নবমী পূজার দিন!
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি, যদিও শরীর খুব একটা ভালো নেই।
দুর্গাপূজা প্রতিটা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে অনেক বেশি আবেগ ও ভালোবাসার। দুর্গাপূজার যখন একমাস বাকি থাকে তখন থেকে প্রত্যেকের দিনগোনা শুরু হয়ে যায় যে, কবে পূজা আসবে।
পূজার প্রস্তুতি অর্থাৎ নতুন পোশাক কেনা বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা অথবা কোথায় কোথায় ঘুরতে যাওয়া হবে সেই প্লানিং করা আরম্ভ হয়ে যায়।
তবে সত্যি বলতে, এই অপেক্ষার প্রহর গুনতে কিন্তু মন্দ লাগে না। কিছু কিছু অপেক্ষার ভেতরেও শান্তি আছে।
তবে মহালয়া থেকে যখন পূজার আমেজ শুরু হয়ে যায় তারপর থেকে কখন যে দশমী হয়ে যায় সেটা বোঝা মুশকিল।
দুর্গা পূজা শেষ হওয়ার পর শুধু অবাক হয়ে ভাবি,
সুখের সময়টা কতই না দ্রুত পার হয়ে যায় আমাদের জীবন থেকে। যাই হোক, বাস্তবতাকে মেনে নিতে আমরা প্রত্যেকেই বাধ্য।
আজ নবমী পূজা!
আজ নয়, মানে সেদিনকার লেখা শেয়ার করছি সেদিনের কথা।
আগে থেকেই প্লানিং করা ছিলো আজ দিদি আর দাদা বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বেরোবো।
আমার নিজের দিদি বা বোন নেই এটা আমাকে ভীষণ রকম আফসোস করায় তাই পূজার সময় মাসির মেয়ে মানে আমার দিদির আর দাদাবাবু কে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবছর ঘুরতে বের হই।
তাছাড়া এবছর আমার কাঁধে দায়িত্ব একটুখানি বেশি। তার কারন -
আমার মাসির ছেলে, আমার ভাই বিগত বছর ভারতে চলে গেছে তাই পূজার সময় একটা দিন দিদিকে নিয়ে ঘুরতে না বেরোলে সেটা খারাপ দেখায় কারন ভাই দেশে থাকলে তো সবাইকে ঘুরতে বেরোতো।
তাই এবছর আমার শরীর যতই খারাপ থাকুক বা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে না করলেও সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আগে থেকে দিদির কাছে ফোন করে আজকের ঘুরতে যাওয়ার কথা ঠিক করক রেখেছিলাম।
সন্ধ্যার দিকে ফোন করে বাড়ি থেকে রওনা করলাম। যেহেতু অষ্টমীতে ঘুরেছি তাই আজ শরীর মোটেও সায় দিচ্ছিলো না কিন্তু কি আর করার!
ঠিক করেছিলাম আজ খুব বেশি দুরে যাবো না৷ আমতলা পূজা মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাবো এবং ওখানে মেলায় কিছু সময় কাটাবো।
যদিও বিগত দিন আমি আমতলা মন্দিরে গিয়েছিলাম যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে দিদিরা বললো দুরে কোথাও যাবে না, তাই আমার জন্য সুবিধাই হলো। তাছাড়া আমাদের আশেপাশে যতগুলো পূজা হয় সব থেকে লোক হয় আমতলা মন্দিরে।
দিদিরা আগেই মেলায় চলে এসেছিলো, আমার সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা সময় দেরি হলো।
অনেক দিন পর পুচকিটাকে ( দিদির মেয়ে) কে দেখলাম । শেষ দেখেছিলাম যখন আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো কয়েক মাস আগে।
দেখার সাথে সাথে ওকে কোলে নিলাম। তাছাড়া পূজার মেলায় ঘোরার সময় কোলে নিয়ে ঘোরার দায়িত্ব যেন মামাদের!
বায়না ধরলো জুস খাবে।
যদিও দেখে বোঝা যাচ্ছে রঙ মেশানো। এই ধরনের রঙিন জুস খাওয়ানো আমি একদমই পছন্দ করি না। তবে বাচ্চারা তো আর সেটা বুঝবে না । বায়না ধরলে সেটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত
আমরা সবাই মিলে পূজার বাজারে ঘোরাঘুরি করলাম এবং টুকটাক খাওয়া দাওয়াও করলাম।
পূজোর বাজারে ফুসকা, চটপটি তো সকলের পছন্দের কাবার। বিশেষ করে পুচকি যা চাইলো সব কিনে দিলাম, মামা বলে কথা 😁।
খুব বেশি সময় আমরা ঘোরাঘুরি করিনি কারন দিদিরা আবার ওখান থেকে বাড়িতে চলে যাবে আর তাছাড়া আমার শরীরও ভালো লাগছিলো না।
দিদিরা বাড়ি যাওয়ার আগে বাড়ির সকলের জন্য মিষ্টি কিনে দিলাম। তারপর দিদিদের গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় জানালাম। আর এভাবেই নবমী পূজার দিনটা পার হলো।
curated by: @dexsyluz
Thank you Very much for supporting me.