Some precious moments- 19th September! মুহুর্ত!

in Incredible India2 days ago

IMG_20250920_162656.jpg

(সম্পর্কে নজর না লাগে!)

দেখুন! প্রতিদিন সময়ের হাত ধরে মুহুর্ত আসে, দৈনন্দিন মুহূর্তের অনেক কিছুই সময়ের সাথে আমরা ভুলে যাই, কারণ আমাদের মস্তিষ্ক সেটাই মনে রাখতে সক্ষম যেটি অথবা যে মুহূর্তগুলো আমরা মনে রাখতে চাই।

যদি হঠাৎ করে কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করে গত সপ্তাহের আজকের দিনে দুপুরে আপনি কি খেয়েছিলেন, দেখবেন আপনাকে ভেবে মনে করতে হবে!
আবার ধরুন কারোর নাম, অনেক মানুষ সময়ের সাথে বিস্মৃতির পাতায় চলে যায়।

কারণ? আমাদের মস্তিষ্ককে আমরা সেইভাবেই পরিচালিত করি, আর এই পরিচালনার উপরে ভিত্তি করেই আমাদের স্মৃতিশক্তির অনেকখানি নির্ভরশীল।

এই যে এতগুলো কথা উপরের লেখায় উল্লেখ করলাম, তার পিছনের কারন কি?
হ্যাঁ! প্রতিটি কার্য্যের পিছনে কারণ তো থাকেই, এইবার সেই বিষয়গুলি তুলে ধরবো, তবে তার আগে জানিয়ে রাখাই শ্রেয়, গতকালের মুহূর্তগুলো আমার কাছে অমূল্য ছিল।

বর্তমান সময়ে ভারতে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে গেছে গণেশ পুজোর হাত ধরে। ১৭ই সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্বকর্মা পুজো।
গতকাল অর্থাৎ ১৯ তারিখ বেরিয়ে দেখলাম, তখনও ঠাকুর ভাষান দেওয়া হয়নি।

1000065759.jpg
1000065787.jpg

তাই চলতি পথে প্রণাম জানিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
এরপর, আমার গন্তব্য স্থল ছিল আমাদের লোকাল থানা।

1000065791.jpg

এরপর যথারীতি পৌঁছে ছবি তুলে নিলাম, থানার সামনে দাঁড়িয়ে।
প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট পরে, ফোন করলাম সম্পা কে।
জানতে পারলাম কাছাকাছি এসে গেছে, এরপর নিজেদের কিছু ব্যাক্তিগত কাজ সমাধা করে, ঠিক করা হলো আগে পেট পুজো করতে হবে, কারণ তখন বেলা দেড়টা বেজে গেছে।

এছাড়াও আমাদের দীর্ঘ প্ল্যান ছিল, কাজেই ওই পেটে দিলে পিঠে সয় এর মত আগে রেস্টুরেন্টের দিকে পা বাড়ালাম দুজনেই।

বাইরে এমনিতেই গলদঘর্ম অবস্থা, খানিক বসা যাবে, পাশাপশি একটু আড্ডার সাথে পেট পুজো।

তবে, আমরা কেউই নিজেদের খাবার নিয়ে বেশি গবেষণা করি না, যেহেতু দুজনের চাইনিজ পছন্দ তাই সোজা ঢুকে পড়েছিলাম মৌচাক রেস্টুরেন্টে।

এরপর ব্লগার হলে যা হয়, ওই ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে এর মত ছবি তুলতে শুরু করলাম, যদিও সেটা খাবার অর্ডার দেবার পরে!

  • নিম্নে উল্লেখ করে দিলাম আমাদের চিরাচরিত খাবারের ছবিসহ নাম:-
    দেখুন নজর দেবেন না! দিলেও বিশেষ কাজ হবে না, এখন দুপুর কাজেই গতকালের খাবার যথাস্থানে চলে গিয়েছে।
1000065798.jpg
IMG_20250920_163923.jpg

1000065803.jpg

মিক্সড নুডলস1000065802.jpg
1000065804.jpgমিক্সড ফ্রাইড রাইস
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান1000065805.jpg

(উল্লেখিত গতকালের সম্পূর্ণ খরচ সম্পা করেছে, আমাকে টিচার্স ডে ট্রিট!) কি মজা!

1000065806.jpg

ব্যাস! ব্যাস! আবার কি চাই? দুজনের এই অনেক ভাগাভাগি করে খেয়ে বিল মিটিয়ে বাইরে বেরোতেই, আমার দাদার ছেলের ফোন!
শুনলাম আমার ফ্ল্যাটে এসেছে, কিন্তু আগের দিন দাদা কিছুই বলেনি!

আমাকে জিজ্ঞাসা করলো কোথায় আছি? আমি সোজা সাপটা উত্তর দিয়ে দিলাম, প্রেম করতে বেড়িয়েছি!
কি জ্বালা! তবে কেনো যে কেউ বিষয়টা বিশ্বাস করে না!

