When nobody is there to care- Do what makes you happy! আজকের দিন।

আজকের দিনটা যদিও গতানুগতিক ধারার শুরু হয়েছিল বুঝলে ডায়েরি?
কিন্তু এই যে তোমার পাতায় যখন ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭ টা বেজে ১৮ মিনিটে দিনটি নথিভুক্ত করতে বসেছি, তখন বেশ কিছু অনুভূতি অর্জিত হয়েছে।
সেগুলো তোমার কাছে জমা করতে হাজির হয়েছি। তবে আজকেই রহস্যের পর্দা সবটা উন্মোচন করছি না, তুমিও খানিক কৌতূহলে থাকো, শুধু কি মানুষই থাকবে?
নাহ্! সেটা তো হয়না!
দেখো, আজকে একজনের আসার কথা ছিল, নামটা পরে একদিন বলবো, কিন্তু বিষয়টি কার্যকর হয়নি!
কারণ জানতে চাইছো? আরে বলছি বলছি, তুমি দেখি মানুষের মতোই ধৈর্য্য ধরতে পারো না! বেশি মেলামেশা করো না ওদের সাথে, ওই যে আজকে বইয়ের দোকান প্রায় ফাঁকা দেখলাম, সব এখন যন্ত্রের মাধ্যমে লেখা পড়া করে, তোমার পাতার নতুন গন্ধ আজকাল আর কেউ শুঁকতে চায় না!
যাক এবার মূল বিষয়বস্তু তোমাকে জানানো যাক অনেক হেঁয়ালি হয়েছে।
সকাল সকাল ঘরের কাজ সেরে পনির আর সয়াবিন দিয়ে একটা তরকারি রান্না করেছিলাম, যেটার রেসিপি পরে একদিন তুলে ধরবো।
আজকে সে বিষয় থাক, আজকে আমাদের যে লোকটি সিঁড়ি পরিষ্কার করতে আসেন, যার নাম শম্ভু, সে কাজে আসলেই আমার ঘরের বেল দেয়, কারণ? উফ্! বলছি বলছি!
আরে মানুষটি কাজে আসলেও কেউ তাকে একটু চা দেয় না!
আমার ঘরে কিছু আবর্জনা থাকলে সে ফেলে দেয়, পাশাপশি আমি সামান্য আর্থিক সাহায্যের সাথে তাকে চা, বিস্কুট প্রতিবার দিয়ে থাকি।
আজকে, যথারীতি বেল বাজিয়েছে, ময়লা বাইরে রেখেই দিয়েছিলাম, কারণ গতকাল তার আসার কথা কিন্তু আসেনি!
আজকে এসে জানালো গতকাল তার শরীর খারাপ ছিল, তাই আসতে পারেন নি!
তারপর, আমাকে দেখালো কোন এক্ বাড়ি থেকে তাকে রাখি পরিয়েছে, আমি মুখে বললাম বাঃ বেশ! আর, মনে মনে ভাবলাম মানবিকতা আজও কিয়দংশ বেঁচে আছে!
এরপর চা করে ডাক দিলাম, চা নিতে নিতে আমাকে জানালো সে প্রতিবার কচুয়ায় ( লোকনাথ বাবার মন্দির) জল নিয়ে যায় জন্মাষ্টমীর দিন।
এরপর বললেন, দিদি আমাকে একটা লাল কিংবা হলুদ রঙের গেঞ্জি কিনে দেবা?
আমি হাসলাম, আর বললাম, আচ্ছা পুজোর সময় দেবো।
উনি বললেন, পুজোতে তো ফ্ল্যাট থেকে বোনাস পাই, তুমি কেনো কিছু দেবে?
আমি জল নিয়ে যাই লোকনাথ বাবার মন্দিরে তাই হলুদ কিংবা লাল রঙের একটা গোল গলার গেঞ্জি কিনে দেবে?
আমার মনটা কি যে আনন্দে ভরে গিয়েছিল ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব!
এরপর আমি বললাম আচ্ছা, তবে আজ তো হবে না, আমাকে কিনে এনে দিতে হবে, আজকে কিনে আনবো, আপনি আগামীকাল এসে নিয়ে যাবেন। সে তারমত কাজ করে চলে গেছিলেন, আর আমি পুজো সেরে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
তারপর একজনকে সারপ্রাইজ দিলাম পিছন থেকে গিয়ে( ব্যাক্তি সম্পর্কে ১৫ই আগস্ট উল্লেখ করবো আজকের ছবি দিয়ে)।
এরপর, মনে হলো, বহুদিন কেনাকাটা করা হয়না, নিজের খুশির সুতো অন্যের হাতে বাধা থাকলে সে তারমত করে আবেগ নিয়ে খেলা করে।



