Better Life With Steem || The Diary game || 28 August 2025
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন!
প্রতিদিনের মতো আজও সকালের আবহাওয়া রৌদ্রময় ছিলো। যদিও এখন তেমন একটা বৃষ্টি হচ্ছে না আর হলেও খুব একটা নয়।
সকাল হতে না হতেই যে যার মতো কাজে বেরিয়ে পড়ছে। গ্রামের মানুষের কাজ বলতে তো রোদ আর বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মাঠে ফসল ফলানো।
দেখতে দেখতে বছর পার হয়ে গেলো আবারও নতুন করে মাঠে ফসল চাষের সময় এসেছে। সবার মাঝে ব্যস্ততা এখন। আমাদের বাড়িতেও লোকজন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে তবে এসময় আমি মাঠে যাই না বললেই চলে! তবে বাড়িতে খানিক কাজের ব্যস্ততা রয়েছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা বাড়িতে নেই, বিলে গিয়েছে। সেজন্য আমাকে বাড়ির কিছু কাজে হাত দিতে হচ্ছে।
আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, কয়েকদিন আগে আমাদের ফার্মে মুরগীর বাচ্চা তুলেছে আর ওদের উপর সব সময় খেয়াল রাখতে হয়।
এখন বাচ্চা অবস্থায় একটু এদিক ওদিক হলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। সকালের খাবার খেয়ে আমি সেখানে চলে গেলাম।
সব থেকে বেশি সমস্যা হলো, একটা অন্যটার গায়ের উপর লাফিয়ে উঠলে অনেক সময় অন্যটা অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই সব সময় নজর রাখতে হয়। তাছাড়া খাবার, জল আর ঔষধ তো আছেই।
![]() | চিংড়ি মাছ |
---|
বর্তমান পুকুরে অনেক জল থাকায় জাল দিয়ে মাছ ধরা একদমই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই বাবা বিল থেকে বাড়িতে আসার সময় মাছ কিনে এনেছে।
যদিও চিংড়ি কে জলের পোকা বলা হয় তবে চিংড়ি কিন্তু সকলের নিকট অনেক পছন্দের। আমি ব্যক্তিগতভাবে চিংড়ি মাছ অনেক পছন্দ করি। বাবা আজ ৬০০ গ্রাম চিংড়ি এনেছিলো কারন এর চেয়ে বেশি চিংড়ি ছিলো না ওখানে।
দুপুরে খাবার খেয়ে একটু খানি না ঘুমালে যেন শরীরটা কেমন জানি ঠিক লাগে না। এটা হয়ত আমার অভ্যাস, তবে প্রতিদিন ঘুমাই না। তবে কাজ করলে কেমন জানি ঘুম চলে আসে।
দুপুরে খানিক্ষন ঘুমানোর পর কিছু সময়ের জন্য রাস্তায় হাঁটতে বের হলাম কারন বাবা বিকালে বাড়িতেই থাকবে আজ। তাই আমার দায়িত্ব আজকের মতো শেষ।
এই যে, নদীটা দেখতে পাচ্ছেন এটা ছিলো একটা সময় যোগাযোগ মাধ্যম। বড়ো বড়ো জাহাজ ও ট্রলারের মাধ্যমে মালামাল বহন করার মাধ্যম ছিলো। তবে আজ নদীটা প্রায় মৃত। নৌকাও চলে না বললে চলে।
আমি যখন ছোটো ছিলাম তখন আমাদের বাড়িতে দোকান ছিলো। দোকানে জিনিসপত্র শহর থেকে ট্রলারের মাধ্যমে এই নদী দিয়ে নিয়ে আসা হতো, আমিও বাবার হাত ধরে আসতাম সেগুলো নিতে। সেই স্মৃতিগুলো এখন খুব মনে পড়ে।
আজ একটা কথা খুব বেশি করে মনে সাড়া দিচ্ছে,
আমরা যেমন বীজ বপন করবো তেমনই ফল পাবো পরবর্তীতে, তাই না!
বীজ যদি ভালো হয় এবং সেটাকে যদি সঠিক পরিচর্যা দেওয়া হয় তাহলে ফলও ভালো হবে।
বাড়ির বাচ্চারা বড় হয়ে কেমন ব্যক্তিত্বের হবে সেটা নির্ভর জরে পারিবারিক শিক্ষার উপর। সবাই উচু পদে চাকরি করবে বা ডাক্তার হবে এমনটা নয়, মানুষের মতো মানুষ হতে পারছে না কিনা এটাই বড় শিক্ষা!
কিছু কিছু পরিবার বাচ্চাদের সামনে এমন ভাবে গালিগালাজ করে দেখে সত্যি খারাপ লাগে কারন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্চাটা এসব দেখেই বড় হচ্ছে তাহলে ওর মানসিকতা তো এর ব্যতিক্রম হবে না।
আজ একটা বাড়িতে এমন ঘটনা দেখলাম তাই মনে মনে ভাবছিলাম। যদিও প্রায়ই এমন ঘটনা দেখা যায়।
যাই হোক, আমার হয় বাচ্চাকে দামি দামি খেলনা বা পেশাক দিতে পারেন আর না পারেন অন্তত মানুষের মতো মানুষের হওয়ার শিক্ষা দেওয়া উচিত।
Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
দিদি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে সমর্থন করার জন্য। ভালো থাকবেন।