Better Life With Steem || The Diary game || 21 July 2025
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। দু'দিন আগে মামা বাড়ি থেকে দাদু বেড়াতে এসেছিলো আমাদের বাড়ি। এটাকে ঠিক বেড়াতে আসা বলা যায় না, একটা কাজে এসেছিলো। তবে এবার দিদিমা আসে নি।
দাদু এসেছে দিদিমার জন্য ঔষধ নিতে। দিদিমার পায়ে ব্যথার সমস্যা রয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখানো হয়েছে কিন্তু ঠিক মতো সুস্থ হচ্ছে না। তবে আমাদের বাড়ির পাশের একজন ডাক্তারকে দেখানোর পর আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ।
ঔষধ শেষ হয়ে গিয়েছে তাই দাদু ঔষধ নিতে এসেছে তাই দিদিমাকে শুধু শুধু সাথে আনে নি, যদিও আমি আনতে বলেছিলাম। আজ সকালে দাদু বাড়ি চলে গেছে।
আজ আমাকে জরুরি কাজে খুলনা যেতে হবে তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া করে প্রস্তুত হয়ে নিলাম। তারপর দাদু আর আমি একসাথে রওনা হলাম।
যাই হোক, কিছু দুর যাওয়ার পর দাদু বাড়ির পথে রওনা দিলো আর আমি খুলনায় পথে। প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে বটে, তবে যেদিন বৃষ্টি হচ্ছে না সেদিন বাইরে তিব্র গরম। সময় যত গড়াচ্ছিলো রোদের তিব্রতা দ্বিগুণ হচ্ছিলো।
খুলনাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুটো। প্রথমত বিগত দিন রাতে আমার দাদার অপারেশন করা হয়েছে, সেখানে দাদাকে দেখতে যাবো। জেটু, জেটিমা আগে থেকেই ওখানে আছে।
দ্বিতীয়ত, ব্যাংকে একটু কাজ আছে। আপনাদের জানিয়েছিলাম আমি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করেছি আজ সেটা আনতে যাবো।
![]() | ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, খুলনা শাখা ( সকাল ১০ - বিকাল ৪ টা) |
---|
যেহেতু ব্যাংকের কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ হয়ে যাবে, তাছাড়া ওখানে গিয়ে আমার কত সময় লাগবে সেটা অজানা তাই ব্যাংকের কাজ আগে শেষ করে তারপর নিরিবিলি দাদার এখানে যাবো।
যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো, অনেক ভিড় ছিলো আজ ব্যাংকে। আমি টিকিট কেটে সিরিয়াল দিয়েছিলাম। আমার সিরিয়াল নাম্বার ছিলো ১১৭। আমি যখন পৌঁছেছি তখন সবেমাত্র ৭৩ নম্বর সিরিয়াল চলে। এখানে আমার কোনো হাত নেই অপেক্ষা করা ছাড়া।
![]() | অপেক্ষারত অবস্থায় |
---|
একটা কথা আছে না, অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায়।
আমার সাথেও হলো ঠিক সেটাই। অনেকক্ষণ যাবত অপেক্ষা করার পর যখন ১১২ নাম্বার সিরিয়ালে আসলো তখন শুরু হলো সার্ভারের সমস্যা।
তখন মনে মনে ভাবলাম, সমস্যাটা আরেকটুখানি পর হলে কি হতো? সামান্য একটু সময় দিলে তো আমারটাও হয়ে যেত!
কখন সার্ভার ঠিক হবে জানি না। প্রায় ঘন্টা খানেক বসে থাকার পর পুনরায় সার্ভার সচল হলো এবং পরবর্তী কয়েক মিনিটের মধ্যে আমার কাজ শেষ হলো। আমি কার্ড নিয়ে ওখান থেকে রওনা দিলাম হসপিটালের উদ্দেশ্য। ব্যাংক থেকে ১০ মিনিটের পথ।
![]() | গাজী মেডিকেল কলেজ হসপিটাল , সোনাডাঙা , খুলনা |
---|
গাড়ি থেকে হসপিটালের সামনে নেমে আমি দাদার কাছে ফোন দিয়ে জেনে নিলাম কোন ফ্লোরে যেতে হবে। দাদা রয়েছে ৭ তালায়। আমি লিফটে লড়ে দাদার এখানে পৌঁছে গেলাম।
আসলে মানুষ কখন অসুস্থ হয় সেটা কেউ বলতে পারে না। আমি কয়েকদিন আগের একটা পোস্টে জানিয়েছিলাম যে, দাদার পেটে পাথর পড়েছে এবং এজন্য চিকিৎসাও করছে। ডাক্তারে বলেছিলো ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে পাথর পড়ে যাবে।
তিনটা পাথরের মধ্যে ১ টা পড়েও গিয়েছে। তবে এবার অন্য সমস্যা ধরা পড়েছে। দাদার মুত্রনালীতে সমস্যা হয়েছে তাই এবার অপারেশন করা ছাড়া উপায় নেই।
দু'দিন আগে দাদা বাড়িতে গিয়েছিলো তখন সব কিছু ঠিকই ছিলো, হঠাৎ করে যে কি হয়ে গেলো! কাল রাত ১১ টায় অপারেশন করেছে দাদার।
যদিও অপারেশন করা হয়েছে অন্য সমস্যার জন্য তবে অপারেশন করার সময় বাকি দুটো পাথরও বের হয়েছে। এই পাথর দুটো সাইজে একটু বড় হওয়ার কারন মুত্রনালীতে আটকে ছিলো।পাথর দুটো বেরিয়ে যাওয়ায় সবাই অনেকটা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছে।
সমস্যা যখন জীবনে আসে তখন যে, একটার পর একটা আসতেই থাকে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন, দাদা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thank you Very much for your support.