এরপর দাদা ফোন করলো, আমি বললাম ওর ছেলেকে স্টার মলে আসতে!
সেখানে আমরা দুজনে পৌঁছলাম টোটো ধরে, এরপর ব্যাগের দোকানের সামনে দাদার ছেলে বললো, বাবা তোমার জন্য শাড়ী পাঠিয়েছে পুজো উপহার!

1000065843.jpg
1000065844.jpg
(দাদার দেওয়া উপহার - পুজোর শাড়ি)

নাও ঠ্যালা! এমন একটা জায়গা কিছু বলার উপায় নেই, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমার দাদা আমাকে ভয়ে ফোন করেনি, কারণ গতকাল আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কিছু পাঠাস নি তো?
আমাকে বলেছিল না! মানে মিথ্যে! কাজেই এখন খানিকদিক চুপ থাকবে।

জানে আমি মিথ্যে পছন্দ করি না, পাশাপশি আমি সকলের থেকে জিনিষ নেওয়া পছন্দ করি না, এর পিছনে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।

1000065818.jpg

1000065819.jpg
1000065822.jpg
1000065821.jpg
1000065820.jpg

1000065817.jpg

যাক, এরপর দুজনেই ঢুকে পড়লাম স্পেন্সার এর ভিতর।
আমাকে একটা সেন্টেড ক্যান্ডেল দেবার নাকি ভীষন ইচ্ছে, সেটা ফোনেই জানিয়েছিল অবশ্য, তবে সম্পা যেটা দিতে চেয়েছিল সেটা আমি ইচ্ছে করেই নেই নি।

1000065847.jpg1000065846.jpg
Scented candle1000065845.jpg

কারণ, সম্পা জানে। তবে একটা কিনেছি, সাথে একটা ইভিল আই উইন্ড চাইম কিনেছি।
এরপর ঠাকুরের ধুপকাঠী আর সম্পা নিজের জন্য ঘরে পড়বার দুটো প্যান্ট কিনেছিল।

বেশি সময় নস্ট হয়েছে আমার ব্যাগ কেনা নিয়ে টানাটানি করতে করতে।
আসলে কিছুদিন আগেই একটা ব্যাগ কিনেছি, তবে কিছু জিনিসের প্রতি একটা বাড়তি আকর্ষণ সকলেরই থাকে তেমনি, সোনার জিনিষ, ব্যাগ এবং জুতো এগুলো আমার বাড়তি আকর্ষণ।

1000065915.jpg1000065842.jpg
1000065848.jpg পরিবর্তিত স্থান👉1000065856.jpgevil eye wind chime

আচ্ছা, এরপর বিল করে, একটা টোটো নিয়ে সোজা স্টেশন যাবার কথা সম্পা জানালো, অর্থাৎ আমাকেও সঙ্গে যেতে হবে, এবং রীতিমতো হুকুমের স্বরে জানালো ফল কিনে দেবো চুপচাপ নিয়ে বাড়ি চলে যাবে।

আসলে ব্যাগ কিনতে রাজি হয়নি, এরপর পান্টালুনে একটা ড্রেস পছন্দ হয়েছিল, ট্রায়াল দিয়েছিলাম, তবে সেটাও আমি নেই নি, আসলে আমার ঘরে জিনিষ রাখার পরিসর খুব সল্প।

আর, সত্যি বলতে পুজোতে আমি বিশেষ বের হই না, খুব প্রয়োজন না থাকলে।
ঘরে বসে প্যান্ডেলে গান বাজে সেগুলোই শুনি, আর মনে হলে পোস্টে উল্লেখের খাতিরে একদিন বেরিয়ে কয়েকটা ছবি তুলে নিয়ে ঘরে চলে আসি।

অন্তিম পর্বে, স্টেশন পৌঁছে কি কি ফল সম্পা আমায় কিনে দিয়েছে গতকাল এবার সেগুলোই তুলে ধরছি।

আপেল1000065854.jpg
1000065849.jpgআঙুর
ন্যাসপাতি1000065851.jpg
1000065850.jpgপেয়ারা
কলা1000065855.jpg
1000065853.jpgপানিফল/জল সিঙ্গাড়া
মোসাম্বি লেবু1000065852.jpg

কেনার পরে নিজেই বললো অনেক ওজন হয়ে গেলো, তোমার বাড়ি যেতে কষ্ট হবে!
দেখুন, একটা সম্পর্ক যেটা কাজের সুবাদে তৈরি আজকে হয়তো সীমিত পরিসরে উভয়েই জীবনযাপন করছি, কিন্তু শান্তির নিদ্রা উভয়ের ঝুলিতে আছে, আর এই মুহূর্ত গুলো অন্য অনেক বিলাসিতার ঊর্ধ্বে!
আমার কাছে তো তাই, আর আপনাদের কাছে?

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...

Congratulations! This post has been voted through steemcurator03.

Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications

Curated By @m-fdo.png