দিনাজপুর "কাচ্চি ভাই" এ একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ8 days ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ২০ ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে দিনাজপুর কাচ্চি ভাই এ খাশির কাচ্চি খাওয়ার গল্প শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


223.jpg

কাচ্চি বিরিয়ানির নাম শুনলেই জিভে জল আসে । তবে দিনাজপুর কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ একেবারেই আলাদা। গতকাল আমি সেখানে গিয়েছিলাম, আর সত্যি বলতে, এটি আমার জীবনের অন্যতম সেরা কাচ্চি অভিজ্ঞতা হয়ে রইল।দিনাজপুর কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই চোখে পড়ে ঝকঝকে ও পরিপাটি পরিবেশ। টেবিলগুলো সুন্দরভাবে সাজানো, আর ভেতরের হালকা আলোয় রুচিশীল এক আবহ তৈরি হয়েছে। পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বসে খাবারের জন্য এটি নিঃসন্দেহে আরামদায়ক একটি জায়গা।

230.jpg

অর্ডার দেওয়ার পর যখন গরম হাড়ি থেকে কাচ্চি পরিবেশন করা হলো, তখনই বোঝা গেল এটি হবে আলাদা কিছু। ঢাকনা খোলার সঙ্গে সঙ্গে বাসমতি চালের সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, যেন ক্ষুধা আরও তীব্র হয়ে উঠল।কাচ্চির আসল প্রাণ হলো ভাত। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে লম্বা দানার বাসমতি চাল, যেটি পুরোপুরি ঝরঝরে এবং সুগন্ধি। ভাতের প্রতিটি দানা আলাদা হয়ে থাকলেও ঘি আর মসলার আস্তরণে ভরে উঠেছিল। অতিরিক্ত তেল বা ভারীভাব একেবারেই ছিল না, যা খাওয়ার পর আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

কাচ্চির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল খাসির রান। বড় সাইজের রান সুন্দরভাবে মেরিনেট করে ধীরে ধীরে রান্না করা হয়েছে। ফলে মাংস ছিল একেবারে নরম ও জুসি হাড় থেকে আলাদা করতে কোনো কষ্টই হচ্ছিল না। মসলার সঠিক ব্যালান্সে রান্না হওয়ায় মাংসে লেগেছিল এক অনন্য স্বাদ, যা সাধারণ কাচ্চিতে পাওয়া যায় না।ভাত, মাংস, ঘি আর মসলার এমন নিখুঁত মিশ্রণ ছিল যে প্রতিটি লোকমাই যেন উৎসবের মতো মনে হচ্ছিল। না বেশি ঝাল, না বেশি ফ্যাকাশে একেবারে ব্যালান্সড। বিশেষ করে বাসমতি চালের সুবাস আর খাসির রানের স্বাদ একে করেছে আরও রাজকীয়।

228.jpg

কাচ্চির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়েছিল টাটকা শসা টমেটোর স্যালাড ও ঠান্ডা বোরহানি। স্যালাড মুখের স্বাদ পরিবর্তনে সাহায্য করছিল, আর মশলাদার কাচ্চির পর ঠান্ডা বোরহানি খাওয়া যেন ছিল পুরো অভিজ্ঞতার শেষ মুকুট।দামের দিক থেকে বলতে গেলে, খাশির রান দিয়ে বাসমতি চালের কাচ্চি হয়তো সাধারণ কাচ্চির চেয়ে একটু বেশি দামি। তবে স্বাদ ও মানের দিক থেকে এটি পুরোপুরি ন্যায্য। একবার খেলে বুঝবেন, এই টাকা খরচ করাটা সার্থক।

229.jpg

দিনাজপুর কাচ্চি ভাই খাওয়া এই কাচ্চি বিরিয়ানি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরিবেশ, খাবারের মান, সার্ভিস সব দিক থেকেই প্রশংসনীয়। শুধু খাবার খাওয়া নয়, বরং এটি একপ্রকার আনন্দঘন অভিজ্ঞতা ছিল।

সবাইকে ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera11+11 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।