"বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজার দর্শন"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে বেশ কয়েকদিন হলো পূজার ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। গ্রামের বাড়িতে এসে সবার সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, কুষ্টিয়াতে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালিত হচ্ছে। গত পরশুদিন বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে গিয়েছিলাম। অনেকদিন পরে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমি এখন আপনাদের সাথে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে কাটানো সুন্দর অনুভূতি সাথে শেয়ার করবো।
গত পরশুদিন বিকালের দিকে আমি আর এক পুলিশ দাদা বের হলাম কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের এই দিনের মেইন উদ্দেশ্য ছিল কুষ্টিয়া শহরটা ঘুরে দেখা। কারণ কুষ্টিয়া শহরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে আমাদের অনেক আবেগ। যখন কুষ্টিয়া শহরে থাকতাম তখন এই ভালোবাসা শহরে প্রচুর পরিমাণে ঘুরতাম খুব ভালো লাগতো। এই দিনগুলো এখন প্রচুর পরিমাণে মিস করি। গত পরশুদিন কুষ্টিয়া শহরে গিয়ে প্রথমে এক ভাইয়ের সাথে দেখা করে চলে গেলাম লাভলী টাওয়ারের সামনে লিটন মিনি চাইনিজে। তারপর সেখান থেকে হালকা নাস্তা করে সোজা চলে গেলাম বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে।
প্রথমত আমাদের অবশ্য মাজারে যাওয়ার কোনো প্ল্যানিং ছিল না কিন্তু হঠাৎ করেই মনে পড়ল যে, বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে মেলা হচ্ছে। এই মেলার উপলক্ষটা হলো বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছরে ১৭,১৮,১৯ অক্টোবর এই তিন দিন ধরে এখানে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির তিরোধান দিবস পালন করা হবে। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন অবশ্য ১৬ তারিখ ছিল। এই দিন কোন ধরনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম না থাকলেও মেলায় ছিল প্রচন্ড ভিড়।
আজ পর্যন্ত যত মেলা দেখেছি বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মেলাতে যে, পরিমাণ লোক হয় এত লোক কোথাও কোন মেলায় দেখতে পায়নি। সত্যি বলতে আমরা কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজের কাছে গর্ববোধ করি কারণ আমাদের এই জেলায় রয়েছে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাহিত্যিক মীর মশারফ হোসেন ও আরো অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তিত্ব।
আমরা বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম পেয়েছিলাম। তারপর মাজারের সামনে গিয়ে বাইক একটি গ্যারেজে রেখে মেলার ভেতরে ঢুকলাম। আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সোজা অডিটরিয়ামের দিকে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজের প্রচুর ভক্ত এসেছে। শুধু যে আমাদের দেশের ভক্ত তা নয় বিদেশ থেকেও প্রচুর ভক্ত আসে এখানে।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে সব সময় ভক্ত থাকলেও এত বেশি ভক্তের সমাগম শুধু মাত্র দেখা যায় আবির্ভাব তিথিতে আর তিরোধান দিতে। এই দুই সময়ে লালন সাঁজের প্রচুর ভক্ত এখানে এসে একত্রিত। বর্তমানে সারা বিশ্বে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মানবতার ধর্ম ছড়িয়ে পড়ছে ভীষণভাবে। মানবতার ধর্ম এখন সব থেকে বড় ধর্ম আমরা যদি মানুষ হয়ে মানুষকে ভালবাসতে না পারি তাহলে আমাদের ভিতর মনুষ্যত্ব কোথায়! বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্রিত হয়।
আমরা বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারের পাশের অডিটরিয়ামে ভক্তদের গান শুনলাম বেশ ভালই লাগলো। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজীর গানগুলো আমিও অনেক বেশি পছন্দ করি। মানবতা এবং দেহতত্ত্ব গানগুলো আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে। এই কারণেই আমি আপনাদের সাথে সব সময় বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির এই গানগুলো শেয়ার করি। বর্তমানে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজিকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক গবেষণা করা হয়।
আমরা মাজার দেখে মেলার ভিতরে ঢুকলাম। একটা সময় ধরে মেলার ভিতরে ঘোরাফেরা করলাম বেশ ভালই লাগলো। তারপর দোকান থেকে পুলিশ দাদার ছেলের জন্য আমরা বাঁশি আর একতারা কিনলাম। বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘোরাফেরা করতে করতে বেশ ভালই রাত হয়ে গিয়েছিল। তারপর আমরা গ্যারেজ থেকে বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অনেকদিন পরে কুষ্টিয়া শহর টা ঘুরে দেখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছিল। আর সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল এরকম সুন্দর দিনে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে এসে সময় অতিবাহিত করতে পেরেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৬ ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


লালন মাজারে যাবার ইচ্ছে আমার বহুদিনের। এই জায়গা যেকোনো বাঙালির কাছেই মহাতীর্থ স্থান। আপনার ভ্রমণ যে ভীষণ ভালো হয়েছে তা আপনার ব্যাখ্যা এবং ছবি দেখেই বুঝতে পারছি। বিগতবার বাংলাদেশ গিয়ে কুষ্টিয়ায় যাওয়া হয়নি। এর পরেরবার লালন মাজার দেখেই আসতে হবে। অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্ট করবার জন্য।
অবশ্যই দাদা, আবার কখনো বাংলাদেশে আসলে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে আসবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের ১৩৪ তম তিরোধান দিবস পালিত হচ্ছে। সেখানে গিয়ে আপনি বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার উপভোগ্য সুন্দর সময়ের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তবে খুব একটা বেশি সময় ছিলাম না রাত হয়ে গেছিল তাই তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পড়ে খুবই মজা পেলাম। অনেকের কাছেই লালন সাইয়ের মাজার সম্পর্কে শুনেছি। আপনার কাছে বিস্তারিত পড়লাম। বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই।
আবার পোস্ট করে বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন খুশি হলাম। মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
ফকির লালন সাঁইজির মাজারে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এই ধরনের জায়গাগুলোতে আসলে কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার ভ্রমন পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। লাইটিং এর ডেকোরেশন গুলো বেশ ভালো লাগছে দেখতে। বিদেশ থেকেও অনেক ভক্ত এখানে আসে জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো সুন্দরের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু বিদেশ থেকেও এখানে অনেক ভক্ত আসে। কখনো কুষ্টিয়াতে আসেন অবশ্যই বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির মাজারে ঘুরে যাবেন। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
এই কুষ্টিয়া শহর জুড়ে আমার নিজেরও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে ভাই। এখন শহরটা অনেক মিস করি প্রতিনিয়ত। লালন মেলার ক্ষেএে শুরু হওয়ার আগে থেকেই মানুষের ভীড় জমে যায়। যেমন আপনি তো আগেরদিন গিয়েছিলেন তারপরও ঐ অবস্থা। সময় টা বেশ কাটিয়েছেন। আমার সব বন্ধুর ফেসবুক ওয়ালে এখন শুধুই লালন মেলার ফটোগ্রাফি।
আমিও কুষ্টিয়া শহরটাকে অনেক মিস করি ভাই। বর্তমানে ঢাকা শহরে আছি কিন্তু কুষ্টিয়া শহর এখনো অন্তরে রয়েছে। হ্যাঁ ভাই মেলার আগের দিন গিয়েছিলাম তাই এই অবস্থা মেলা দিনগুলোতে অনেক বেশি ভিড় থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।