তারার নকশা তৈরি ★
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। রোদ, বৃষ্টি, গরম আমাদের যেন কাবু করে ফেলছে। যখন বৃষ্টি হচ্ছে তখন একটানা কয়েকদিন যাবত হচ্ছে। তখন সবাই মনে মনে ভাবছে একটু রোদ হলে ভালো হতো!
কয়েকদিন পর যখন রোদ হচ্ছে তখন গরমের জন্য সবাই বলছে, না হ, এর থেকে বৃষ্টিই ভালো ছিলো।
স্বয়ং ঈশ্বরও হয়ত দ্বিধায় পড়ে গেছে, কি করলে মানব জাতি খুশি হবে!
সত্যি বলতে, আমরা কিছুতেই খুশি হবো না। মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। একটা চাওয়া পূরণ হলে অন্য চাহিদা সামনে আসে আর এভাবে পার হয়ে যায় গোটা জীবন। যতদিন না আমরা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবো, ততদিন আমরা সুখি হতে পারবো না কিছুতে
আজ আপনাদের সাথে নিজের তৈরি করা একটা কাগজের নকশা নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকের নকশাতে আমি স্টার বা তারা তৈরি করেছি।
ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত তারা নিয়ে গল্প শোনেনি এমন মানুষ হয়ত পাওয়া যাবে না। অনেক শুনেছি, মানুষ মারা গেলে স্টার হয়ে যায়। ছোটবেলায় যখন দিদিমার কোলে উঠতাম তখন গল্পের ছলে দিদিমা বলতো যে সেও একদিন মারা গিয়ে আকাশের তারা হয়ে যাবে!
যাই হোক, আজ আমি সেই তারার নকশা করতে বসেছি। না না, আজ বৃষ্টির জন্য সময় কাটানোর জন্য নয়, আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলেই কাগজ আর কাঁচি নিয়ে বসে পড়লাম।
উপকরণ :-
- রঙিন কাগজ।
- কাঁচি।
- আঠা।
- ছুরি।
![]() |
---|
![]() |
---|
প্রথমে একটা বড় কাগজ নিয়ে মাঝ বরাবর সেটাকে কয়েক বার ভাজ করে সমান চার কোনা অংশে কেটে নিতে হবে। আমার মোট ৫ টা খন্ডের প্রয়োজন সম্পূর্ণ নকশা তৈরি করতে।
এবার কাগজের ছোটো অংশ নিয়ে মাঝ বরাবর ভাজ করে ত্রিভুজ আকৃতির তৈরি করে নিতে হবে। সঠিক ভাবে ভাজ দিতে না করলে নকশা দেখতে সুন্দর লাগে না। তাই সাবধানের সাথে কাজ করতে হবে। একটা কাজ কতটা সুন্দর হবে সেটা নির্ভর করে আমরা কাজটা কতটা ভালোবেসে করছি।
এবার আমি উপরের দেখানে ছবির মতো করে প্রতিটা কাগজ ভাজ করে নিবো। আশা করি, ছবিগুলো দেখলে আপনারাও স্পষ্ট বুঝতে পারছেন যে, কিভাবে আমি ভাজ করেছি।
ভাজ করা হয়ে গেলে এবার আটা দিয়ে কাগজের উপরের কোণাগুলো লাগিয়ে নিতে হবে।
আমাদের যেহেতু মোট ৫ টা কাগজের টুকরো তৈরি করেছিলাম। তাই সব গুলোই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ভাজ করে আঠা লাগিয়ে নিতে হবে।
তারপর প্রতিটা অংশ একটির সাথে আরেকটি লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে আমাদের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবে।
প্রতিটা অংশ লাগিয়ে নেওয়ার পর কাগজগুলো মেলে ধরলেই তারার নকশা তৈরি হয়ে যাবে। কত অদ্ভুত তাই না। সত্যি বলতে, আমি শেষের এই মুহুর্তের জন্য অপেক্ষায় থাকি যখন নকশা সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যাবে।
আশা করি,আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় এমন অনেক ধরনের নকশা তৈরি করতাম। তবে এখন হয়ত সেভাবে তৈরি করা হয় না কিন্তু এখন অবশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য মাঝে মাঝে তৈরি করি।
তাছাড়া এগুলো তৈরি করার সময় আমার সম্পূর্ণ মনোনিবেশ এই দিকেই থাকে তাই অন্যান্য চিন্তা মাথা থেকে খানিক সময়ের জন্য দুর হয়ে যায়। যাই হোক, পরবর্তীতে নতুন কোনো নকশা নিয়ে আবারও উপস্থিত হবো। আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted from the steemcurator07 account.
Thank you Very much for your support.