পেছনের গল্প( পর্ব-১৯ )।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২১ ই জুন ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000580919.jpg


আপনি বাঙালি অথচ বাউল সম্রাট ফকির লালনশাহ এর গান শোনেন নাই অথবা নাম শোনেন নাই এটা একপ্রকার অবাস্তব বলা যায়। এই লালন ফকিরের আখড়া নিয়ে আমাদের কুষ্টিয়া জেলাতেই। আরেকটু স্পেসিফিকভাবে বলতে গেলে এটা পড়ে যায় আমাদের কুমারখালী থানার মধ্যেই। লালন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় একটা নাম তার আধ‍্যাতিকতা এবং ফিলোসফির জন্য। আর যেগুলো প্রকাশ পেয়েছে তার গানের মাধ্যমে। ছোটবেলা থেকেই নামটা শুনে আসছিলাম। কিন্তু ঐভাবে আমি কখনোই লালন শাহ এর আখড়া বা মাজার টা দেখতে যায়নি তার আগে। সহজভাবে বললে বলতে হয় যাওয়ার সুযোগ একেবারেই হয়নি।

তবে ২০২১ সালে একদিন হঠাৎ করেই আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঠিক করি ওখানে ঘুরতে যাব। আমাদের বাড়ি থেকে জায়গাটার দূরত্ব ১২-১৩ কিলোমিটার মতো হবে। যেতে মোটামুটি ঐ মিনিট ৩০ এর মতো লাগে। আমার বাড়ির এতো কাছে জায়গাটা অথচ আমি ওখানে গিয়েছি জীবনের ১৮ টা বছর অতিবাহিত করে দেওয়ার পরে। প্রথমে আমরা দবির মোল্লা গেইটে নেমে পড়ি। ওখান থেকে দুজন রিক্সা নিয়ে চলে যায় সরাসরি লালন শাহ এর আখড়ায়। তখন অভিবক্ত বাংলা। জাতি ধর্ম নিয়ে একগুয়েমি একপ্রকার চরমে। মৃত্যুর কাছ থেকে লালন ফিরে এসে জানতে পারলেন তিনি জাত হারিয়েছেন। তথাকথিত সমাজব্যবস্থা অনুযায়ী আর কী।


1000580918.jpg

1000580920.jpg

1000580917.jpg

1000580916.jpg


নিজের পরিবার সমাজ থেকে বিতাড়িত হয়ে নিজের আরও কিছু সঙ্গী নিয়ে লালন এই জায়গাই বসতি স্থাপন করে। তখন এটা ছিল নদীয়া জেলা সম্ভবত। এবং জায়গাটা পুরো জঙ্গলাবৃত ছিল। লালনের মৃত্যুর পরে এখানে তার সমাধি দেওয়া হলে তার ভক্তরা জায়গাটাকে একপ্রকার তীর্থস্থান করে ফেলে। এরপর থেকে আজকের এই অবস্থা। ওখানে গিয়ে আমরা দুজন প্রথমে আশপাশে ঘোরাঘুরি করি। না জায়গাটা খুব বেশি বড় না। এরপর চলে যায় লালন শাহ মিউজিয়ামে। এটা ওখানেই অবস্থিত। তখন টিকিট ছিল মাএ ১০ টাকা। ভেতরে ছবিতে ছবিতে লালনের জীবন পর্যায় উপস্থাপন করা ছিল। ছিল লালনের ব‍্যবহার্য় কিছু জিনিস আসবাবপত্র। এছাড়া তার বতর্মান ভক্তদের তৈরি কিছু দেশীয় বাদ‍্যযন্ত্র।

মূলত মিউজিয়াম টাই দেখার মতো। এছাড়া আমরা গিয়ে ঐভাবে আর কিছু দেখতে পারিনি।তবে লালনের যেসব ভক্তরা ছিল তারা অন‍্যদের গান শোনাতে ব‍্যস্ত ছিল। তবে মজার ব‍্যাপার লালনের কিছু ভক্ত তার নাম দিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব‍্য ওখানে একেবারে বৈধ করে নিয়েছে। আমি ঠিক কিসের কথা বলছি আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন। এই ব‍্যাপারটা আমার কাছে বেশ খারাপ লাগে। এমন একজন মানুষ কখনোই ঐধরনের কোন জিনিস তার ভক্তদের মধ্যে প্রচলিত করে যাননি এটা মোটামুটি আমি নিশ্চিত। পরবর্তীতে তার কিছু সুবিধাবাদী ভক্ত ঐটা নিজেদের মতো চালু করে নিয়েছে বলা যায়। দিনটা আমাদের দারুণ কেটেছিল। এক নতুন অভিজ্ঞতার সাথে আমরা ঐদিন পরিচিত হয়।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png