মৃতিচারণ - তোমাতে বিলীন মম বিশ্ব! |
---|
ঘড়ি বলছে এখন বেলা ১২ টা বেজে চার মিনিট ভারতীয় সময় অনুযায়ী।
এই খানিকক্ষণ আগেই অনলাইন থেকে কিছু জিনিষ কিনতে হলো!
ব্যাক্তিগত জীবনে ভীষণ রকম চাপে আছি, আসলে এই চাপটা আমার নিজের তৈরি কিছু মানুষকে বিশ্বাস করে!
এই রকম সাত পাঁচ ভাবছিলাম উত্তরের জানালা ধরে, দেখলাম আকাশের বুকের কালো মেঘ সরে নীল রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে, পাশে সাদা এবং সামান্য কালো মেঘের আবরণ!

ঠিক যেনো দৈনন্দিন জীবনের গাঁথা সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছে।
আজকে আপনাদের সাথে গত মঙ্গল বারের বাকি বিষয় তুলে ধরছি, ইতিপূর্বে আমার কেনা কাটা এবং স্বাধীনতা দিবসের দিনে কিছু ছবি যেগুলো ওইদিন তুলেছিলাম লেখায় ভাগ করে নিয়েছি।
বিষয়বস্তুর সূত্রপাত সোমবার, যেদিন সম্পা আমার কাছে জানতে চাইলো আমি মঙ্গলবার ফ্রী আছি কিনা?
কারণটা পরিষ্কার, একসাথে বেরোনো এবং খাওয়া দাওয়া যেটা অনেকদিন ধরেই হয়ে উঠছিল না।
আর পাশাপশি সম্পার ব্যাংকে কিছু কাজ ছিল, আর ব্যাংকটি আগে আমার এলাকায় থাকলেও এখন সেই থানার উল্টোদিকে হয়ে যাওয়ায় বেশ বিরক্তির বিষয় হয়ে গেছে দূরত্ব বেড়ে যাওয়ায়!
আমি জানালাম, মঙ্গলবার আমি নিরামিষ খাই, কাজেই চাইনিজ খাওয়ার উপায় নেই! শুরুতে ঠিক করা হয়েছিল সম্পা ব্যাংকের কাজ সেরে আমার ফ্ল্যাটে আসবে।
সেইমত, সয়াবিন আরো কিছু রান্না করবো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আপনাদের সাথে রান্না ভাগ করে নিয়েছি আগেই, তবে হঠাৎ পুজো করে উঠে মনে হলো, নাহ্!
তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ি! সম্পাকে একটা সারপ্রাইজ দেওয়া যাক!
![]() | কাউন্টারে সম্পা আমি পিছনে বসে ছবি তুলছি ব্যাংকের ভিতরে |
---|

এরপর, আমাকে ফোন সম্পা জানালো ও ব্যাংকে পৌঁছে গেছে, আমিও তখন বেরোবার জন্য প্রস্তুত, এরপর একটা টোটো ধরে ব্যাংকে পৌঁছলাম।
আমি রাস্তার অপরপ্রান্তে, আর আমার সামনেই পিছন ঘুরে দাঁড়ানো সম্পা!
জেরক্স করাচ্ছে! আমি রাস্তা পার করে পিছন থেকে হালকা হাতে পিছন থেকে সুড়সুড়ি দিলাম।
পিছন ঘুরে আমাকে দেখেই সেই একগাল হাসি। আমিও হাসলাম, এরপর যা হয়, দুজনে মিলে ব্যাংকের কাজ সমাধা করা হলো!
ব্যাংকের কাউন্টারে সম্পা যখন এপ্লিকেশন জমা করছিল, ব্যাংকের ভিতরের কিছু ছবি তুলে নিলাম বসে বসে।
এরপর, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দোকানে দোকানে দেশের পতাকার রঙের তৈরি জিনিসের ছবি সহ ভিডিও আগেই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি।
আমি বললাম, আজ চাইনিজ না খেতে পারি, চল আজ মৌচাকে যাই দইবড়া খাবো!
তবে তার আগে সেই হলুদ গেঞ্জি কিনবো ঠিক করলাম।
স্কুল জীবন রোমন্থন | ![]() |
---|

