এলোমেলো ফটোগ্রাফি
মাছে ভাতে বাঙ্গালী যেন একদিন মাছ না খেয়ে থাকতেই পারে না। এটা প্রতিটা বাঙ্গালীর জন্মগত স্বভাব। তবে ব্যতিক্রম যে একদমই নেই এটা বলবো না!
অনেকেই রয়েছে যারা নিরামিষ খেয়ে থাকেন, তবে তাদের কথা ভিন্ন। অধিকাংশ বাঙ্গালীর নিত্য দিনের খাদ্য তালিকায় মাছ থাকবেই থাকবে!
সকালের পাতে মাছ না পেলেও দুপুরে মাছের যোগাড় হয়েই যাবে কোনো না কোনো ভাবে।
যারা শহরে বসবাস করেন তাদের মাছের উৎস একমাত্র বাজার। বাজার থেকে ক্রয় করে নিজেদের মাছের চাহিদা পূরণ করেন।
তবে এদিকে গ্রামে সুবিধা রয়েছে। গ্রামে মাছ ধরার অনেক বিকল্প উৎস রয়েছে।
খাল - বিলে জাল দিয়ে কেউ বা বড়শি দিয়ে মাছ ধরা হয়। মাছ ধরার কথা মনে পড়লে আমার দাদুর কথা মনে পড়ে।
দাদু মাছ খেতে ততটাও পছন্দ করতো না। ভাত খাওয়ার সময় দাদুকে মাছ দিলে দাদুর ভাত খাওয়া শেষ হয়ে যেত কিন্তু মাছ খেতে মনে থাকতো না।
মাছ খেতে পছন্দ না করলেও মাছ ধরতে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের এখানে ( কারেন্ট জাল) নামে এক ধরনের জাল পাওয়া যায়। যেটাতে ছোট মাছ যেমন, পুঁটি, ট্যাংরা এই ধরনের মাছ ধরা পড়ে। দাদু কারেন্ট জাল পাশের বিলে পেতে রেখে আসতো আর সকালে জাল তুলে আনতো।
আজ দুপুরে স্নান করার আগে যখন ফিসফিসে বৃষ্টি ভিজতে ভিজতে রাস্তায় গিয়েছিলাম তখন দেখি দাদা মাছ ধরার জন্য পুকুরে জাল ফেলেছে। একবার জাল ফেলতেই প্রয়োজনের থেকে অধিক মাছ ধরা পড়েছে।
গরু পালন করতে গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে দেখা যায়। এটা একটা পুরানো রীতি বলতে পারেন।
একটা হোক বা দুটো, গরু প্রতিটা বাড়িতেই রয়েছে।
আমাদের বাড়িতেও রয়েছে৷ আগে আমাদের এতো গরু ছিলো না। ২/৩ তিনটা ছিলো। তবে আস্তে আস্তে এখন অনেকগুলো হয়েছে। বাড়িতে গরু থাকলে সব থেকে বড় সুবিধা কি জানেন? ইচ্ছে মতো গরুর দুধ খাওয়া যায়। গরুর দুধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা তো সকলে জানেন!
এবার আমি আপনাদের সামনে একটা ফুলের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছি। এই গাছটার নাম আমার এখন মনে আসছে না, আপনাদের মধ্যে যদি কারোর জানা থাকে তাহলে বলতে ভুলবেন না।
বাড়িতে ঢোকার পথের দু'পাশে এই গাছ লাগালে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
এই ধরনের গাছগুলো বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা রাখে৷
এবার আপনাদের সাথে পড়ন্ত বিকালের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছি।
একটা দিনের অন্ত হয় সূর্যাস্তের মাধ্যমে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মুহুর্ত উপভোগ করতে আমি ভীষণ ভালোবাসি।
একটার উদ্দেশ্য নতুন করে সূচনা, আরেকটার সমাপ্তি!
সূর্যাস্তের ন্যায় আমাদের জীবনেরও একদিন সমাপ্তি ঘটবে সেদিন সূর্যের তেজের মতো আমাদের অহংকারও মলিন হয়ে যাবে!