শিরোনাম: "বন্ধুত্বের সেতু" গল্পের পটভ

বন্ধুত্বের সেতু
পটভূমি
একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম "শান্তিগ্রাম", যেখানে সবকিছুই শান্ত ও সুন্দর। এই গ্রামে দুই বন্ধু, রাহুল এবং সুমি, একসাথে বড় হয়েছে। তারা একে অপরের সাথে খেলাধুলা, গল্প বলা এবং সবকিছু ভাগ করে নিয়েছে। তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট, কিন্তু একদিন একটি ঘটনা তাদের বন্ধুত্বকে পরীক্ষা নিল।
গল্প
শান্তিগ্রামের পাশেই একটি বড় নদী বয়ে চলে। নদীর অপর পারে ছিল একটি ভিন্ন গ্রাম, "নবীনপুর", যেখানে রাহুলের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকতেন। একদিন রাহুলের বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা নবীনপুরে যাবেন। রাহুল খুব খুশি হয়ে সুমিকে বলল, "চল, আমরা নদী পার হয়ে নবীনপুরে যাবো।"
সুমি একটু চিন্তিত হয়ে বলল, "কিন্তু নদী পার হওয়া তো সহজ নয়। আমাদের সেখানে সেতু নেই।"
রাহুল বলল, "কিছু হবে না, আমরা কিভাবে পার হবো সেটা ভাবতে হবে।"
দুই বন্ধু নদীর ধারে গিয়ে দেখল, নদীটা খুবই গভীর এবং তীব্র। তারা ভাবতে লাগল কিভাবে পার হবে। হঠাৎ রাহুলের মাথায় একটি আইডিয়া এল। সে বলল, "আমরা যদি কিছু কাঠ সংগ্রহ করি এবং একটি সেতু তৈরি করি?"
সুমি প্রথমে দ্বিধা প্রকাশ করল, "কিন্তু আমাদের তো কাঠ সংগ্রহ করার জন্য অনেক সময় লাগবে।"
রাহুল বলল, "আসলে, বন্ধুত্বের জন্য সবকিছু সম্ভব। আমরা একসাথে কাজ করলে অবশ্যই সফল হবো।"
তারা দুই বন্ধু মিলে কাঠ সংগ্রহ করতে শুরু করল। প্রথমে কাজটি কঠিন মনে হচ্ছিল, কিন্তু তারা একে অপরকে উৎসাহিত করে কাজ করতে থাকল। দিনরাত পরিশ্রম করে তারা একটি সেতু তৈরি করল।
একদিন, তাদের সেতু প্রস্তুত হয়ে গেল। সুমি ও রাহুল সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নদীর অপর পারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল এবং হাত ধরে সেতুর উপর দিয়ে পার হল।
নবীনপুরে পৌঁছে তারা দেখল, সেখানে তাদের আত্মীয়রা তাদের জন্য উন্মুখ। তারা খুব আনন্দিত হল এবং তাদের সেতু তৈরির গল্প শোনাল। আত্মীয়রা মুগ্ধ হয়ে গেল এবং তাদের বন্ধুত্বকে উদযাপন করল।
উপসংহার
রাহুল এবং সুমির বন্ধুত্বের সেতু শুধুমাত্র একটি কাঠের সেতু নয়, বরং তাদের সম্পর্কের শক্তি এবং একসাথে কাজ করার ক্ষমতার প্রতীক। তারা বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের শক্তি সব বাধা অতিক্রম করতে পারে। সেই থেকে, শান্তিগ্রাম ও নবীনপুরের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি হল, যা সেতুর মতোই দৃঢ় এবং অটুট।
বন্ধুত্বের সেতু তাদের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠল, যা তাদের ভবিষ্যতের প্রতিটি পদক্ষেপে তাদেরকে সমর্থন করবে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.