সেইমত হাঁটা শুরু করলাম, পাশাপশি সেই রাস্তায় অবস্থিত কিছু নামকরা খাবার সহ, প্রসাধনী, বস্ত্র ইত্যাদি দোকানের ছবি তুলতে থাকলাম, আপনাদের দেখানোর জন্য।



গেঞ্জি কিনে সোজা মৌচাকে পৌঁছে গেলাম, জানিয়ে রাখি এটি অতি পুরোনো এবং নামকরা মিষ্টির দোকান, এদের প্রসিদ্ধি এতটাই যে মিষ্টির পাশাপশি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট খুলে ফেলেছে।
এদের একাধিক ব্রাঞ্চ আছে, তবে আমরা গিয়েছিলাম সবচাইতে পুরোনো অর্থাৎ প্রথম তৈরি শুরুর দোকানে।


এরপর সম্পা জানালো পাপড়ি চাট খাবে আর আমি দইবড়া, আচ্ছা এই ট্রিট কিন্তু সম্পূর্ণ সম্পা দিয়েছে, মুখে দিয়ে তার পছন্দ হয়নি তাই সবটাই আমার উদরে গেছে। পরে সম্পা কে আমার তরফ থেকে একটা আইসক্রিম খাইয়েছিলাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | পাপড়ি চাট |
দই বড়া | ![]() |
যেহেতু ওই সময় আমি খাই না, তার যের শুরু হয়েছিল শপিং মলে প্রায় ঘণ্টার উপর হাঁটাহাঁটির পরে, আমার শরীর খুব খারাপ লাগছিল, বিশেষ করে বসার জায়গা খুঁজে না পাওয়ায়, অবশেষে বিল করবার পর বসার জায়গা খুঁজে পেয়েছিলাম।
শপিং মল থেকে বেরিয়ে সম্পা ট্রেন ধরতে এক্ পথ ধরেছিল আর আমি অন্য।
তবে, ফ্ল্যাটে পৌঁছনোর আগে জুতো আর ব্যাগ কিনে তবেই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলাম, কারণ, আমি জানি এরপর কবে বের হতে পারবো জানা নেই, ভাদ্র মাস পড়ে যাবে, সামনেই পুজো তাই ঘর পরিষ্কার অনেক ধোয়া-কাচা আছে।
এছাড়াও, এই প্ল্যাটফর্মে অনেকখানি সময় দিতে হয়, বিভিন্ন কারণে তাই সব মিলিয়ে যেটুকু প্রয়োজন কিনে এনেছিলাম, এরপর আর ঐদিকে যাবার প্রয়োজন পড়বে না।

আমার গল্প ফুরোলো, নোটে গাছটি মুড়োলো! |
---|
পরিশেষে জানাই, ওইদিন আমি আর কিছুই খাইনি, এতটাই অবস্থা খারাপ ছিল। সত্যি কথাই বাঙালি খেয়েই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে! সেইদিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম, আর সত্যি কথা বলতে খুব যে আহামরি ছিল চাট দুটো তাও কিন্তু নয়, আসলে মিষ্টির দোকান, মিষ্টির জন্যই প্রসিদ্ধ;
এর বাইরে সবসময় পরীক্ষা সফল হবে এমন কোনো কথা নেই, আপনারা কি মনে করেন? নিজের দক্ষতার উপরে কাজ করা উচিৎ নাকি তার বাইরে গিয়েও নিজেদের মাঝেমধ্যে পরীক্ষায় ফেলতে হয়?
যদিও উল্লেখিত খাবারের দইবড়া দক্ষিণ ভারতের
প্রসিদ্ধ খাবার আর পাপড়ি চাট উত্তর প্রদেশের, তাই একদিকে ঘরের কাছাকাছি থেকে উভয় রাজ্যের স্বাদ আস্বাদনের মোটামুটি সুযোগ তো পেয়েছিলাম, এই ঢের! কি তাই না?

