Better Life With Steem || The Diary game || 15 September 2025

in Incredible India11 days ago

Hello Everyone,,,

আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

গতদিন রাত থেকে আকাশ মেঘলা, ফিসফিস করে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অনেকটাই ঠান্ডা ছিলো। অনেক দিন যাবত রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না। তবে বিগত রাতে আবহাওয়াটা ঠান্ডা থাকায় তাড়াতাড়ি ঘুম চলে এসেছিলো। তবে আমার সব থেকে ভালো ঘুম হয় ভোর বেলায়।

আজ আমাকে অনেক সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারন আমাকে বটিয়াঘাটা যেতে হবে। তবে সকালেও আকাশ মেঘলা ছিলো৷ খানিক বাদেই হয়ত বৃষ্টি নামবে। তবে তাতে কিছুই করার নেই, আমাকে জরুরি কাজে বটিয়াঘাটা যেতেই হবে।

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে প্রথমেই গাড়িওয়ালাকে ফোন করলাম এবং সময় মতো চলে আসতে বললাম। তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে নিলাম।

IMG_20250915_104907.jpg

আমার সম্পূর্ণ রেডি হতে প্রায় ১০ টা বেজে গেলো তারপর আবারও গাড়িওয়ালাকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।
সময় মতো গাড়িও আসলো তবে বিপত্তি বাঁধে খানিক বাদেই । বাড়ি থেকে যখন একটু দুরে গিয়েছি তখন হুড়মুড় করে বৃষ্টি নেমেছে।

গাড়ি থামিয়ে কোথাও দাঁড়াবো এমন জায়গা পাচ্ছিলাম না তাই ভিজতে ভিজতে খানিক পথ গিয়ে একটা দোকানে দাঁড়ালাম। আমার একটা বদ অভ্যাস হলো, আমার ছাতা নিয়ে বেরোতে বিরক্ত লাগে আর একারনে মাঝে মধ্যে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। যাই হোক, আজও তার ব্যতিক্রম হলো না।

আজ বটিয়াঘাটা আসার কারন হলো, কিছু টাকা তুলতে হবে। কিছু কারন বশত বাড়িতে কিছু টাকার প্রয়োজন তাই টাকা তুলতে এসেছি।

সত্যি কথা বলতে, সমস্যা যখন আসে তখন এক সাথেই আসে। এটা বারবার প্রমাণ পেয়েছি।
আমাদের বাড়ির পাশেই অন্য একজনের জায়গা রয়েছে সে সেটা বিক্রি করে দিবে।

ওনার জায়গা উনি বিক্রি করতে পারে এটা সমস্যা না কিন্তু কাদের কাছে বিক্রি করছে সেটা আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
যদি অন্য জায়গা থেকে কিছু লোক এসে এখানে থাকতে শুরু করে তাহলে আমাদের সমস্যা হতে পারে। অন্য লোকদের কাছে বিক্রি প্রায় ঠিক করেই ফেলেছিলো তবে পরবর্তীতে আমরাই নেওয়ার কথা বলি।

সব থেকে বড় কথা, প্রতিবেশীর সাথে খাপখাওয়াতে না পারলে বা তাদের সাথে সহযোগী মনোভাব না গড়ে উঠলে অনেক সমস্যা। জাতি, ধর্মও কিছু ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এই বিষয়ে।

আমরা ও আমার জেটুরা মিলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে অনেক টাকার দরকার। যদিও এই মুহুর্তে আমার ও বাবার মোটেও নেওয়ার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সব কিছু চিন্তা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

IMG_20250915_121510.jpg

সেখানে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন আগে ফার্মে নতুন মুরগী তোলা হয়েছে সেখানে প্রতি সপ্তাহে ওদের জন্য খাবার ও ঔষধ আনতে অনেক খরচ হয় এটা হয়ত জানেন অনেকে।

তাই এখন ব্যাংকে টাকা তুলতে বাবা অথবা মাকে যেতে হবে, যেটাও বাড়ি থেকে অনেক দুরে।
যেহেতু আমার কাছে কিছু জমানো টাকা আছে তাই সেগুলো দিয়ে প্রয়োজন মিটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম, মা ওতদুরে কষ্ট করে যাবে এটা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।

টাকা আমার একাউন্ট থেকে তুলি অথবা বাবার সেটা আমার কাছে একই বিষয়। বাবা মা আর আমার টাকা আলাদা এটা মনে করি না। যাই হোক, এসব সকলের নিজস্ব ভাবনা।

আমি একলাখ টাকা তোলার উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছ থেকে জানতে পারলাম, স্টুডেন্ট একাউন্ট থেকে দিনে পঞ্চাশ হাজারের বেশি টাকা তোলা যাবে না।

কি আর করার বুথ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে নিলাম। প্রয়োজন পড়লে কয়েকদিন পর আবারও আসতে হবে। যেহেতু আমার অন্য কোনো কাজ ছিলো না তাই টাকা নিয়ে আবার একই গাড়িতে করে বাড়িতে রওনা দিলাম।

32FTXiZsHoAW6noHJDhrg3W8ZKHVFSsLYM859aTDCF8iErGh76WJ3XTeP4CEdEn9HkXtoijhZgDGsivMJPEyUrwtqWNTN6PfmaLY2LAGHbYBFTNiUsrAW8CrZqQ9buVpfigBxvZZyhoEWkUe.jpeg

ফেরার পথে আর বৃষ্টি হয় নি এটাই ভালো বিষয়।
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলাম।

ঘুম থেকে উঠে দেখি আবার বৃষ্টি পড়ছে তাই আজ আর রাস্তায় হাঁটতে যাওয়া হলো না। বাড়িতে বসেই সময় পার হয়ে গেলো। যাই হোক, আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি, সকলে ভালো থাকবেন।

Sort:  
Loading...

Congratulations! Your post has been supported by our team

InShot_20250801_084743252.jpg

Curated by @ninapenda

 10 days ago 

Thank you ma'm for your support.