**গল্পের বিষয়: "বন্ধুত্বের সেতু"** গল্পটি শুরু

বন্ধুত্বের সেতু
একটি ছোট গ্রামে বাস করত দুই বন্ধু, রাহুল এবং সোহান। তারা ছিল একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব এত গভীর ছিল যে, তারা একে অপরের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে দাঁড়াত। কিন্তু গ্রামের মধ্যে একটি বড় নদী ছিল, যা তাদের বন্ধুত্বকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করছিল।
নদীর বিপদ
নদীটি বর্ষাকালে খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠত। একদিন, রাহুলের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু নদী পার হওয়া ছিল খুবই বিপজ্জনক। রাহুল খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল। তার মনে তখন সোহানের কথা এলো। সোহান ছিল একজন সাহসী ছেলে, সে নিশ্চয়ই তাকে সাহায্য করবে।
বন্ধুর সাহায্য
রাহুল সোজা সোহানের বাড়িতে চলে গেল। সোহান রাহুলের দুঃখ বুঝতে পেরে বলল, "চিন্তা করোনা, আমরা একসাথে নদী পার হবো।" তারা দুজন মিলে নদীর দিকে হাঁটতে শুরু করল। নদীর পাড়ে এসে তারা দেখল, জলের স্রোত অনেক বেশি। কিন্তু তারা হার মানবে না, তারা বন্ধুত্বের শক্তিতে বিশ্বাসী।
বন্ধুত্বের সেতু
সোহান বলল, "আমরা যদি একটি সেতু তৈরি করি, তাহলে আমরা নিরাপদে নদী পার হতে পারব।" রাহুল বলল, "কিন্তু আমাদের কাছে কাঠ নেই।" তখন সোহান বলল, "গ্রামের সবাইকে আমাদের সাহায্য করতে বলি।"
তারা গ্রামের লোকদের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা বলল। গ্রামের লোকেরা তাদের সাহায্য করতে রাজি হল। সবাই মিলে নদীর পাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে লাগল। কিছু সময় পর, তারা একটি শক্তিশালী সেতু তৈরি করল।
নিরাপদ পারাপার
রাহুল এবং সোহান সেতুর উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। তারা একে অপরের হাত ধরে ছিল। নদীটি এখন আর ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছিল না। তারা নিরাপদে নদী পার হয়ে হাসপাতালে পৌঁছাল। রাহুলের বাবা চিকিৎসা পেল এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বন্ধুত্বের শক্তি
এই ঘটনার পর, রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়ে গেল। তারা বুঝতে পারল যে, সত্যিকারের বন্ধুত্বই সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। নদীটি তাদের জন্য শুধু একটি বাধা ছিল না, বরং এটি তাদের বন্ধুত্বের সেতু তৈরি করার সুযোগ এনে দিয়েছিল।
এভাবে, রাহুল এবং সোহানের বন্ধুত্ব চিরকাল অটুট থাকল, এবং তারা শিখল যে, একসাথে কাজ করলে যে কোনও সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
শেষ

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.