ফুটবলের উন্মাদনা!
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমি বেশ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের কিছু মুহুর্ত শেয়ার করবো।
দেখতে দেখতে অনেক সময় পার হয়ে গেলো। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এবারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ৩২ দলের পরিবর্তে ৪৮ দল অংশগ্রহণ করবে। দলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবার। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে তিনটি দেশ মিলে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা এই তিনটি দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে মানে স্বাগতিক দল হিসাবে এই তিনটি দেশ খেলবে।
আমি বরাবরই ফুটবল খেলা দেখতে অনেক বেশি ভালোবাসি, অভ্যাসটা ছোটোবেলার। এই কথাটা হয়ত অনেকবার শুনেছেন আমার পোস্টের মধ্যে।
কিছু বিষয়ে মানুষের আবেগ কাজ করে, ফুটবলটাও ঠিক তেমনই আমার কাছে।
কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে যেমন সবার সামনে চিৎকার করে বলা যায় ঠিক তেমনই আমি ফুটবলের কথা আপনাদের সাথে বলি!
আপনারা যারা আমার পোস্ট কম বেশি পড়েন তারা অবশ্যই জানেন, আমি ফুটবল খেলা দেখতে কতটা ভালোবাসি আর এই বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে থাকি।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ শুরু হতে আর খুব বেশি বাকি নেই। হাতে এক বছরেরও কম সময় বাকি আছে। কয়েকমাস পরেই শুরু হয়ে যাবে সেই প্রতীক্ষিত উন্মাদনা।
তবে আজ পিছনে ফিরে সেই ফেলে আসা সময়টার কথা মনে করতে খুব ইচ্ছে করছিলো। ফেলে আসা সময়টা মনে করতে যতটা না ভালো লাগে তার চেয়েও বেশি ভালো লাগে সেগুলো অন্য দের সাথে শেয়ার করতে, সেই উদ্দেশ্যেই মূলত আপনাদের সাথে এত বকবক করা!
আমি তখন খুলনাতেই থাকতাম।
তাই বাসায় একা একা বা দু, একজন মিলে খেলা দেখতে ভালো লাগতো না। আর সব থেকে বড় সমস্যা ছিলো বাসায় আমরা যে চারজন ছিলাম তাদের মধ্যে শুধুমাত্র আমি ব্রাজিল দলের সাপোর্ট করতাম আর বাকি তিনজন আর্জেন্টিনা তাই ওদের সাথে ঠিক জমতো না এই বিষয়ে।
খুলনার অনেক জায়গায় বড়ো বড়ো পর্দায় খেলা দেখানো হতো। তবে সব থেকে বেশি লোক হতো হাদিস পার্কে।
যেহেতু পার্কের এরিয়া অনেক বড় তাই অনেক লোক একসাথে খেলা দেখতে আসতো, কয়েকহাজার লোক একত্রিত হতো ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করতে।
আমরা কেনই বা বাদ যাবো। তাই আমিও আমার দাদার ( জেটুর ছেলে) সাথে হাদিস পার্ক চলে যেতাম।
যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান সকলকে যেভাবে একত্রিত করে, ফুটবল বিশ্বকাপটাও খানিকটা সেরকম।
সবাই একত্রিত হয়। হয়ত একেকজন একেক দলের সাপোর্ট করে তবে সবার মনে রয়েছে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা।
তাছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী সমর্থক না থাকলে কোনো খেলা ঠিক উপভোগ্য হয় না।
চারিদিকে হৈ-হুল্লোড় আর স্লোগান তার পাশাপাশি বাঁশি পো পো শব্দ সব মিলিয়ে অন্য রকম এক উন্মাদনা।
যারা হয়ত নিয়মিত ফুটবল খেলা দেখেনা তারা অধির আগ্রহে থাকেন চারবছর পর এই বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য। সবার সাথে তাল মিলিয়ে তারাও মেতে ওঠে।
খেলার জয় পরাজয় থাকবে, তবে উন্মাদনা চলতে থাকে। হয়ত নিজের দলের পরাজয়ে মন খারাপ করবে কিন্তু নতুন ভাবে আশা বুনতে থাকবে সমর্থকেরা।
অনেক দিন বাদে এই মুহুর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে খুব মন চাইলো । আশা করি, আপনাদের ভালো লেগেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি, আমাকে সমর্থন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বিগ স্ক্রিনে খেলা দেখার মজাই আলাদা। এবারের বিশ্বকাপের ফর্মেশন কেমন হবে তা যদিও এখনও খোলাসা হয়নি, তবে আর্জেন্টিনার আবার কাপ জেতার সুযোগ আছে।
আমি আগে আর্জেন্টিনা সমর্থক ছিলাম। তবে এখন আর নিজেকে আর্জেন্টিনা সমর্থক মনেহয় না। আমি এখন আরও বড় পরিসরে প্রবেশ করেছি। আমি এখন লাতিন সমর্থক। সব লাতিন দলকে সমর্থন দিয়ে যাবো। সেটা আর্জেন্টিনা হোক বা ব্রাজিল বা উরুগুয়ে নতুবা ইকুয়েডর।