The journal of 15th July- A day dedicated to Bajrangbali!(১৫ই জুলাই এর দিনলিপি)!

in Incredible India19 hours ago (edited)
1000062544.jpg

পূর্বের লেখায় উল্লেখিত মাসের উপরে গিয়ে গেছে আমি মঙ্গল, শনিবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করে থাকি।

গতকাল আমার ঘুম ভেঙে গেছে সকাল চারটে নাগাদ, বেশ অনেক বছর বাদেই এমনটি হলো!
যখন টিসিএস এ কর্মরত ছিলাম, তখন এই সময় উঠে সোয়া পাঁচটার বাসে অফিস যেতাম, আর ফিরতাম রাত আটটায়, কখনও সাড়ে আটটায়!

বিষয় পুরোনো হলেও এক্ একটি দিন পুরোনো স্মৃতি উস্কে দিয়ে যায়! সকালে উঠে, খানিক দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন করে(আগের রাতে ফ্রিজ বন্ধ করে রেখেছিলাম, ওই ভোরে বরফ পরিষ্কার করেছিলাম, তবে ছবি তোলা হয়নি!)।
কাজের সময় কাজের দিকে মনোযোগ থাকে তাই একলা হাতে কাজ করবার সময়, থেকে থেকে মোবাইলে ছবি তোলা প্রায়শই অসম্ভব হয়ে পড়ে!
এর ফাঁকেই, টেলিভিশন খুলে দেখলাম, হনুমান রিটার্নস ছায়াছবি!

1000062552.jpg

আচ্ছা, এই মঙ্গলবার হিন্দু শাস্ত্র মতে, বজরঙ্গবলি কে (হনুমান)উৎসর্গিত।
ইনি মহাদেবের(lord Shiva)অবতার! রামায়ণে প্রভু রামকে, মাতা সীতাকে উদ্ধারে সহায়তা করেছিলেন।
পাশাপশি, ইনি একজন একনিষ্ঠ রামভক্ত রূপে পূজিত।

যাক, মুল বিষিয়ে ফেরা যাক!
বাইরে, মুষলধারায় বৃষ্টি। ঠিক সকাল সাথে ছয়টার সময় মন বললো, একবেলা হলেও প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু না কিছু তৈরি করি, একদিন সৃষ্টিকর্তাকে কিছু রান্না করে উৎসর্গিত করা যাক!

কোনো মানুষের সাধ্য নেই, তাঁকে কিছু দেবার, কারণ তিনিই এই জগতের পালনহার!
তবুও, মানুষের মন তো, জাগতিক চিন্তার বহির্ভূত ভাবনার অভাব।

যেমন ভাবনা, তেমনি কাজ! একবার চিন্তা করলাম, আমার সেইভাবে আলাদা নিরামিষ বাসনপত্র নেই, জানিনা আরেকটি পাপ যুক্ত হবে কিনা, এরপর জানলাম, সৃষ্টিকর্তা মনের বিশুদ্ধতা দেখেন, বাকি সবটাই গৌণ!

আর কে পায়! ঘরে খুব বেশি রকমের সবজি ছিল না, তবে ঠিক করেছিলাম যা আছে, তাই দিয়েই আজ নিজের ঠাকুরের জন্য রান্না করবো!

সেইমতো:-👇

IMG_20250716_085034.jpg

খিচুড়ি(khichdi)
1000062547.jpg
লাবড়া (mixed vegetable curry)
1000062524.jpg
উচ্ছে, আলু, কাকরোল, পটল, মিষ্টি কুমড়ো ভাজা (5 types of Fritters)
1000062548.jpg
ছোলার ডাল (chickpea lentil)
1000062522.jpg
টমেটোর চাটনি (a condiment made with tomato)
IMG_20250716_095128.jpg

সত্যি বলতে কেনো যেন পুজো করে উঠে একেবারেই মন সায় দিচ্ছিল না, ভোগের প্রসাদের ছবি তুলতে, তারপর এক্ প্রকার মনকে বোঝালাম, আমি বর্তমানে যে কর্মের সাথে যুক্ত, সেখানে ছবি ছাড়া দিনলিপি মূল্যহীন!

1000062519.jpg

তবে, মনের ডায়েরিতে এবং ছবির গ্যালারিতে ও দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলাম, পর মুহূর্তের কথা কে বলতে পারে? কিছু ছবি আজকে তুললাম, যেহেতু সব রান্নাই রয়ে গেছে, একলা মানুষ হলে যা হয়!

