আমি ঝগড়া নয়, খুনসুটি ভালোবাসি!
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি।
কিছু কিছু মানুষকে ঈশ্বর ধৈর্য্য নামক অমূল্য শক্তি একটু বেশি দিয়ে থাকে।
চেহারা, ব্যবহার, নৈতিকতা, শিক্ষা সকল দিক বিবেচনায় প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভিন্নতা অনেক। পার্থক্য খোঁজার চাইতেও হয়ত কঠিন একে অপরের সাথে মিল খুঁজে পাওয়াটা।
কেউ হয়ত রং চা আবার কেউ দুধ চা পছন্দ করেন। নৈতিকতার দিক থেকেও ঠিক তেমনই। কারো কাছে কোনো বিষয় অনৈতিক মনে হতে পারে আবার সেটাই অন্যের কাছে নৈতিক মনে হবে।
সবটাই পারিবারিক শিক্ষা ও নিজের মনুষ্যত্ববোধ। মনুষ্যত্ববোধ তৈরি হয় পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে। ঈশ্বরের কাছে একটা জিনিস প্রার্থনা করি সব সময়,
আমার জন্যে অন্যের উপকার হোক বা না হোক ক্ষতি যেন কখনও না হয়!
আমি ঝগড় নয় খুনসুটি ভালোবাসি
কিছু কিছু পরিবারে বাচ্চাদের সামনেই বাবা মায়েরা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা ঝগড়া করে। আমি মনে করি, এটা খুব বাজে একটা বিষয়!
ঝগড়া সময় নেতিবাচক কথাগুলো বাচ্চাদের মাথায় গেঁথে যায়, তাছাড়া প্রতি নিয়ত এই ধরনের আচরণগুলো ওদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে এবং ওরা এই ধরনের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
বাড়িতে ছোটো বাচ্চারা থাকলে সর্বপ্রথম নিজেদের সংযত করা উচিত, নিজেদের মুখে লাগাম দেওয়া উচিত না হলে সেই বাচ্চার ভবিষ্যতের ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে!
আমি ছোটোবেলা থেকে দুষ্টামি আর খুনসুটির মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছি।
আমার দাদু, ঠাকুমার সাথে খুনসুটির ছলে ঝগড়া করতো আর বাবা করতো মায়ের সাথে!
দাদু - ঠাকুমার সেই ঝগড়া আমি প্রতিনিয়ত মিস করি ! তবে বাবা মায়ের সেই খুনসুটি প্রতি মুহুর্ত উপভোগ করি আমি!
মাকে খোঁচা দিয়ে কথা বলে, বাবার আমাকে দেওয়া সেই ইশারা, যে ঈশারা বার্তা একটাই, ( এবার মা ক্ষেপে উঠবেই)
ঠিকই তাই হতো,
মাও একটু রেগে কথা বলতো তখন আর বাবাকেও খোঁচা দিয়ে কথা বলতো!
এই মুহুর্তগুলো ছোটোবেলা থেকে দেখে আসছি আর এখনও অপরিবর্তিত!
এই মুহুর্তগুলো আমাকে শিখিয়েছে,
মুখে হাজার বার ভালোবাসি না বলেও কিভাবে ভালোবাসা যায়,
হাজার বার প্রমিজ না করেও কিভাবে কথা রাখা যায়!
আজ বিকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে গিয়েছিলাম। দিনের মধ্যে খানিকক্ষণের জন্যে হলেও হাঁটাচলা করা উচিত।
ডাক্তাদের মতে, দিনে ৪৫ মিনিটও যারা শরীরচর্চা না করে তাহলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অনেকাংশ।
যাই হোক, একটা কথা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি,
ভালোবাসা সহজ কিন্তু ভালোবাসা ধরে রাখা কঠিন!
খুব কম মানুষ পারে ভালোবাসা ধরে রাখতে,
ভালোবাসা থাকুক বা না থাকুক একে অপরের প্রতি সম্মান থাকাটা আবশ্যক!