চলার পথ
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
অদেখা সবকিছুর মাঝে একটা আনন্দ আছে আবার ভয় ও আছে।জীবনের চলার পথে কত কিছুর অভিজ্ঞতা নিতে হয়।জীবনের একটি ভয়ংকর অধ্যায় নিয়ে আজ লিখতে চলেছি।ভূত-প্রেত এর ভয় নয়।বাস্তবতার ভয়।
১ম পর্ব:
বাসা থেকে খুলনা আসতে গেলে প্রতিদিন ই খুলনা জর্জ কোট,পুলিশ কাউন্সিল, আদালত ভবন দেখি।মাঝেমধ্যে চিন্তা ও করতাম আসলে এখানে হয় টা কি? সিনেমা,নাটকে যা দেখি তাই নাকি তার থেকে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি।জীবনে কোনোদিন চিন্তা করিনি হয়তো আমাকেও ওইখানে যেতে হবে।পারিবারিক বা বহিরাগত কোনো এক কারনে আমাকে আসতে হয়েছিল খুলনা জর্জ কোটে।
বাসা থেকে বেড় হলাম,রুপসা ঘাট পার হয়ে অটোরিকশা মামা উচ্চস্বরে ডাকতেছে ডাকবাংলা-কোট বলে।কোনো কিছু না ভেবেই উঠে পড়লাম। সাইডে আমার মতো আরো একজনকে পেলাম।কেন যেন ভয় একটু কাটতে লাগলো।তাকে বললাম ভাই স্টাম্প এ লেখালেখি কারা করে?
ভদ্রলোক:কোটে অনেক মোহরী থাকে তারা এটা করে থাকে।
আমি:তাদের কই পাবো?
ভদ্রলোক:চলেন আপনাকে দেখিয়ে দিবো।আপনি কি কাজে এসেছেন?
আমি:স্টাম্পে কিছু কথা লিখতে হবে যেটা থানায় জমা দিতে হবে।
ভদ্রলোক:মামলা বিষয়?
আমি:জি
তার পরবতী সময়ে তিনি আমাকে বেশ সাহায্য করেছেন।ভিতরে প্রবেশ করেই আমার চোখ কপালে কত মানুষ।ফরমাল পোকাশ পড়ে বসে আছে।কার কাছে যাবো কি লিখবো এটা ভেবেই কেমন জানি লাগতেছিল।নিজের এই অবস্থা দেখে একলোক এগিয়ে আসলেন। তাকে বিস্তারিত বললাম।উনিই হলো একজন মহুরী, যাকে আমি খুজতেছিলাম।সত্যি বলতে এই পরিবেশে আমি আগে কখনো আসিনি।মামলা, কোট ইত্যাদি নিয়ে আমার আগে থেকেই ভয়।পরবর্তীতে নিজের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরলাম।
২য় পর্ব:
থানা,যেখানে আমি কখনই যাই নি।এবারে পা দিলাম।ভিতরে ডুকতেই ডিউটিরত অফিসার ডাকলেন।নিজেদের বিস্তারিত অভিযোগ করলাম কিছু সময় তাদের দেখে আমি নিজেও আতংকিত ছিলাম।একেকটা প্রশ্ন কেমন জানি তীরের মতো লাগতে লাগলো।নিতে পারছিলাম না এমন মনে হচ্ছিল।পরে মোটামুটি ভাবে সমাধানের পথে আসলো।
আল্লাহ বিপদ দিয়ে আমাদের পরিক্ষা করেন,আবার সেই বিপদ উদ্ধার এর পথ ও দেখান।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমি-আরিফুল ইসলাম।স্টিমিট আইডি-@apulam. জাতীয়তা:বাংলাদেশী।বর্তমানে আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত ডিসিপ্লিন এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।২০২৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ৪ তারিখে যুক্ত হয়েছি।ফটোগ্রাফি করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।পাশাপাশি ভ্রমন পছন্দ করি।স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমন করার। |
জীবনটাই একটা শিক্ষাক্ষেত্র, প্রতিনিয়ত-প্রতিমুহুর্তে নানাভাবে আমরা নানা কিছু শিখছি বা শিখতে বাধ্য হচ্ছি।
হুম মামা,দোয়া করিয়েন বড় কঠিন সময় পার করিতেছি।