Better Life With Steem || The Diary game || 16 July 2025
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে আজকের দিনটা শুরু হয়েছিলো। রাতেও সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে সবাই ফসলের চাষাবাদ শুরু করে।
অঞ্চল ভেদে মাঠে একেক ধরনের ফসলের চাষ করা হয় একেক সময়ে। আমাদের এখানে আবারও ফসল চাষ করার সময় এসে গেছে।
সবাই নিজ নিজ জমি প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে। ফসল চাষ করার জন্য জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে মাঠে জল থৈথৈ করছে যেটা আরেকটা বড়ো সমস্যা। অতিরিক্ত জলে ধানের বীজ বপন করলে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। তাই জমির চারপাশে বাঁধ তৈরি করে জল সেচ দিতে হবে।
![]() |
---|
ফসল চাষ করার জন্য প্রথমে বীজ ধানের প্রয়োজন হয়। তারপর অঙ্কুরিত বীজ জমিতে ফেললে সেখান থেকে ধান গাছের চারা তৈরি হয়। তারপর সেগুলো জমিতে রোপন করতে হয়।
আজ বীজ ধানগুলো জমিতে ফেলতে হয়। তবে তার আগে অঙ্কুরিত বীজ ধানগুলো একটির থেকে আরেকটি ছাড়িয়ে নিতে হয়। গ্রাম্য ভাষায় এটাকে ছড়ি ভাঙ্গা বলে।
বাবা বিলে গিয়েছে জল সেচ দিতে আর আমি বাড়িতে বীজের ছড়ি ভেঙে বীজ ফেলার উপযোগী করছি।
জল সেচ দেওয়ার পর বাবা বাড়িতে বীজ নিতে আসলো এবং আমি আর বাবা বিলে যাই বীজ নিয়ে। তবে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙে আবারও জল ভরে গেছে। তাই আবারও দু'জন মিলে সেচ দিলাম। তারপর বীজ ফেলে বাড়িতে আসলাম। ৪০ মিনিটে কাজ শেষ হয়ে যেত কিন্তু সেই কাজ শেষ করে বাড়িতে আসতে বিকেল হয়ে গেছে।
এই ঘটনা থেকে আমারা কি বুঝতে পারি?
জীবনের কিছু কিছু পরিস্থিতিতে ঈশ্বর আমাদের ধৈর্য্যের পরিক্ষা নিয়ে থাকেন।
তবে পরীক্ষককে খুশি করতে পারলেই ফলাফল ভালো করা সম্ভব।
একবার জল সেচ দিয়ে একটু পর আবার জল সেচ দিতে হয়েছে। সত্যি বলতে এটা অনেক কষ্টের কাজ। একটানা ২ ঘন্টা জল সেচ দেওয়া মুখের কথা নয়। সেচ দেওয়ার পর আমার সারা শরীর ব্যথা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আমাদের হাতে দুটো উপায় ছিলো।
প্রথম উপায় হলো, জল সেচ না দিয়েই জলের মধ্যে বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।
আর পরেরটা হলো - কষ্ট করে আবারও জল সেচ দিয়ে তারপর বীজ ছড়িয়ে দিতে হবে।
আমরা দ্বিতীয় উপায় বেছে নিয়েছিলাম কারন এখানে কষ্ট একটু বেশি হবে কিন্তু ফলাফল প্রথমটার থেকে বেশি ভালো হবে।
ঈশ্বর হয়ত এটাই দেখতে চাইছিলেন যে, আমরা কি সিদ্ধান্ত নেই। আমরা ধৈর্য্য হারা হয়ে পড়ি কিনা!
বাড়িতে এসে প্রথমেই স্নান সেরে নিলাম। তারপর ভাত খেয়ে নিলাম, ভীষণ ক্ষুধা লেগেছিলো।
বেলা প্রায় শেষ, এই মুহুর্তে ঘুমালে শরীর খারাপ লাগবে। তাই না ঘুমিয়ে রাস্তায় বেরোলাম। বৃষ্টির কারনে রাস্তায় বেরোনো হচ্ছে না তাই আজ সুযোগটা হাত ছাড়া করলাম না।
![]() | চানাচুর মাখা |
---|
রাস্তায় গিয়ে কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়। সকলে মিলে একসাথে কিছু খাওয়ার সিদ্ধান্ত করলাম। তাই দোকান থেকে চানাচুর ভাজা কিনে এনেছিলাম। আজ চানাচুর মাখা তৈরি করবো। অন্য দিন সাথে মুড়িও থাকে তবে আজ মুড়ি ছাড়াই করবো।
আজকের চানাচুর মাখাতে আমার ব্যবহৃত উপাদান -
- চানাচুর এক প্যাকেট ( ৩০০ গ্রাম) ।
- তেতুল চাটনি।
- আমড়া।
- পেয়াজ।
- সরিষার তেল।
এগুলো একসাথে মাখানোর পদ্ধতি হয়ত বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই কারন আপনারা আমার থেকে ভালো জানেন যে কিভাবে খাবারটা আরও বেশি সুস্বাদু করা যায়।
আগেই সর্তক করে রাখি -
যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা এভাবে চানাচুর মাখা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
যাই হোক, এভাবেই আমার আজকের দিনটা পার করলাম। ধৈর্য্য, ক্লান্তি আর হাসির মিশ্রণে একটা দিন করলাম।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Thank you so much for your support.