বৃষ্টি মুখর দিন!
কেমন আছেন সবাই?
বৃষ্টি মুখর দিনগুলো কেমন কাটছে আপনাদের। আমার কিন্তু বেশ ভালো কাটছে। তবে আরও ভালো হতো যদি, বিদুৎ সংযোগ আর নেটওয়ার্কের সার্ভিসটা ভালো থাকতো।
বিগতদিন রাত ১১ টার দিকে বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে আর একটানা সারা রাত বৃষ্টি হয়েছে।
ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিগত দিন রাতে অন্য দিনের তুলনায় খানিক আগে আগে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
ভোরবেলায় ঘুম ভাঙ্গতেই দেখলাম তখনও বৃষ্টি হচ্ছে। বাবা মা আগে থেকেই ঘুম থেকে উঠেছিলো এবং বলা বলি করছিলো যে,
অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে গরুর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে গরুকে যতই বেশি বেশি খেতে দেওয়া হোক না কেন ওদের শরীর খারাপ হয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। বৃষ্টিতে বাইরে যাওয়ার উপায় ছিলো না।
প্রখর রৌদ্রের পর বৃষ্টি যেন প্রকৃতিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে।
তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনেও অনেক সমস্যা হয়। সত্যি বলতে, অতিরিক্ত কোনো কিছু ভালো নয়।
দুপুরে স্নান করার আগে ছাতা নিয়ে খানিক সময়ের জন্য বেরিয়ে পড়লাম। মূলত বাড়িতে বসে বসে একঘেয়েমি হয়ে গেছি তাই বৃষ্টিকে আরও কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।
রাস্তায় বেরিয়ে দেখি জল বেঁধে গেছে। সারা রাত বৃষ্টি হলে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।
বিগত বছরও বৃষ্টির কারনে ঠিক এভাবেই জল উঠেছিলো রাস্তায়।
একদিন রাতে আমি ছাতা মাথায় দিয়ে রাস্তায় এসেছিলাম, রাস্তার কি অবস্থা সেটা দেখার জন্য। আর সেটা দেখতে এসে আমি বড়ো বড়ো তিনটা শোল মাছ পেয়েছিলাম।
রাস্তায় গিয়ে দেখি ঐশী ছাতা মাথায় দিয়ে দাদার কোলে উঠে রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। বৃষ্টিতে বাড়িতে বসে বসে যে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে এটা বুঝতে বাকি রইলো না।
আমাকে দেখার সাথে সাথে আমাকে ডাকতে লাগলো এবং আমার কোলে আসতে চাইলো কারন আমার কাছে আসলে ওর দুষ্টামির বায়নাগুলো পূরন হবে যেটা দাদার কাছে থাকলে হবে না।
আমার কোলে এসে কিছুক্ষণ পর রাস্তায় নামতে চাইলো তবে আমি প্রথমে নামতে দেইনি। তবে, নাচোড় বান্দা তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিলাম, যদিও ওর মাথার উপর ছাতা ধরে রেখেছিলাম যাতে ভিজে না যায়।
রাস্তায় জলের ভিতর দিয়ে হেঁটে যেন মহা খুশি তবে ওর খুশিকে বেশিক্ষণ প্রশ্রয় দেই নি কারন এতে ওর ক্ষতি হতে পারে।
ঐশীকে বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে আমিও বাড়িতে আসছিলাম। তখন রাস্তায় জল দেখে আমারও মনে হচ্ছিলো ঈশীর মতো করে আমিও জলের ভিতর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করি।
ছোটোবেলায় মতো করে জলের ভিতর দিয়ে কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করি।
তবে ঐ যে,
চক্ষু লজ্জা
চক্ষু লজ্জার কারনেে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু করতে পারি না।
হয়ত অনেকে হাসিঠাট্টা করবে,
অনেকে বলবে, বয়স বেড়েছে কিন্ত স্বভাব বাচ্চাদের মতো রয়ে গেছে।
আমাদের অধিকাংশ মানুষের অনেক ইচ্ছে লোকলজ্জার ভয়ে মনের গহীনে চাপা পড়ে থাকে।
এমন হাজারো চিন্তা করে, মনের ইচ্ছে মনেই চাপা রাখলাম।
Curated by: @artist1111
Thank you Very much. Thank you very much for your support.