আমার প্রথম বিদেশ আসা – কর্মী হয়ে আসা

in #life2 months ago

ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে নিজের পরিবারের জন্য কিছু করতে পারব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২০২৫ সালে, যখন আমি প্রথমবার সৌদি আরব এ কর্মী হিসেবে আসি। এটি আমার জীবনের এক স্মরণীয় যাত্রা, যা শুধু আমার নয়, আমার পরিবারের ভাগ্যও বদলে দিয়েছে।

যাত্রার প্রস্তুতি:-

বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল। পাসপোর্ট করা, মেডিকেল চেকআপ, ট্রেনিং নেওয়া, ভিসার জন্য আবেদন—সব কিছু যেন একসাথে চলছিল। এই সময়টাতে পরিবার, বন্ধু আর আত্মীয়দের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি।
সবচেয়ে কঠিন ছিল পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া। মনে হচ্ছিল প্রিয়জনদের ছেড়ে যাওয়া কতটা কঠিন!

ফ্লাইটের দিন:-

যেদিন ফ্লাইট ছিল, সেদিন ভোরে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে এয়ারপোর্টের পথে রওনা হলাম। প্রথমবার বিমানে চড়ার অনুভূতি ছিল অবর্ণনীয়। জানালার বাইরে তাকিয়ে যখন মেঘের উপর দিয়ে উড়ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল—আমি সত্যিই নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেছি।

বিদেশের প্রথম দিন:-

সৌদি আরব এ নামার পর সবকিছুই আমার কাছে নতুন লাগছিল—রাস্তা, বিল্ডিং, মানুষের ভাষা, এমনকি বাতাসের গন্ধও আলাদা ছিল। কোম্পানির গাড়ি আমাদের নিয়ে গেল থাকার জায়গায়। প্রথম দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম এখানে সময়, শৃঙ্খলা আর কাজের নিয়ম-কানুন কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের অভিজ্ঞতা

প্রথম কয়েক দিন কাজের চাপ ও নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সহকর্মীদের সহায়তায় সবকিছু সহজ হয়ে গেল। এখানে কাজের বিনিময়ে সম্মান পাওয়া যায়, আর নিয়ম মেনে চললে সবাই আপনাকে সম্মান করে।

পরিবারকে সহায়তা

সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিল যখন প্রথম বেতন দেশে পাঠালাম। পরিবারের মুখে হাসি দেখে বুঝতে পেরেছিলাম—আমার সব পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।

শেষ কথা

এই বিদেশ আসা আমাকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও অনেক শক্তিশালী করেছে। আমি শিখেছি—ধৈর্য, পরিশ্রম আর সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে জীবনে কিছুই অসম্ভব নয়।
আজও মনে হয়, প্রথম বিমানে ওঠার সেই মুহূর্তই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সূচনা।