আর মন ভরে গেলে পথ বদলে নেয়! তাই নিজের খুশির দড়ি অন্যের নয়, নিজের কাছে সামলে রাখা উচিত, নইলে আবেগের খেলা চলে অন্যের হিসেবে।
থাক সেসব কথা, আজকে তোমাকে দেখাবো কি কি জিনিষ কিনেছি, আর তার দাম কত, এরপর নয়তো যাত্রা পথের বিবরণ ১৫ই আগষ্ট তোমার পাতায় লিপিবদ্ধ করবো।
সেইদিন কারণটা জানাবো, কেনো আজকে যাত্রাপথ আর মানুষটিকে উহ্য রাখছি।
আচ্ছা তাহলে শেষ থেকে শুরু করে যাক, মানে শেষে দুজন গিয়েছিলাম রিলায়েন্স টেন্ডজ এ, সেখানে দেখছি লাইট সারাইয়ের কাজ চলছে বাইরে! দুর্গা পূজো প্রায় এসে গেলো, তাই তোড়জোড় চলছে।
ভিতরে গিয়ে স্মার্ট বাজারে কিছু কেনাকাটা করলাম।
যেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি, তবে তার আগে একটা হলুদ গেঞ্জি কিনেছি, সেটাও ছবিতে তুলে ধরলাম, আমি আগামীকাল গেঞ্জিটা দিয়ে দেবো, তবে সেই দৃশ্যের ছবি তুলে নিজেকে মহান দেখানোর কোনো ইচ্ছে নেই।
এরকম ভবিষ্যতে যেনো কিছু মানুষের পাশে থাকতে পারি সেই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে।
- শপিং মলের ভিতরের কিছু ছবি:-









- নিজের জন্য যা কিছু কিনেছি:-
গোল গলার গেঞ্জি👉 | ![]() |
---|---|
![]() | 👈ঠাকুরের ধুপকাঠি |
ছোটো দুটো কাচের বোয়াম👉 | ![]() |
![]() | রোস ওয়াটার ব্যাম্বু শীট 👈 |
ভিটামিন সি মাস্ক👉 | ![]() |
![]() | ফেস ওয়াশ( আড়ালে একটি গোপন রহস্য)👈 |
সাবান (চন্দন)👉 | ![]() |
![]() | 👈সাবান(গোলাপ) |
জুতো👉 | ![]() |
![]() | 👈ব্যাগ |

আমি যে গায়ে মাখার সাবান কিনেছি, এটির একটি বিশেষত্ব এটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি কোনো মেশিন তৈরি সাবান নয়, পাশাপশি এটি দামের দিক থেকে একটু বেশি হলেও এর ব্যবহারিক দিক এবং মান উন্নত।
বাড়ি ফিরতি পথে ঢুকেছিলাম ওয়েস্টসাইড শপিং মলে।
এটি মূলত টাটা কোম্পানির তৈরি, এবং এই শপিং মলের বৈশিষ্ট্য হলো উন্নত মানের সবরকমের ব্যান্ডেড জিনিষ সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়।

আগের বার যে জুতোটা কিনেছিলাম, আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি, পাশাপশি আমার আগের শ্লিং ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে আর বর্তমানে যে ব্যাগ ব্যবহার করছি, সেটি চামড়ার তৈরি কাজেই ব্যাগটির ওজন এমনিতেই এত বেশি তার উপর জিনিষ নিয়ে ওই ব্যাগ বয়ে আনা আমার এক্ রকম দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল।

আচ্ছা উপহারের মূল্য তার দামে হয়না, তাই ছবি তোমার সাথে ভাগ করে নিলেও, দাম কিন্তু তোমাকেও জানালাম না, আমার প্রিয় ডায়েরি, আশাকরি তুমি কারণটা বুঝবে?
যাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে দেবার মানসিকতা থাকে তারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিলেও মনের কোণে কিন্তু রাখে না, সেটা তৈরি হয় তখন, যখন সামনের মানুষগুলো খেয়ে মুখ মুছে ব্যবহার পরিবর্তন করে বুঝিয়ে দেয়, এখন তুমি নিঃস্ব তাই তোমাকে আমার আর বিশেষ প্রয়োজন নেই, অথবা এখন নেবার পরিবর্তে দিতে হচ্ছে, কাজেই আর সেই পথে হাঁটার আগ্রহ নেই!
এটাকে কি বলে ডায়েরি? এটাকে কি বেইমানি বলে না?

