বাংলাদেশে খাবারের দাম বাড়ার প্রভাব: সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ও টিকে থাকার লড়াই।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠছে দিন দিন কঠিনতর। ভাত, ডাল, তেল, সবজি কিংবা মাছ-মাংস কোনো কিছুরই দাম মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না। অথচ এগুলো আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মৌলিক উপাদান।
খাবারের দাম বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ একসাথে কাজ করছে। বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং কৃষি উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি এসবই বড় ভূমিকা রাখছে। এর সাথে যোগ হয়েছে স্থানীয় বাজারে দালালচক্র ও মজুদদারদের প্রভাব। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেয়, যার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
খাবারের দাম বাড়ায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে। আগে যে পরিবার সহজে সপ্তাহে একদিন মাছ-মাংস কিনতে পারতো, এখন তা মাসে এক-দুইবারের বেশি সম্ভব হচ্ছে না। অনেক পরিবার আবার শুধুমাত্র ভাত-ডাল কিংবা আলুর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
শুধু খাবারের ক্ষেত্রেই নয়, বাড়তি খরচ সামলাতে গিয়ে মানুষকে অন্য খাতেও সাশ্রয় করতে হচ্ছে। কারো সন্তানের পড়াশোনার খরচ কমানো হচ্ছে, কারো আবার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে জীবনযাত্রার মান অনেকাংশে নেমে যাচ্ছে।
আর্থিক সংকটের কারণে পরিবারগুলোতে মানসিক চাপ বাড়ছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, হতাশা, কিংবা ঋণগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। আবার অনেক পরিবার অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে তাদের সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ নানা উপায়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। অনেকেই বাজার থেকে একসাথে বেশি কেনাকাটা না করে অল্প অল্প করে কিনছেন। কেউ স্থানীয় বাজার থেকে কম দামে সবজি আনছেন, কেউ আবার বিকল্প খাবার বেছে নিচ্ছেন। যেমন- মাছের দাম বেশি হলে অনেকেই ডিম বা শাকসবজির উপর নির্ভর করছেন।
এছাড়া সচেতন মানুষরা এখন খরচের হিসাব রাখতে শিখছেন। আগে যেটা হুটহাট কিনতেন, এখন সেটার আগে ভাবছেন এটা আদৌ প্রয়োজনীয় কি না।
দাম বৃদ্ধির প্রভাব কমাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে, কৃষককে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে, এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সঠিক নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
অন্যদিকে পরিবার পর্যায়ে সঞ্চয়ের অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। প্রয়োজন ছাড়া খরচ কমানো, বিকল্প খাবার বেছে নেওয়া, এবং স্থানীয় কৃষিপণ্যকে গুরুত্ব দেওয়া এসব উদ্যোগ সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে।
খাবারের দাম বৃদ্ধি এখন আর কোনো একক সমস্যা নয়, বরং এটা একটি জাতীয় সংকট। এর প্রভাব পড়ছে প্রতিটি পরিবারে, প্রতিটি মানুষের জীবনে। তাই এই সংকট মোকাবিলায় সরকার, ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। নইলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দাম আরও বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠবে অসহনীয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
আপনার ইপুশ ব্যালেন্স ১০০ নিচের নেমে এসেছে, তাই দ্রুত রিচার্জ করে নেয়ার অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
ইপুশ রিচার্জ করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।