আজকের কষ্টই আগামী দিনের শক্তি ✨
25-08-25
১০ ভাদ্র , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনি ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আমাদের জীবনে এ ভালো থাকার জন্য কতো কিছু করতে হয়, কতো সংগ্রাম করতে হয়। জীবনে সবরকমের সংগ্রাম করতে হয়। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনে, শিক্ষাগত জীবনে অথবা পেশাগত জীবনে। জন্মের পর থেকেই যারা প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেচেঁ থাকার জন্য তারাই সফল হয়। তবে যাদের টাকা পয়সা থাকে তারা জীবনের মানেটা বুঝতে চাই না। তারা মনে করে তার বাবার তো টাকা আছেই। সেটা দিয়েই তার জীবন চলে যাবে। তবে সে এটা জানে না যে এতো টাকা পয়সা, গাড়ি বাড়ির মালিক হতে তার বাবার কতো পরিশ্রম করতে হয়। যার ফসল এতোকিছু। কিন্তু তার ছেলে যদি বুঝতো জীবনের আসল মানেটা তাহলে খামখেয়ালিভাবে বাবার টাকার উপর নির্ভর করে থাকতো না। সেও চেষ্টা করতো তার বাবার মতো পরিশ্রমী হওয়ার!
আসলে পরিশ্রমী সবাই হতে পারে না! যাদের পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তারাই কেবল জীবনে পরিশ্রম করতে পারে। যেমন ধরেন একজন ছেলে যে কি না শহরের হাওয়া বাতাস খেয়ে বড় হয়েছে। শহরের খাবারে সে এক্সপার্ট! এখন শহরের ছেলেটা গ্রামে কোনোদিন যায়নি। তাকে আপনি গ্রামে নিয়ে গেলেন। নিয়ে তাকে বললেন হাল চাষ করার জন্য! তারপক্ষে এটা আসলেই সম্ভব কি? সে কি হুট করেই হাল চাষ করতে পারবে! সেটা কোনোভাবেই সম্ভব না আসলে। তবে তার যদি গ্রামে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতো তাহলে সে ঠিকই পারতো! এজন্য গ্রামের পরিশ্রমী ছেলেরা আমি মনে করি শহরের ট্যালেন্টেড ছেলেদের থেকে ভালো। ট্যালেন্টেড বলতে বুঝিয়েছি যারা একাডেমিক পড়াশোনায় ভালো! তবে গ্রামের ছেলেরাও যথেষ্ট মেধাবী হয়।
আবার, আমাদের ছাত্র জীবনে যদি বলি সেটাও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। ছাত্র জীবনে আপনি যদি পরীক্ষার আগে এক রাত পড়ে ধুমায় পরীক্ষা দিবেন সেটা আসলে সম্ভব না। কারণ যে সারা বছর পরিশ্রম করেছে যে একরাত পড়েছে আমি মনে করি সে তার থেকে ভালো! কারণ তার পরিশ্রমের ফলটাও পায় ভালো রেজাল্টের মাধ্যমে। আর ভালো রেজাল্টের মাধ্যমে জীবনে ভালো একটা ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে পারে। ভালো ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে হলেও পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া আপনি জীবনে সফলতা পাবেন না! এই যে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় এটাতে কঠোর অধ্যাবসায়ের প্রয়োজন হয়। অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ধৈর্য ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারবে না।
যার ধৈর্য আছে, পরিশ্রম করার মেন্টালিটি আছে তারাই জীবনে সফলতা লাভ করতে পারে। সফলতার জার্নিটা আসলে একদিন বা দুইদিনের না! প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হবে নিজের সাথে। আপনি হুচট খাবেন কিন্তু আবার আপনাকে উঠে দাঁড়াতে হবে। তবেই সাফল্যের দেখা পাওয়া সম্ভব! জীবনে সংগ্রাম ছাড়া কিছুই নেই! আপনাকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেই বেড়ে উঠতে হবে। এ সংগ্রামের যাত্রাটা অনেক দীর্ঘ! যারা দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে তাদের জীবনব্যবস্থার কথা চিন্তা করুন! তারাও বেচেঁ থাকে। তবে তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বাচেঁ। যারা রিকশাচালায় বা দিনমজুরি তারাও বেচেঁ থাকে। তাদের প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়। একদিন কাজ না করলে পরিবার না খেয়ে থাকবে, তাদের দিকে পুরো পরিবার তাকিয়ে থাকে।
তাদের লড়াই অনেক আসলে। পরিবারের দায়িত্ব যার কাধে পরে তারায় কেবল জানে পরিবার সামলাতে কি কি লাগে। পরিবারের কর্তারা সবসময় তাদের মুখে হাসি ফুটাতেই ব্যস্ত থাকে। তাদের এ হাড়ভাঙা পরিশ্রম শুধুমাত্র একটি পরিবারকে ভালো রাখার। আর পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারলেই যেন তারা স্বার্থক। তারাও বেচেঁ থাকে! তাদের এ পরিশ্রম শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কখনো আসলে হাল ছেড়ে দেয় না! জীবনে উত্থান পতন থাকবেই। তবে কষ্টকে যারা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারবে তারাই কেবল জীবনে সাফল্যের দেখা পাবে!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share