কথায় কথায় লিখতে ভুলে যাবো, রান্নার মাঝেই পৌরসভা থেকে দু'জন মহিলা এসেছিলেন ডেঙ্গুর সমীক্ষা করতে!
এই সময়, এই একটা বিষয় সকলের মাথায় রেখে চলা উচিত, বাড়ির কোথাও জল জমতে না দেওয়া!

আমার থেকে স্বাক্ষর নিয়ে, কিছু প্রশ্ন করে, তারা ছাদ পরিদর্শন করবেন জানালেন, পৌর সভার আদেশ! প্রায়শই, ছাদে গাছ লাগানোর ফলে, জল জমে থাকার সম্ভাবনা থাকে।

আর কি? গেলাম ছাদ খুলে, দাড়িয়ে থাকলাম, ওনারা ছবি তুলে নিলেন, তাদের সমীক্ষার।
সর্বত্রই প্রমাণ আজকাল আবশ্যকীয় হয়ে গেছে, কি অদ্ভুত তাই না ডায়রী?
এই যখন এই মোবাইল ছিল না! তখনও তো অফিস চলতো, মানুষের ব্যাক্তিগত জীবনে বরঞ্চ অনেক বেশি আন্তরিকতা ছিল, কাজের জায়গায় লিখে কাজ চলে যেতো!
তখন, সেলফি বিষয় ছিল না, মানুষের মুখের কথার মূল্য অধিক ছিল। হয়তো সেইসময় মানুষের মধ্যে সততার আধিক্য অধিক ছিল, কি জানি, জানা নেই!

যাবার আগে সহযোগিতা করবার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছিলেন।

1000062545.jpg

পশ্চিমের জানালার উল্লেখ আমার অনেক লেখায় পূর্বোল্লিখিত!
সেইদিকের বাড়ির ছেলেটির পিতা গত হয়েছেন, গতকাল বর্ষার মধ্যে ছোটো খাটো একটা প্যান্ডেল খাটিয়েছে ছাদে, ক্রিয়াকর্মের প্রয়োজনে।

গতকাল ছবি তোলবার সময় পাইনি, কারণ ওই ভোর চারটে থেকে আমার সব সেরে উঠতে সাড়ে তিনটে বেজে গিয়েছিল।

তারপরেও, বসে থাকিনি, কমিউনিটিতে একটি অবশিষ্ট প্রতিযোগিতা ঘোষণা করেছিলাম।
আজকে, সকালে পাশের বাড়ির প্যান্ডেলের ছবি তুলতে তুলতে ভাবলাম, এই মৃত্যুলোকে সকলের শেষ পরিণতি কিন্তু সমান।

1000062546.jpg

যাবার পথ কারোর সুগম, আবার কারোর দুর্গম!
সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আমাদের কর্মের উপর।
কেউ মানেন, আবার কেউ মানতে নারাজ! তুমি কি কথাটি মানো ডায়রি?
আমার কোটি কোটি প্রশ্নের জমা খাতা তো শুধু তুমিই, তাই জানতে চাইলাম! উত্তর না পেলেও অসুবিধা নেই!

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  

Thank you for sharing quality content on Steemit.
You have been supported by the Team 02:

Captura de pantalla 2025-06-30 202646.png

Curated by: @pelon53

Loading...
 9 hours ago 

ঘরে কিছু থাক বা না থাক সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে যখন করা হচ্ছে আমার মনে হয় তিনি এই রান্না গুলোতে অনেক বেশি খুশি থাকবেন আপনার ওপরে,,

আমাদের এখানে নিরামিষ খুব একটা খাওয়া হয় না তবে আপনার এত সুন্দর সুন্দর রান্না গুলো দেখে কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগছে, লাবড়া জিনিসটা কি আমি বুঝতে পারছি না, তবে দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে,, সেই সাথে ছোলার ডালনা টা ও আর, কাঁক রোল ভাজা তো মনে হয় আমার দিকে তাকিয়ে,,দিদি আপনি যে যত্ন করে রান্না করেন তা আপনার প্রত্যেকটা খাবার দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

একদম তাই আমাদের এখানেও মশার উৎপত্তি বেশ বেড়েছে যেহেতু টানা বৃষ্টি হচ্ছে আর এই সময়টা তে মশা অনেক বেশি বেড়ে যায়।

কে মানে বা না মানে জানিনা তবে,, আমি বিশ্বাস করি মানুষের কর্মের ফল মৃত্যুর আগে তাকে ভোগ করতেই হয় সেটা ভালো,বা মন্দ হতে পারে,,।

,