Better Life With Steem || The Diary game || 23 July 2025
কেউ যদি নিজের অস্তিত্বকে আড়কে ধরার জন্য অমরত্ব লাভ করতে চায় তাহলে সেটা কখনওই সম্ভব নয়। মানুষ চাইলে সব কিছু করতে পারে তবে চেষ্টা করলেও নিজের পরিবার, প্রিয়জনকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে পারে না।
হয়ত অনেকেই অনন্ত কাল পর্যন্ত নিজের কাছের মানুষের স্নেহ, ভালোবাসা পেতে চায় তবে সব আশাকে বিসর্জন দিয়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে নিজের বাসস্থানের পথে রওনা দিতে হয়।
বিগত দিন রাতে আমাদের গ্রামের একজন ঠাকুমাও পরলোক গমন করেছেন। তাই সকালে সকল বিধি ও নিয়ম কানুন পালন করে তাকে বিদায় জানানোর সকল বন্দবস্ত করা হলো।
ঠাকুমাকে নিয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় সকলের সাথে শেষ যাত্রার আমি যুক্ত হয়েছিলাম।
বেঁচে থাকতে এত দ্বন্দ্ব, ঝগড়া, অহংকার সব কিছুর অবসান ঘটবে একদিন৷এত হিংসা, পরনিন্দা এগুলোর কি কোনো মূল্য আছে? হয়ত এই জ্ঞানটা মানুষ শুধুমাত্র তার শেষ সময়ে উপলব্ধি করতে পারে।
![]() | সকল অহংকারের পতন এখানেই |
---|
গ্রামের একটা বিষয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে সেটা হলো -
একজনের সাথে অন্য জনের যতই ঝগড়া বা রাগারাগি থাকুক না কেন কেউ অন্যের বিপদে সকলে এগিয়ে আসে।
শ্মশানে গিয়ে বিধি মেনে সকল কাজ করতে অনেক সময় লাগলো। আপনাদের মধ্যে যারা শ্মশানে গিয়েছিলেন তারা হয়ত বুঝতে পারছেন যে কেমন সময় লাগতে পারে।
![]() | ওর মন খারাপের কথাগুলো হয়ত কাউকে বলতে পারছে না,ঠিক যেন আমার মতো |
---|
যাই হোক, শ্মশানের সকল কাজ শেষ করে বাড়িতে এসে স্নান সেরে নিলাম। সকালে না খেয়েই গিয়েছিলাম তাই ভীষণ খিদে লেগেছিলো। স্নান করে সঙ্গে সঙ্গে ভাত খেয়ে নিলাম।
বাইরে ভীষণ রোদ তাই স্বাভাবিকভাবে গরমটাও অনেক বেশি। আমাদের বাড়ির পাশে বিল। ওখান দিয়ে ভীষণ বাতাস আসে। কল ঘাটে কিছু সময় বাতাসে বসে রইলাম। আমার পাশে বিড়াল বসে ছিলো, ওরও হয়ত গরম লাগছিলো।
![]() | কামরাঙ্গা |
---|
কামরাঙ্গা গাছে এবারও কামরাঙা ধরেছে তবে বিগত বছরের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। এমনিতে আমাদের বাড়িতে একমাত্র মা কামরাঙা খেতে পছন্দ করেন। আমি আর বাবা ওতটাও খাই না। গাছে ফল ধরলে কিন্তু দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।
![]() | ফলা দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা |
---|
বিকালে হাঁটতে রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। তখন দেখলাম একজন ফলা হাতে নিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। এভাবে মাাছ ধরার পদ্ধতি অনেক পুরানো।
আগেকার মানুষের ফলাই ছিলো শিকারের একমাত্র হাতিয়ার। তবে এখন অনেক মানুষ ফলা ছুড়ে মাছ ধরে থাকে। পৃথিবীতে সবাই নিজের প্রয়োজন মেটাতে ব্যস্ত। যে যার খিদে মেটানোর জন্য খাবার যোগাড় করছে।
সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে সবাই নিজে কাজ শেষ করতে ব্যস্ত। কয়েকদিন আগেই আমাদের এখানে এত এত বড়ো মাছের ঘের ছিলো না। তবে কয়েকদিন আগে চাষাবাদের জমিতে ঘের তৈরি করেছে। সবাই সবার নিজের লাভের কথা ভাবেন। এক দাদা ঘেরে মাছের খাবার দিচ্ছিলেন, যদিও মাচ চাষ করার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।
সময়ের সাথে বদলাবে মানুষের প্রয়োজন আর পরিবর্তন হবে প্রয়োজন মেটানোর উৎস। নিজের প্রয়োজন মেটাতে মানুষই পথ খুজে নেবে। হয়ত এই পরিবর্তনে মাঝে নতুন নতুন বিষয় সামনে আসবে আর কিছু বিষয় হারিয়ে যাবে চিরদিনের মতো!
Thank you Very much for your support.