লাইফ স্টাইল || বন্ধুর সাথে আজ খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে একটু বের হলাম

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া রিলেটেড কিছু কথা আর কি শেয়ার করবো। তোমরা সবাই জানো যে আমি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাই। আসলে এইসব প্ল্যানগুলো সাধারণত আমরা বন্ধুরা মিলেই করে থাকি। আমি কোথাও কোন রেস্টুরেন্টে সাধারণত একা খেতেও যাই না। আমি গেলেই আমার সাথে কেউ না কেউ থাকেই। আর কোন রেস্টুরেন্ট ক্যাফে এসব জায়গায় গিয়ে একা একা খাওয়া যায় না। অনেকটা লজ্জা বিষয় লাগে একা একা গিয়ে সেখানে গিয়ে খাওয়া। কারণ রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায় সবাই গ্রুপে গ্রুপে আসে খাওয়া-দাওয়া উদ্দেশ্যে। কেউ গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আসে। তাই সাথে যদি কাউকে না নিয়ে যাওয়া হয়। তখন রেস্টুরেন্টের ভিতরে অনেকটা একা একা অসহায় লাগে।

20240707_191815.jpg

20240707_191823.jpg

*যাইহোক, আমার এক খুব কাছের বন্ধু তার নাম হচ্ছে সৌরভ। সে আগে ভোপালে থাকতো তবে বর্তমানে আমাদের বারাসাত এই চলে এসেছে। এখানে এসে একটা অনলাইন রিলেটেড জব করছে। যাইহোক, এখন যেহেতু সে এখানে এসে স্থায়ী হয়েছে। তাই মাঝে মাঝে একটু তার সাথে বের হওয়া হয়। আর এইবার সে আমাকে সাথে নিয়ে একটু পূজোর শপিংয়ে যেতে চেয়েছিল। যদিও পূজোর শপিংয়ে আমার খুব বেশি ইন্টারেস্ট নেই। কারণ অফলাইনে সব জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি থাকে। তাই আমার কোন কিছু কেনার ইচ্ছা থাকলে আমি সাধারণত অনলাইনেই দেখি। যাইহোক, বন্ধু যেহেতু আবদার করলো তাই তার সাথে গেছিলাম স্টার মলে।

20240707_190352.jpg

20240707_190359.jpg

সেখানে গিয়ে কিছু জামা কাপড় দেখা হলো কয়েকটি পছন্দ করা হলো। তার জন্য একটি শার্ট একটি প্যান্ট আর একটি জুতো নিয়েছিল। তবে আমিও ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম তবে আমার কাছে দাম তুলনামূলক বেশি মনে হয়। তাই আমি সেখান থেকে কোন কিছু কিনি নি। যাইহোক, আমাদের ঘোরাঘুরি শেষ হলে আমার বন্ধু কোথাও খেতে যাওয়ার একটা প্ল্যান করতে বলে আমাকে। আর আমি হঠাৎ করেই তার সামনে বার্গার কিং এর নাম উচ্চারণ করে ফেলি। স্টার মলের একদম পাশেই রয়েছে এই বার্গার কিং। বেশ কয়েকদিন আগেও আমি এই বার্গার কিং গেছিলাম। এখানকার খাবার-দাবার আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।

20240707_190346.jpg

20240707_190538.jpg

20240707_190350.jpg

যাইহোক, বন্ধুকে এই বার্গার কিং এর কথা বলায় সেও রাজি হয়ে যায়। কারন আমার বন্ধু অনলাইনে সাধারণত বার্গার কিং থেকে অর্ডার করে খেয়ে থাকে। সেও এই খাবার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। যাইহোক, স্টার মল থেকে হাঁটতে হাঁটতে দুই বন্ধু চলে যাই এই বার্গার কিং। আমাদের হেঁটে যেতে সেখানে পাঁচ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। আর এখানে গিয়ে আমরা আমাদের জন্য নির্দিষ্ট একটি টেবিল সিলেক্ট করি। তারপর টেবিলে থাকা বার কোড স্ক্যান করে আমরা ওখানে অর্ডার করি। আমি আমার জন্য ভেজিটেবল ফিঙ্গার আর সে তার জন্য চিকেন চাপ অর্ডার করেছিল।

20240707_193732.jpg

20240707_193806.jpg

খাবার অর্ডার করার প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের খাবারগুলো চলে আসে। আজকের খাবারও বেশ গরম গরম আমাদের সার্ভ করেছিল। আর এই খাবারের টেস্ট ছিল অসাধারণ। দুই বন্ধু শপিং শেষে এখানে টুকটাক খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালই লেগেছিল। আসলে আমরা কোথাও গেলে একটু গল্পস্বল্প বেশি করা হয়। খাওয়া-দাওয়া সাথে সাথে গল্প করে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। আজ সন্ধ্যায় গিয়ে বন্ধুর সাথে এই ঘোরাঘুরি আমার করা হয়। আজ বেশ কিছুটা গরম পড়েছিল। আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আর হেঁটে বাড়ি আসিনি। সেখান থেকে টোটো ধরে যে যার বাড়িতে চলে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম , নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দুই বন্ধু মিলে দারুন সময় কাটিয়েছেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে আর খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। আপনিও অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।

 last year 

আমার এই পোস্টটি পড়ে যে আপনার ভালো লেগেছে তা জেনে অনেক খুশি হলাম আপু আমি। ধন্যবাদ, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বন্ধুদের সাথে বের হওয়া আড্ডা দেওয়া এবং খাওয়া-দাওয়া করা বেশ ভালো লাগে। খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন সবাই মিলে। আর খাওয়া-দাওয়া তো বেশ ভালোই করলেন। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি কাটালেন। সে সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।

 last year 

আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

 last year 

আসলেই রেস্টুরেন্টে একা একা যেতে ভালো লাগেনা। সাথে কেউ থাকলে একটু ভালো লাগে। দুই বন্ধু মিলে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখেই তো ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে বুঝতে পারছি অনেক মজা করে গিয়েছেন। বন্ধুর সাথে এভাবে খাওয়া দাওয়া করার মধ্যে রয়েছে আলাদা রকম আনন্দ এবং অনুভূতি। একসাথে আড্ডা দেওয়া যায় আবার খাওয়া-দাওয়া করা যায়। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।

 last year 

বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে কে না পছন্দ করে। আমি তো খুব পছন্দ করি। তবে একা একা যেতে একেবারে ভালো লাগে না কারো কাছে। দুই বন্ধু মিলে ভালোই জমিয়ে খেয়েছেন দেখছি। গরম গরম খাবার গুলো দেখছি বেশ তাড়াতাড়ি সার্ভ করা হয়েছে। দুই বন্ধু মিলে শপিং শেষ করে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনাদের কাটানো মুহূর্ত নিশ্চয়ই খুব ভালো ছিল।